মধ্যমগ্রাম, 31 মার্চ: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে (Miscreants Activity At Madhayamgram)। রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি চলল সেখানে। তাও আবার ভর সন্ধেয়। জনবহুল এলাকায় একেবারে ফিল্মি কায়দায় ব্যবসায়ীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে চম্পট দিলেন দুই দুষ্কৃতী। এমনই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্থানীয়রা। মধ্যমগ্রাম থানায় দায়ের হয় অভিযোগও।
মধ্যমগ্রাম হুমাইপুর পাঁচতলা বাজারের পাশেই বিল্ডার্সের দোকান রয়েছে লতিফ বিশ্বাস নামে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর। তিনি ছাড়াও এই ব্যবসায় তাঁর আরও দুই সহযোগী রয়েছে। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম এবং সরিফুল ইসলাম। সম্পর্কে এই দুই ভাইয়ের খোঁজেই বুধবার সন্ধেয় পাঁচতলা বাজারে হানা দেয় বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী। পথেই ব্যবসায়ী লতিফকে দেখে টার্গেট করে তারা। বাজারের পাশে একটি অন্ধকার জায়গায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অভিযোগ, এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ওই ব্যবসায়ীর মাথায় ঠেকিয়ে তাঁর দুই সহযোগীর বিষয়ে জানতে চান দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে না পারায় ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মারধরও করা হয়েছে তাঁকে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এমন পরিস্থিতি চলার পর অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। এরপর গোটা ঘটনাটি জানানো হয় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর দুই সহযোগিকে। তাঁরাই লতিফকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানায় একে একে জড়ো হতে শুরু করেন স্থানীয় লোকজন। আসেন পৌরসভার 7 এবং 8 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরও। এরপর রাতেই দুই কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মধ্যমগ্রাম থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে জগদ্দল জুটমিল বন্ধ, কর্মহীন 4 হাজার
লতিফের ব্যবসার এক পার্টনার রফিকুল ইসলাম বলেন, "কী কারণে দুষ্কৃতীরা আমাদের দুই ভাইকে খুঁজছিল তা বলতে পারব না। আমরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করে থাকি এলাকায়। কোনও ব্যাক্তিগত কিংবা ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদও নেই আমাদের। ফলে, বুঝে উঠতে পারছি না কেন দুষ্কৃতীদের এই দাপাদাপি? পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক এটাই আমরা চাই।" একই সুর শোনা গিয়েছে মধ্যমগ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি ও কাউন্সিলর সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন,"ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কিংবা ব্যাক্তিগত শত্রুতা থাকলেও এই ঘটনা কাম্য নয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।"