বারাসাত, 5 সেপ্টেম্বর: দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে আবারও শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ালেন দলেরই তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী । বিস্ফোরণে ঘটনায় সরাসরি সরকারের দিকে আঙুল তুললেন । মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেই চিরঞ্জিত বলেন, "শুধু পুলিশের নীচের অংশের ব্যর্থতা, আমি বলব না । ব্যর্থতা আমাদের সকলের । এর দায় সকলকেই নিতে হবে । সরকার কিংবা প্রশাসন কেউই তার দায় এড়াতে পারে না । এক থেকে একশো সকলেরই ব্যর্থতা ।" পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের চিকিৎসক কাউন্সিলর সুমিত সাহার উদ্যোগে হওয়া ওই কর্মসূচিতে সমাজের গুণীজনদের সংবর্ধিতও করা হয় ৷
প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের আগে বেআইনি বাজি কারবার নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছিল ৷ তা সত্ত্বেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ৷ তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ সে কথা উল্লেখ করেই চিরঞ্জিত বলেন, "সেটাই তো বলছি । তাঁরা যে যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করেনি । কেন করেনি ৷ সেই দায় তো সকলকেই নিতে হবে ।"
পাশাপাশি, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের চরম সংঘাত প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী । তাঁর কথায়,"আমি যতদূর জানি, সংবিধানে রাজ্যপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না । এই বিষয়ে একশো শতাংশ পরিষ্কার কিছু বলা নেই সেখানে । যার ফলে দু'পক্ষের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে । সেই সমস্যার সুযোগ নিয়ে রাজ্যপাল নিজের মতো করে কাজ করছেন । বিজেপির হয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে । যেনতেন প্রকারণে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করাটাই রাজ্যপালের লক্ষ্য ।" তাঁর কথায় কার্যকারিতার নিরিখে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়কে ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেও মনে করেন শাসকদলের তারকা বিধায়ক ।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে ছেলের মৃতদেহ টিভিতে দেখলেন মা! পরিবারের 5 সদস্যকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ আনকরি বিবি
প্রসঙ্গত, এর আগে দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় । দু'জনেই বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশের নীচের তলার অবহেলা ছিল বলে মনে করেন ।তবে, এই ঘটনায় এদের কাউকেই সরাসরি সরকারকে দায়ী করতে দেখা করতে দেখা যায়নি । যা করে সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূলের এই তারকা বিধায়ক ।