ETV Bharat / state

সংস্কারের অভাবে মজে রাজ্যের বৃহত্তম বিল, দূষিত জলে ক্ষতি চাষে

আয়তনে রাজ্যে বৃহত্তম বর্তির বিল। দৈর্ঘ্যে ১০ কিমি ও প্রস্থে ৮ কিমি । চাষের জন্য বিলের জলের ওপর প্রায় ২৫টি গ্রামের চাষিরা নির্ভরশীল । দু'বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিলের অনেকটাই মজে গিয়েছে । সেই মজে যাওয়া বিলেই এখন আশপাশের কারখানার দূষিত জল ফেলা হয় । কারখানার দূষিত জল উপচে মিশছে চাষের জমিতে । এর জেরে ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের ।

author img

By

Published : Jan 11, 2020, 1:23 AM IST

Updated : Jan 11, 2020, 4:33 AM IST

farmers-suffering
পথে নেমেছেন চাষিরা

আমডাঙা, ১১ জানুয়ারি : আমডাঙায় বর্তির বিলের সংস্কার হয়েছিল দু-বছর আগে । তারপর প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও বিলের সংস্কার হয়নি । এর জেরে বিলের দূষিত জল এলাকায় চাষের জমিতে মিশে ফসলের ক্ষতি করছে । তাই বিল সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা । শুক্রবার দুপুরে আমডাঙার কয়েকশো চাষি বারাসত-ব্যারাকপুর সড়কে নীলগঞ্জ ব্যাংকের মোড়ে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ।

আয়তনে রাজ্যে বৃহত্তম বর্তির বিল। দৈর্ঘ্যে ১০ কিমি ও প্রস্থে ৮ কিমি । চাষের জন্য বিলের জলের ওপর প্রায় ২৫টি গ্রামের চাষিরা নির্ভরশীল । দু'বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিলের অনেকটাই মজে গিয়েছে । সেই মজে যাওয়া বিলেই এখন আশপাশের কারখানার দূষিত জল ফেলা হয় । কারখানার দূষিত জল উপচে মিশছে চাষের জমিতে । এর জেরে ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের । দীপক বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক চাষি বলেন,"দু'বছর ধরে বর্তির বিল সংস্কার হয়নি । তার উপর এলাকার কারখানাগুলির দূষিত জল বিলে ফেলা হয় । সেই জল চাষের জমিতে মিশে ধান,পাট ও পিঁয়াজের ফলনের ক্ষতি করছে । পঞ্চায়েত অফিস থেকে BDO -সব জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছে । কাজের কাজ কিছু হয়নি । তাই আজ আমরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছি ।"

সমস্যার কথা স্বীকার করে চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে দুষেছেন বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোবারক হোসেন । তিনি বলেন,"সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কিছু করেনি। আমাদের ক্ষমতা সীমিত । আমরা শুধু প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে পারি । কিন্তু সমস্যার সমাধান করা প্রশাসনের কাজ । সমস্যার সমাধানে আমরা আবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করব । "

বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস এই বিষয়ে বলেন, "চাষিদের সমস্যার কথা শুনেছি । কারখানাগুলো ব্যারাকপুর মহকুমার মধ্যে পড়ে । ওখানকার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা মেটাতে হবে ।"

আমডাঙা, ১১ জানুয়ারি : আমডাঙায় বর্তির বিলের সংস্কার হয়েছিল দু-বছর আগে । তারপর প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও বিলের সংস্কার হয়নি । এর জেরে বিলের দূষিত জল এলাকায় চাষের জমিতে মিশে ফসলের ক্ষতি করছে । তাই বিল সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা । শুক্রবার দুপুরে আমডাঙার কয়েকশো চাষি বারাসত-ব্যারাকপুর সড়কে নীলগঞ্জ ব্যাংকের মোড়ে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ।

আয়তনে রাজ্যে বৃহত্তম বর্তির বিল। দৈর্ঘ্যে ১০ কিমি ও প্রস্থে ৮ কিমি । চাষের জন্য বিলের জলের ওপর প্রায় ২৫টি গ্রামের চাষিরা নির্ভরশীল । দু'বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিলের অনেকটাই মজে গিয়েছে । সেই মজে যাওয়া বিলেই এখন আশপাশের কারখানার দূষিত জল ফেলা হয় । কারখানার দূষিত জল উপচে মিশছে চাষের জমিতে । এর জেরে ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের । দীপক বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক চাষি বলেন,"দু'বছর ধরে বর্তির বিল সংস্কার হয়নি । তার উপর এলাকার কারখানাগুলির দূষিত জল বিলে ফেলা হয় । সেই জল চাষের জমিতে মিশে ধান,পাট ও পিঁয়াজের ফলনের ক্ষতি করছে । পঞ্চায়েত অফিস থেকে BDO -সব জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছে । কাজের কাজ কিছু হয়নি । তাই আজ আমরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছি ।"

