ETV Bharat / state

বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ম্লান ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল

প্রতি বছর আজকের দিনেই বিশ্বকর্মা পুজোয় মেতে ওঠে কলকারখানাগুলি৷ কারণ আজ 'ওদের' দিন ৷ 'ওরা' কলকারখানার শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, অটোওয়ালা ৷ এককথায় যন্ত্রই 'ওদের' জীবন ৷ তাই যন্ত্রের দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে তৎপর 'ওরা' সব্বাই ৷ পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল ৷ আলোর রোশনাই, বাজনা ৷ নিজেদের সামর্থ্টুকুই দিয়ে 'ওরা' আয়োজন করেন পুজোর ৷ আজকের দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল সেজে উঠত একসময়৷ তবে আজ বন্ধ শিল্পাঞ্চলের একাধিক কলকারখানা ৷ একসময় যেখানে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন উৎসবের আনন্দে মুখরিত হয়ে থাকত গোটা এলাকা সেই এলাকাই আজ চুপ ৷ শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে শুধুই ফেলে আসা দিনগুলোর আনন্দের মুহুর্তের স্মৃতি ৷ স্মৃতির কথা মনে পড়লেই মানসিক যন্ত্রণার মেঘ করে আসে মনে ৷ আঁধারের মাঝেও অনেক শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আলোর রোশনাই খুঁজে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন ৷

author img

By

Published : Sep 18, 2019, 6:38 PM IST

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল

ব্যারাকপুর, 18 সেপ্টেম্বর: প্রতিবছর আজকের দিনে গমগম করত এলাকা ৷ আলোর রোশনাই, বাদ্যির বাজনায় নতুন প্রাণ আসত যেন ৷ কিন্তু কয়েকবছর ধরে সবই ফিকে ৷ চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা ৷ বন্ধ হয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক কারখানা ৷ এবছর তাই বাজল না বিশ্বকর্মা পুজোর বাদ্যি ৷ হল না প্যান্ডেলও ৷ আলোয় সাজলও না চারদিক ৷

প্রতিবছর আজকের দিনেই বিশ্বকর্মা পুজোয় মেতে ওঠে কলকারখানাগুলি৷ কারণ আজ "ওদের" দিন ৷ "ওরা" কলকারখানার শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, অটোওয়ালা ৷ এককথায় যন্ত্রই "ওদের" জীবন ৷ তাই যন্ত্রের দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে তৎপর "ওরা" সব্বাই ৷ পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল ৷ আলোর রোশনাই, বাজনা ৷ নিজেদের সামর্থ্টুকুই "ওরা" আয়োজন করেন পুজোর ৷ আজকের দিনে এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল সেজে উঠত একসময় ৷ তবে আজ বন্ধ শিল্পাঞ্চলের একাধিক কলকারখানা ৷ একসময় যেখানে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন উৎসবের আনন্দে মুখরিত হয়ে থাকত গোটা এলাকা সেই এলাকাই চুপ ৷ শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে শুধুই ফেলে আসা দিনগুলোর আনন্দের মুহুর্তের স্মৃতি ৷ স্মৃতির কথা মনে পড়লেই মানসিক যন্ত্রণার মেঘ করে আসে মনে ৷ আঁধারের মাঝেও অনেক শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আলোর রোশনাই খুঁজে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন ৷

