কলকাতা, 15 জুন : "রাজ্যপাল ভুলে গিয়েছেন উনি একজন নিরপেক্ষ পদ আধিকারিক । ওখানে বসে বিজেপির হয়ে কাজকর্ম না করে, রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে, ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি হয়ে কাজ করুন । তাতে দলটার ভাল হবে ।" মঙ্গলবার অশোকনগর পৌরসভায় এসে রাজ্যপালকে এভাবেই তীব্রভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।
মঙ্গলবার উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর পৌরসভাকে অত্যাধুনিক অক্সিজেন প্লান্ট দিতে আসেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । পৌরসভার হাতের দুটি অত্যাধুনিক অক্সিজেন প্লান্ট তুলে দেন তিনি । সেখানই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের দিল্লি যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "রাজ্যপাল ভুলে গিয়েছেন উনি একজন নিরপেক্ষ পদে রয়েছেন ।" এরপর তিনি কটাক্ষ করে বলেন, রাজভবনটা বিজেপির পার্টি অফিস নয় । ওখানে থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির কাজকর্ম না করে, যদি উনি ইস্তফা দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পার্টি অফিসে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়ে কাজ করুন ৷ রাজ্যপালকে এমনই পরামর্শ দেন তৃণমূল সাংসদ ৷ আর এতে, বিজেপি দলেরই ভাল হবে বলে মনে করেন কাকলি ৷
প্রসঙ্গত আজ বিকেলে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির 51 জন বিধায়কের থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ পান জগদীপ ধনকড় ৷ আর এই অভিযোগ পাওয়ার কয়েঘণ্টার মধ্যেই এহেন দিল্লি সফর রাজনৈতিক মহলে একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে ৷ তবে সফরসূচি সম্বন্ধে বিস্তারিত কিছুই জানাননি রাজ্যপাল ৷ তবে অভিযোগ পত্র জমা পাওয়ার পরেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে টুইট করেন রাজ্যপাল ৷ লেখেন, "বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না । মানুষ রায় দিয়েছেন । কিন্তু প্রশাসন তার কাজ করছে না । বরং প্রশাসনিক কর্তারা আগুন নিয়ে খেলছেন । রাজ্যে লাগাতার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে । অথচ একবারের জন্যও সেই জায়গাগুলিতে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী । লাগাতার হিংসা সত্ত্বেও নীরব রয়েছে প্রশাসন । আমি আশা করব, তিনি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবেন ৷" আর এই বিষয় নিয়েই রাজ্যপালকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ ৷
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar : রাজ্যপালের কড়া চিঠিতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল
এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা নেতাদের প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, "বিজেপিতে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই ।" এরপর তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বলেন, গায়ের জোরে ভুল বুঝিয়ে ভোট দখল করতে চেয়েছিল বিজেপি । কিন্তু বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর বিশ্বাস রেখেছেন ৷