সমস্যার কথা স্বীকার করে চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে দুষেছেন বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মোবারক হোসেন । তিনি বলেন,"সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কিছু করেনি। আমাদের ক্ষমতা সীমিত । আমরা শুধু প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে পারি । কিন্তু সমস্যার সমাধান করা প্রশাসনের কাজ । সমস্যার সমাধানে আমরা আবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করব । "

বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস এই বিষয়ে বলেন, "চাষিদের সমস্যার কথা শুনেছি । কারখানাগুলো ব্যারাকপুর মহকুমার মধ্যে পড়ে । ওখানকার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা মেটাতে হবে ।"

Intro:রাজ্যে সবচেয়ে বড় বর্তির বিল সংস্কার হয়েছে আজ থেকে 2 বছর আগে।তারপর আর কোনও সংস্কার হয়নি। প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে সংস্কারের বিষয়ে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। তার জেরে কারখানার নিগর্ত দূষিত জল উপচে চাষের জমিতে মিশছে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এই পরিস্থিতিতে এবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। Body:রাজু বিশ্বাস,আমডাঙাঃ-রাজ্যের সবচেয়ে বড় বর্তির বিল সংস্কার হয়েছিল আজ থেকে দু-বছর আগে।তারপর আর কোনও সংস্কার হয়নি এই বিলের।প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে বিল সংস্কারের বিষয়ে।কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।তার জেরে কারখানার নিগর্ত দূষিত জল উপচে চাষের জমিতে মেশায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।এই পরিস্থিতিতে এবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।বর্তির বিল সংস্কার সহ কারখানার নিগর্ত দূষিত জল আটকানোর দাবিতে আজ দুপুরে বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের নীলগঞ্জ ব্যাংকের মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।সামিল হন আমডাঙার বেড়াবেড়ি ও তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের কয়েকশো চাষী।প্লাকার্ড হাতে চলে স্লোগানও।আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ ওই রোডের যান চলাচল।খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখায় আন্দোলনকারীরা।ফলে,সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।এরপর,পুলিশের আশ্বাসে প্রায় ঘন্টা খানেক পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।জানা গেছে,রাজ্যের সবচেয়ে বড় বিল হল এই বর্তির বিল।এই বিলের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার।প্রস্থ ৮ কিলোমিটার।এই বিলের পূর্ব দিকে রয়েছে আমডাঙা।আর পশ্চিম দিকে রয়েছে নৈহাটি,ভাটপাড়া,জগদ্দল।তবে,এই বিলের অধিকাংশই পড়ে আমডাঙা ব্লকের মধ্যে। বিলের জলের ওপর প্রায় ২৫টি গ্রামের চাষিদের নির্ভর করে থাকতে হয়।গত দু'বছর ধরে বিল সংস্কার না হওয়ায় বর্তির বিল মজে শুকিয়ে গিয়েছে।সেই মজে যাওয়া বিলেই এখন আশপাশের কারখানার দূষিত জল এসে পড়ছে। একদিকে ঠিকমতো জল না পাওয়ার অভিযোগ,তার ওপর কারখানার দূষিত জল উপচে মিশছে চাষের জমিতে।এই দুয়ের যাঁতাকলে পড়ে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের।তার ফলে মাথায় হাত পড়েছে তাদের।রবিশস্য থেকে শুরু করে ধান,পাট,পেঁয়াজের মতো অগ্নিমূল্য জিনিসও কারখানার দূষিত জলে ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ।দীপক বিশ্বাস নামে এক চাষি বলেন," দু'বছর ধরে বর্তির বিল সংস্কার হয়নি।তার ফলে কারখানার নিগর্ত দূষিত জল উপচে মিশছে চাষের জমিতে।ধান,পাট সহ পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বিডিও সব জায়গাতেই অভিযোগ জানানো হয়েছে।কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।তাই,আজ আমরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছি"।সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে আমরন অনশন করারও হুমকি দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।এদিকে,সমস্যার কথা স্বীকার করে চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে এবিষয়ে প্রশাসনকেই দুষেছেন বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মোবারক হোসেন।তিনি বলেন," সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কিছু করেনি।আমাদের ক্ষমতা সীমিত। আমরা শুধু প্রশাসনকে আবেদন করতে পারি। সমাধান করার কাজ প্রশাসনেরই।সমস্যার সমাধানে আমরা আবারও প্রশাসনের কাছে আবেদন করব"।Conclusion:অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"চাষিদের সমস্যার কথা শুনেছি। যেহেতু কারখানাগুলো ব্যারাকপুর মহকুমার মধ্যে পড়ে, সেহেতু ওখানকার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে"।তবে,দ্রুত আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
Last Updated : Jan 11, 2020, 4:33 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.