ETV Bharat / state

Kali Immersion in Naihati: দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা! নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জন - undefined

immersion of Boro Maa in Naihati: গত বছর নিরঞ্জন দেখতে এসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় এক যুবকের । এবছর তাই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হল নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে ৷ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল বিসর্জন পর্ব ৷

naihati boroma vasan
এবছর নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল জাগ্রত বড়মার নিরঞ্জন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 16, 2023, 11:03 PM IST

নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জন

নৈহাটি, 16 নভেম্বর: দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলেন কর্মকর্তারা! এবছর পুলিশ প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির সতর্কতায় নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জন হল নির্বিঘ্নেই । বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বড়মার বিসর্জন দেখতে নৈহাটি অরবিন্দ রোডে ভিড় করতে শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ । তাই ভিড় সামাল দিতে এদিন ঘোষপাড়া রোডের ভাটপাড়া মোড় থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট । ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নৈহাটি স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে জায়গায় জায়াগায় ব্যারিকেড করা হয় ৷

সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয় নৈহাটি চুঁচুড়া ফেরি পরিষেবা । সকাল থেকেই বড়মার নবনির্মিত মন্দিরে শুরু হয় প্রস্তুতি পর্ব ৷ ২২ ফুট উচ্চতার এই প্রতিমাকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ৷ প্রতিমার অলংকার খোলার কাজ শুরু হয় সকাল থেকে ৷ প্রতিমা সাজানো হয়েছিল 100 ভরি সোনা ও 200 ভরি রূপোর গয়না দিয়ে ৷

দুপুর নাগাদ প্রায় ১লক্ষ ২৫হাজার টাকার ফুলে সাজানো হয় প্রতিমা । ততক্ষণে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমিয়ে ফেলে অরবিন্দ রোডে । পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এবং বড়কালী পুজো সমিটির সভাপতি তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন । শেষ মুহূর্তে বড়মাকে একবার দর্শন করতে ভক্তরা নৈহাটি ফেরিঘাটেও ভিড় জমান ।

সেখানে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,বিধায়ক সুবোধ অধিকারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন । নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বড়মাকে বরণের পর বেলা তিনটের সময় যখন ট্রলি টেনে মাকে গঙ্গার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷

সূত্রের খবর, মন্দির কমিটির তরফে এদিন প্রায় পাঁচশো স্বেচ্ছাসেবকের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বড়মার ভাসান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে । পুজোর কটা দিন এবং নিরঞ্জনের সময় মিলিয়ে প্রায় 25 লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় হল মন্দির প্রাঙ্গণে । গত বছর নৈহাটির বড়মার বিসর্জন দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় এক যুবকের । এই দুর্ঘটনার পর অরবিন্দ রোড আরও চওড়া করতে রাস্তার দু'ধারের হকারদের স্থানান্তরিত করা হয় অন্যত্র । এমনকি বৈদ্যুতিক তার-ও নিয়ে যাওয়া হয় মাটির নীচ দিয়ে । এদিন বাড়তি সতর্কতা মেনে পুলিশ এবং পুজো কমিটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে নিরঞ্জন।

আরও পড়ুন:
'হাজার হাত কালী মা'কে দেখতে উপচে পড়া ভিড় বারাসতে

প্রতিমা নয়, 60 বছর ধরে বাড়ির বড় বউকে কালীরূপে পুজো করে বাঁকুড়ার সাঁতরা পরিবার

নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জন

নৈহাটি, 16 নভেম্বর: দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলেন কর্মকর্তারা! এবছর পুলিশ প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির সতর্কতায় নৈহাটির বড়মার নিরঞ্জন হল নির্বিঘ্নেই । বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বড়মার বিসর্জন দেখতে নৈহাটি অরবিন্দ রোডে ভিড় করতে শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ । তাই ভিড় সামাল দিতে এদিন ঘোষপাড়া রোডের ভাটপাড়া মোড় থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট । ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নৈহাটি স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে জায়গায় জায়াগায় ব্যারিকেড করা হয় ৷

সকাল থেকেই বন্ধ রাখা হয় নৈহাটি চুঁচুড়া ফেরি পরিষেবা । সকাল থেকেই বড়মার নবনির্মিত মন্দিরে শুরু হয় প্রস্তুতি পর্ব ৷ ২২ ফুট উচ্চতার এই প্রতিমাকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ৷ প্রতিমার অলংকার খোলার কাজ শুরু হয় সকাল থেকে ৷ প্রতিমা সাজানো হয়েছিল 100 ভরি সোনা ও 200 ভরি রূপোর গয়না দিয়ে ৷

দুপুর নাগাদ প্রায় ১লক্ষ ২৫হাজার টাকার ফুলে সাজানো হয় প্রতিমা । ততক্ষণে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমিয়ে ফেলে অরবিন্দ রোডে । পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এবং বড়কালী পুজো সমিটির সভাপতি তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন । শেষ মুহূর্তে বড়মাকে একবার দর্শন করতে ভক্তরা নৈহাটি ফেরিঘাটেও ভিড় জমান ।

সেখানে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,বিধায়ক সুবোধ অধিকারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন । নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বড়মাকে বরণের পর বেলা তিনটের সময় যখন ট্রলি টেনে মাকে গঙ্গার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷

সূত্রের খবর, মন্দির কমিটির তরফে এদিন প্রায় পাঁচশো স্বেচ্ছাসেবকের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বড়মার ভাসান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে । পুজোর কটা দিন এবং নিরঞ্জনের সময় মিলিয়ে প্রায় 25 লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় হল মন্দির প্রাঙ্গণে । গত বছর নৈহাটির বড়মার বিসর্জন দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় এক যুবকের । এই দুর্ঘটনার পর অরবিন্দ রোড আরও চওড়া করতে রাস্তার দু'ধারের হকারদের স্থানান্তরিত করা হয় অন্যত্র । এমনকি বৈদ্যুতিক তার-ও নিয়ে যাওয়া হয় মাটির নীচ দিয়ে । এদিন বাড়তি সতর্কতা মেনে পুলিশ এবং পুজো কমিটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে নিরঞ্জন।

আরও পড়ুন:
'হাজার হাত কালী মা'কে দেখতে উপচে পড়া ভিড় বারাসতে

প্রতিমা নয়, 60 বছর ধরে বাড়ির বড় বউকে কালীরূপে পুজো করে বাঁকুড়ার সাঁতরা পরিবার

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.