আমডাঙা (উত্তর 24 পরগনা), 4 মে : গাঁজা, হেরোইনের রমরমা ব্যবসার (Ilegal Drug Business) জেরে এলাকায় বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ । দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা । এমনই অভিযোগ উত্তর 24 পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার বাসিন্দাদের ৷ এই অভিযোগ তুলেই বুধবার ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দিল হেরোইনের ঠেকে (Locals demolish makeshift drug hubs on National Highway) । পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ৷ তবে পুলিশ কয়েকজন হেরোইন কারবারিকে আটক করলেও মূল পান্ডা হাফিজুল ইসলাম পলাতক । তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমডাঙার কাছারি মোড়ে 34 নম্বর জাতীয় সড়কের (NH 34) পাশেই পুলিশের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছিল গাঁজা, হেরোইনের কারবার । দোকানের আড়ালে এই কারবার ফেঁদে বসেছিলেন হাফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী । রাতবিরেতে সেখানে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছিল । নেশায় চূড় হয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপও ঘটাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা ।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে প্রকাশ্যে গাঁজা, হেরোইনের ব্যবসা চললেও তা বন্ধ করতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ-প্রশাসন । সেই কারণেই বুধবার এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ হেরোইনের ঠেকে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিল জিনিসপত্রে ।
খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ ঘটনাস্থালে যায় ৷ ক্ষিপ্ত জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু বাসিন্দারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কারবারের মূল পান্ডা হাফিজুলকে গ্রেফতার করতে হবে । ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মদ, গাঁজা ও হেরোইনের কারবার বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে । নইলে আন্দোলনে নামতেও পিছপা হবেন না তাঁরা । পরে পুলিশি আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
এই বিষয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে, হেরোইন কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এদিন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে ।তাদের জেরা করে মূল পান্ডা হাফিজুলের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে । আশা করা যায়, শীঘ্রই তারও হদিস মিলবে ।
আরও পড়ুন : Bagdah Rape Case : জামিনে ছাড়া পেয়ে অভিযোগকারিণীকে ফের ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার যুবক