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল
বন্ধ কারখানা

দুর্গাপুজো নিয়েও তো আজ থেকেই বাঙালি হাতের কর গুনতে শুরু করেছেন ৷ নতুন জামাকাপড় কেনার আনন্দও কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ৷ তবে আনন্দের রোশনাই নেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ৷ একটা সময় ছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে মিলের শ্রমিকদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকত । কিন্তু একের পর এক এই শিল্পাঞ্চলের বড় থেকে মাঝারি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে । কোনওটা 20 বছর ধরে বন্ধ, কোনওটা 25, কোনওটা আবার 10 বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে । ফলে এই বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা কবে তাঁদের কারখানা কবে খুলবে সেই আশায় বসে রয়েছেন আজও । কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন আশার আলো দেখতে পাননি কেউ । পুজোর দিনে হাসি নেই ওদের ঠোঁটে ৷ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারখানাগুলির মধ্যে নৈহাটির জেনসন অ্যান্ড নিকলসন রং কারখানা । সেখানে প্রায় 3 হাজার শ্রমিক কাজ করতেন । একটা সময় ছিল কারখানার শ্রমিকদের হাল ছিল রাজার মতো । উৎসবের দিন তো বটেই বিশেষ করে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কারখানার ভেতরে মহাসমারোহে হত পুজো । চলত প্রসাদ বিতরণ ৷ কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই । এছাড়াও কারখানার বাইরে পুজোর দিনগুলিতে বসতো মেলা । দূরদূরান্ত থেকে এই মেলাতে লোকজন আসতেন ৷ কারখানার ঠাকুর দর্শন করতেন । পুজোর সময় আলোর রোশনাইয়ে ঝলমল করত গোটা এলাকা । তবে আজ সবই অতীত ৷ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আজ পর্যন্ত এই পুজোর দিনগুলিতে অন্ধকারে থাকে গোটা এলাকা । আজও সেই আনন্দের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন এখানকার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের লোকজন । অন্যদিকে বড় শিল্প কারখানাগুলির মধ্যে গৌরীপুর জুট মিল,ক্যাপস অ্যান্ড কন্টেনেরস কারখানা, নদিয়া জুটমিলের মত কারখানাগুলিও উৎসবের দিনগুলিতে অন্ধকারে থাকে ।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল
বন্ধ কারখানা

রাজ্য সরকারের তরফে বহু শিল্প সম্মেলন করা হয়েছে । আশ্বাসও মিলেছে একাধিকবার ৷ কিন্তু নতুন বড় শিল্প বলতে কিছুই আসেনি এখনও । একদিকে কলকারখানাগুলি বন্ধের ফলে একটা প্রজন্ম প্রায় শেষ । আগামী প্রজন্মেরও ভবিষ্যৎ কোন পথে সেই প্রশ্নই এখন বর্তমান বেকার যুবক যুবতিদের মনে। আবার হয়তো খুলতে পারে কারখানা ৷ আশাতেই দিন গুনছেন এলাকার যুবক-যুবতিরাও । বন্ধ কারখানার মধ্যেই যদি কোনও নতুন শিল্প কারখানা করা সম্ভব হয় তাহলে কর্মসংস্থান হতে পারে তাঁদের । কিন্তু কবে হবে ? প্রশ্নের উত্তরটা সবারই অজানা ৷ নতুন শিল্প হবে ? কবে খুলবে বন্ধ কারখানা ? প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায় সবার মনে ৷

ব্যারাকপুর, 18 সেপ্টেম্বর: প্রতিবছর আজকের দিনে গমগম করত এলাকা ৷ আলোর রোশনাই, বাদ্যির বাজনায় নতুন প্রাণ আসত যেন ৷ কিন্তু কয়েকবছর ধরে সবই ফিকে ৷ চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা ৷ বন্ধ হয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক কারখানা ৷ এবছর তাই বাজল না বিশ্বকর্মা পুজোর বাদ্যি ৷ হল না প্যান্ডেলও ৷ আলোয় সাজলও না চারদিক ৷

