ETV Bharat / state

বারাসতের জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল, বিক্ষোভ বামেদের

author img

By

Published : Jul 10, 2020, 10:23 PM IST

জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল বামেরা ৷ বারাসতের যশোর রোডের পাশে একটি নার্সিংহোমকে কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ নার্সিংহোমটি জনবহুল এলাকায় হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের সমর্থনে বাম নেতা-কর্মীরা আজ দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান ৷

corona hospital in populated area
জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল

বারাসত, 10 জুলাই : জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নামল বামেরা । আজ সকালে বারাসত-চাঁপাডালি মোড়ে যশোর রোডের পাশে এক নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা । আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় । এই বেসরকারি নার্সিংহোমকেই কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এই মর্মে সম্প্রতি নির্দেশিকাও এসেছে জেলা প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি চাউর হতেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা । এবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হল বামেরাও । ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখায় । বামেদের এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারাও । প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ । এর জেরে সাময়িকভাবে পরিষেবা ব্যাহত হয় নার্সিংহোমের । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

লকডাউন শিথিল হতেই রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে । প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে । আক্রান্তের নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা । এই জেলায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে । হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে এখানে । এতদিন সংক্রমিতের চিকিৎসার জন্য বারাসতে একটিই কোরোনা হাসপাতাল ছিল । বারাসতের কদম্বগাছির ওই কোরোনা হাসপাতালে দিনদিন চাপ বাড়ছিল । চাপ কমাতে বারাসতে আরও একটি কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই জন্য বেছে নেওয়া হয় বারাসত চাঁপাডালি মোড়ের কাছে মেগাসিটি নার্সিংহোমকে । স্বাস্থ্যদপ্তরের এক নির্দেশিকা এসে পৌঁছায় জেলা প্রশাসনের কাছে । এরপরই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে ।

এদিকে সরকারি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা । কারণ এলাকাটি জনবহুল । ওই নার্সিংহোমের পাশেই একাধিক আবাসন ও দোকানপাট রয়েছে । তা ছাড়া নার্সিংহোমের অদূরেই রয়েছে মাছের আড়ত,অটো ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ডও । সেখানে নিয়মিত মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে একরকম একটি জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল হলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে । এসবের মধ্যেই এবার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বাম কর্মী-সমর্থকরা । তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন কয়েকজন আবাসিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ।

বিক্ষোভ বামেদের
এই বিষয়ে জেলার বাম নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন,"মানুষের প্রয়োজনেই আমরা পথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি।না হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আন্দোলন ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই"।সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,"সাধারন মানুষ বুঝতে পারলেও প্রশাসনের বোঝার কোথাও অভাব রয়েছে । এখানে কোরোনা হাসপাতাল হলে বড় কিছু ঘটার অপেক্ষায় রয়েছে বারাসত শহর।সরকার এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে ফাইনাল তো দূরের কথা,কোয়ার্টার ফাইনালও করা যাবে না "। জনবহুল এলাকায় কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই বাম নেতা এদিকে,বিষয়টি নিয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বারবার তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।ফলে,কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলাশাসকের।তবে,জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন,"কোরোনা হাসপাতালে যে ধরনের সুরক্ষাবিধি মেনে কাজ করা হয় তা বেসরকারি ওই নার্সিংহোমের ক্ষেত্রেও করা হবে। তাই এই নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারন নেই। অযথা আতঙ্কিত হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

বারাসত, 10 জুলাই : জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নামল বামেরা । আজ সকালে বারাসত-চাঁপাডালি মোড়ে যশোর রোডের পাশে এক নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা । আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় । এই বেসরকারি নার্সিংহোমকেই কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এই মর্মে সম্প্রতি নির্দেশিকাও এসেছে জেলা প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি চাউর হতেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা । এবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হল বামেরাও । ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখায় । বামেদের এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারাও । প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ । এর জেরে সাময়িকভাবে পরিষেবা ব্যাহত হয় নার্সিংহোমের । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

লকডাউন শিথিল হতেই রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে । প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে । আক্রান্তের নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা । এই জেলায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে । হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে এখানে । এতদিন সংক্রমিতের চিকিৎসার জন্য বারাসতে একটিই কোরোনা হাসপাতাল ছিল । বারাসতের কদম্বগাছির ওই কোরোনা হাসপাতালে দিনদিন চাপ বাড়ছিল । চাপ কমাতে বারাসতে আরও একটি কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই জন্য বেছে নেওয়া হয় বারাসত চাঁপাডালি মোড়ের কাছে মেগাসিটি নার্সিংহোমকে । স্বাস্থ্যদপ্তরের এক নির্দেশিকা এসে পৌঁছায় জেলা প্রশাসনের কাছে । এরপরই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে ।

এদিকে সরকারি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা । কারণ এলাকাটি জনবহুল । ওই নার্সিংহোমের পাশেই একাধিক আবাসন ও দোকানপাট রয়েছে । তা ছাড়া নার্সিংহোমের অদূরেই রয়েছে মাছের আড়ত,অটো ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ডও । সেখানে নিয়মিত মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে একরকম একটি জনবহুল এলাকায় কোরোনা হাসপাতাল হলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে । এসবের মধ্যেই এবার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বাম কর্মী-সমর্থকরা । তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন কয়েকজন আবাসিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ।

বিক্ষোভ বামেদের
এই বিষয়ে জেলার বাম নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন,"মানুষের প্রয়োজনেই আমরা পথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি।না হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আন্দোলন ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই"।সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,"সাধারন মানুষ বুঝতে পারলেও প্রশাসনের বোঝার কোথাও অভাব রয়েছে । এখানে কোরোনা হাসপাতাল হলে বড় কিছু ঘটার অপেক্ষায় রয়েছে বারাসত শহর।সরকার এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে ফাইনাল তো দূরের কথা,কোয়ার্টার ফাইনালও করা যাবে না "। জনবহুল এলাকায় কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই বাম নেতা এদিকে,বিষয়টি নিয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বারবার তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।ফলে,কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলাশাসকের।তবে,জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন,"কোরোনা হাসপাতালে যে ধরনের সুরক্ষাবিধি মেনে কাজ করা হয় তা বেসরকারি ওই নার্সিংহোমের ক্ষেত্রেও করা হবে। তাই এই নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারন নেই। অযথা আতঙ্কিত হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.