নৈহাটি, 16 নভেম্বর: দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলেন কর্মকর্তারা! এবছর পুলিশ প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির সতর্কতায় নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জন হল নির্বিঘ্নেই । বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বড়মার বিসর্জন দেখতে নৈহাটি অরবিন্দ রোডে ভিড় করতে শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ । তাই ভিড় সামাল দিতে এদিন ঘোষপাড়া রোডের ভাটপাড়া মোড় থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট । ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নৈহাটি স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে জায়গায় জায়াগায় ব্যারিকেড করা হয় ৷
সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয় নৈহাটি চুঁচুড়া ফেরি পরিষেবা । সকাল থেকেই বড়মার নবনির্মিত মন্দিরে শুরু হয় প্রস্তুতি পর্ব ৷ ২২ ফুট উচ্চতার এই প্রতিমাকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ৷ প্রতিমার অলংকার খোলার কাজ শুরু হয় সকাল থেকে ৷ প্রতিমা সাজানো হয়েছিল 100 ভরি সোনা ও 200 ভরি রূপোর গয়না দিয়ে ৷
দুপুর নাগাদ প্রায় ১লক্ষ ২৫হাজার টাকার ফুলে সাজানো হয় প্রতিমা । ততক্ষণে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমিয়ে ফেলে অরবিন্দ রোডে । পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এবং বড়কালী পুজো সমিটির সভাপতি তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন । শেষ মুহূর্তে বড়মাকে একবার দর্শন করতে ভক্তরা নৈহাটি ফেরিঘাটেও ভিড় জমান ।
সেখানে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,বিধায়ক সুবোধ অধিকারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন । নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বড়মাকে বরণের পর বেলা তিনটের সময় যখন ট্রলি টেনে মাকে গঙ্গার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
সূত্রের খবর, মন্দির কমিটির তরফে এদিন প্রায় পাঁচশো স্বেচ্ছাসেবকের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বড়মার ভাসান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে । পুজোর কটা দিন এবং নিরঞ্জনের সময় মিলিয়ে প্রায় 25 লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় হল মন্দির প্রাঙ্গণে । গত বছর নৈহাটির বড়মার বিসর্জন দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় এক যুবকের । এই দুর্ঘটনার পর অরবিন্দ রোড আরও চওড়া করতে রাস্তার দু'ধারের হকারদের স্থানান্তরিত করা হয় অন্যত্র । এমনকি বৈদ্যুতিক তার-ও নিয়ে যাওয়া হয় মাটির নীচ দিয়ে । এদিন বাড়তি সতর্কতা মেনে পুলিশ এবং পুজো কমিটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে নিরঞ্জন।
আরও পড়ুন:
'হাজার হাত কালী মা'কে দেখতে উপচে পড়া ভিড় বারাসতে
প্রতিমা নয়, 60 বছর ধরে বাড়ির বড় বউকে কালীরূপে পুজো করে বাঁকুড়ার সাঁতরা পরিবার