প্রতিবছর আজকের দিনেই বিশ্বকর্মা পুজোয় মেতে ওঠে কলকারখানাগুলি৷ কারণ আজ "ওদের" দিন ৷ "ওরা" কলকারখানার শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, অটোওয়ালা ৷ এককথায় যন্ত্রই "ওদের" জীবন ৷ তাই যন্ত্রের দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে তৎপর "ওরা" সব্বাই ৷ পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল ৷ আলোর রোশনাই, বাজনা ৷ নিজেদের সামর্থ্টুকুই "ওরা" আয়োজন করেন পুজোর ৷ আজকের দিনে এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল সেজে উঠত একসময় ৷ তবে আজ বন্ধ শিল্পাঞ্চলের একাধিক কলকারখানা ৷ একসময় যেখানে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন উৎসবের আনন্দে মুখরিত হয়ে থাকত গোটা এলাকা সেই এলাকাই চুপ ৷ শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে শুধুই ফেলে আসা দিনগুলোর আনন্দের মুহুর্তের স্মৃতি ৷ স্মৃতির কথা মনে পড়লেই মানসিক যন্ত্রণার মেঘ করে আসে মনে ৷ আঁধারের মাঝেও অনেক শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আলোর রোশনাই খুঁজে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন ৷

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল
বন্ধ কারখানা

দুর্গাপুজো নিয়েও তো আজ থেকেই বাঙালি হাতের কর গুনতে শুরু করেছেন ৷ নতুন জামাকাপড় কেনার আনন্দও কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ৷ তবে আনন্দের রোশনাই নেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ৷ একটা সময় ছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে মিলের শ্রমিকদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকত । কিন্তু একের পর এক এই শিল্পাঞ্চলের বড় থেকে মাঝারি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে । কোনওটা 20 বছর ধরে বন্ধ, কোনওটা 25, কোনওটা আবার 10 বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে । ফলে এই বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা কবে তাঁদের কারখানা কবে খুলবে সেই আশায় বসে রয়েছেন আজও । কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন আশার আলো দেখতে পাননি কেউ । পুজোর দিনে হাসি নেই ওদের ঠোঁটে ৷ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারখানাগুলির মধ্যে নৈহাটির জেনসন অ্যান্ড নিকলসন রং কারখানা । সেখানে প্রায় 3 হাজার শ্রমিক কাজ করতেন । একটা সময় ছিল কারখানার শ্রমিকদের হাল ছিল রাজার মতো । উৎসবের দিন তো বটেই বিশেষ করে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কারখানার ভেতরে মহাসমারোহে হত পুজো । চলত প্রসাদ বিতরণ ৷ কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই । এছাড়াও কারখানার বাইরে পুজোর দিনগুলিতে বসতো মেলা । দূরদূরান্ত থেকে এই মেলাতে লোকজন আসতেন ৷ কারখানার ঠাকুর দর্শন করতেন । পুজোর সময় আলোর রোশনাইয়ে ঝলমল করত গোটা এলাকা । তবে আজ সবই অতীত ৷ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আজ পর্যন্ত এই পুজোর দিনগুলিতে অন্ধকারে থাকে গোটা এলাকা । আজও সেই আনন্দের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন এখানকার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের লোকজন । অন্যদিকে বড় শিল্প কারখানাগুলির মধ্যে গৌরীপুর জুট মিল,ক্যাপস অ্যান্ড কন্টেনেরস কারখানা, নদিয়া জুটমিলের মত কারখানাগুলিও উৎসবের দিনগুলিতে অন্ধকারে থাকে ।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল
বন্ধ কারখানা

রাজ্য সরকারের তরফে বহু শিল্প সম্মেলন করা হয়েছে । আশ্বাসও মিলেছে একাধিকবার ৷ কিন্তু নতুন বড় শিল্প বলতে কিছুই আসেনি এখনও । একদিকে কলকারখানাগুলি বন্ধের ফলে একটা প্রজন্ম প্রায় শেষ । আগামী প্রজন্মেরও ভবিষ্যৎ কোন পথে সেই প্রশ্নই এখন বর্তমান বেকার যুবক যুবতিদের মনে। আবার হয়তো খুলতে পারে কারখানা ৷ আশাতেই দিন গুনছেন এলাকার যুবক-যুবতিরাও । বন্ধ কারখানার মধ্যেই যদি কোনও নতুন শিল্প কারখানা করা সম্ভব হয় তাহলে কর্মসংস্থান হতে পারে তাঁদের । কিন্তু কবে হবে ? প্রশ্নের উত্তরটা সবারই অজানা ৷ নতুন শিল্প হবে ? কবে খুলবে বন্ধ কারখানা ? প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায় সবার মনে ৷

