বিধাননগর, 28 অক্টোবর: দীর্ঘ 12 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার রাতে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে জানালেন, তিনি বাকিবুর রহমানকে চিনতেন এবং মন্ত্রীর দফতরে যাতায়াত ছিল বাকিবুরের ৷ এদিন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি চিনতাম বাকিবুর রহমানকে ৷ অফিসে আসত। ডিপার্টমেন্টে যেভাবে সবাই আসত, উনিও সেভাবেই আসতেন।"
ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে এদিন অমিত দে আরও বললেন, "যেদিন ইডি আমার বাড়ি গিয়েছিল সেদিন মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল, আজ তা খুলে দেখেছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুরকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন আমায় করেনি। দুর্নীতি নিয়ে আমি কিছু জানি না, তদন্তকারীরা আমাকে কিছু বলেনওনি । ওনার সঙ্গে ক্লোজ থাকি (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে) বলে জানতে চেয়েছে আর কিছু জানি কি না। বাকিবুর রহমানের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না।"
সূত্রের খবর, ইডি তদন্তকারীরা এদিন অমিত দেকে তিনপাতা প্রশ্ন মালা দেন ৷ বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই তিনি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এদিন অমিত দে যা বয়ান দিয়েছেন লিখিতভাবে সেই বয়ান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন এবং মেলানো হবে তাঁর লিখিত বয়ানের সঙ্গে রেশনবন্টন দুর্নীতি মামলায় যে নথি পাওয়া গিয়েছে তার কোনও সংযোগ আছে কি না ৷ আরও কোনও তথ্যের প্রয়োজনে ফের তাঁকে ডাকা হতেও পারে ৷
আরও পড়ুন: বাকিবুর রহমানের উত্থান সিপিএম আমলেই ! দাবি জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়কের
শুক্রবারের পর এদিন ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেন রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে । বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ে দুটি ফোন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি বাজেয়াপ্ত করেছিল ৷ এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে একাধিক ডিজিটাল ডকুমেন্ট এবং নথি উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা ৷ এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন অমিত দে ৷