মধ্যমগ্রাম, 21 মে : ব্যাপক হারে বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের আতঙ্কে কার্যত দিশেহারা সাধারণ মানুষ । কোথাও অক্সিজেনের ঘাটতি,আবার কোথাও পর্যাপ্ত ওষুধ এবং বেডের অপ্রতুলতা । এমনই বেলাগাম পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন রোগীদের জন্য ফের সেফ হোম চালু হল মধ্যমগ্রামে । মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সংলগ্ন যশোর রোডের পাশে একটি নির্মীয়মাণ কমপ্লেক্সকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেফ হোম হিসেবে । মধ্যমগ্রাম পৌরসভার উদ্যোগে সুসজ্জিত এই সেফ হোমে রয়েছে 80টি শয্যা । রয়েছে চিকিৎসার যাবতীয় বন্দোবস্তও ।
শুক্রবার বিকেলে যার সূচনা করলেন পৌরসভার প্রশাসক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ । পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেফ হোমে থাকছে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে আক্রান্ত রোগীদের মনোরঞ্জনের যাবতীয় ব্যবস্থা । রাখা হয়েছে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক বন্দোবস্তও ।
করোনা সংক্রমণের মাত্রা লাগামহীন হারে বৃদ্ধি পেতেই মধ্যমগ্রাম পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় আবারও নতুন করে সেফ হোম চালু করা হবে । এজন্য গতবারের পুরনো সেফ হোমকেই নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে । শয্যা থেকে অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, সংক্রমিত রোগীদের পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ, সবকিছুর বন্দোবস্ত করার পরই এদিন সেফ হোম চালু করা হয়েছে । মূলত, মৃদু উপসর্গ এবং উপসর্গহীন যে সমস্ত সংক্রমিত রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসায় অসুবিধে রয়েছে, তাঁদেরকেই সেফ হোমে রাখার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে । সেফ হোমে কোনও রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে বারাসতের কোভিড হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে । সেফ হোমের দ্বিতীয় তল থাকছে পুরুষদের জন্য । সেখানে রয়েছে 40টি শয্যা । তৃতীয় তলে মহিলাদের জন্যও রয়েছে 40টি শয্যা ।
আরও পড়ুন : টিকাকরণে মানুষের সুবিধার্থে ওয়েবসাইট খুলল বারাসতের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র
এই বিষয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "পৌরসভার তরফে আগেও সেফ হোম করা হয়েছিল । আবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন ভাবে সেফ হোম করতে হয়েছে । এখানে চিকিৎসক,নার্স থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বক্ষণের জন্য থাকবেন । অক্সিজেন এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার বন্দোবস্তও থাকছে । খাওয়া-দাওয়া,সংক্রমিত রোগীদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে সেফ হোমে । যাতে মনে হয়,সংক্রমিত রোগীরা বাড়িতেই রয়েছেন ৷"