Intro:ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মা পুজো ম্লান Body:বিশ্বকর্মা পূজা কে কেন্দ্র করে চারিদিকে যখন আলোর রোশনাইয়ে ঝকঝক করছে, পূজোর আনন্দে নতুন জামা কাপড় পড়ে আনন্দে মেতে উঠেছে অনেকে। ঠিক তারই মাঝে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বন্ধ কল-কারখানা গুলিতে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। আগে যেখানে এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন উৎসবের আনন্দে মুখরিত হয়ে থাকতো গোটা এলাকা। আজ সেখানে শ্মশানের স্তব্ধতা। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে শুধুই ফেলে আসা দিনগুলির আনন্দের মূহুর্তের স্মৃতি। আর এখন সেই স্মৃতির কথা মনে পড়লেই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে তাদের।তবে এই আঁধারের মাঝেও অনেকেই আলোর রোশনাই খুঁজে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক ও তাদের পরিবার।
একটা সময় ছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে মিলের শ্রমিকদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকতো। কিন্তু একের পর এক এই শিল্পাঞ্চলের বড় থেকে মাঝারি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোনটা কুড়ি বছর ধরে বন্ধ আবার কোনোটা 25 কোনোটা আবার 10 বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে এই বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা কবে তাদের কারখানা খুলবে সেই আশায় বসে রয়েছেন আজও। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন আশার আলো দেখতে পায়নি কেউ। এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারখানা গুলির মধ্যে হলো নৈহাটির জেনসন অন্ড নিকলসন রং কারখানা। যেখানে প্রায় 3 হাজার শ্রমিক কাজ করতো। সেই সময় এই কারখানার শ্রমিকদের হাল ছিল রাজার মতো। উৎসবের দিন তো বটেই বিশেষ করে এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কারখানার ভেতরে মহাসমারোহে পুজো হতো। চলতো প্রসাদ বিতরণ এবং শ্রমিকদের মধ্যে কব্জি ডুবিয়ে চলতো খাওয়া-দাওয়া। এছাড়াও কারখানার বাইরে পুজোর দিনগুলিতে বসতো মেলা। দূরদূরান্ত থেকে এই মেলাতে লোকজন আসতো, দেখতো কারখানার ঠাকুর। তখন পুজোর সময় আলোর রোশনাইয়ে ঝলমল করতো গোটা এলাকা। কিন্তু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আজ পর্যন্ত এই পুজোর দিনগুলিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে গোটা এলাকা। আজও সেই আনন্দের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে এখানকার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে বড় শিল্পের মধ্যে গৌরীপুর জুট মিল,ক্যাপস অ্যান্ড কন্টেনেরস কারখানা, নদিয়া জুটমিল এর মত কারখানা গুলিও উৎসবের দিনগুলিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আবার যদি কখনো এই কারখানা খোলে সেই আশাতেই রয়েছেন আগামী প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা।এই বন্ধ কারখানার মধ্যেই যদি কোন নতুন শিল্প কারখানা করা সম্ভব হয় তাহলে কর্মসংস্থান হতে পারে বেকার যুবক যুবতীদের। কিন্তু কবে হবে নতুন শিল্প এই প্রশ্নই এখন জেগে উঠছে সকলের মনে।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বহু শিল্প সম্মেলন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন বড় শিল্প বলতে কিছুই আসেনি এখনও। ফলে একদিকে এই কল কারখানা বন্ধের ফলে একটা প্রজন্ম প্রায় শেষ। আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কোন পথে সেই প্রশ্নই এখন হাতরিয়ে বেড়াচ্ছে বর্তমান বেকার যুবক যুবতীরা।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.