ETV Bharat / state

Illegal Firecrackers Recovered: বারাসতের বেআইনি কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি - শব্দবাজি

Crackers Recovered: দত্তপুকুরের পর এবার বারাসতের আরিফবাড়ি আক্রামপুর এলাকায় বাজি মজুত করা একটি বাড়ি ও দু'টি গোডাউনের হদিশ পায় পুলিশ ৷ অভিযান চালিয়ে ট্রাকভরতি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

Etv Bharat
বেআইনি বাজি কারবারের হদিস বারাসতে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 29, 2023, 11:00 PM IST

বারাসতে বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজি

বারাসত, 29 অগস্ট: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের পর টনক নড়েছে পুলিশের। এবার তল্লাশি অভিযানে বেআইনি বাজির গোডাউনের হদিশ মিলল বারাসতে। উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে একটি টিম হানা দেয় বারাসতের আরিফবাড়ি আক্রামপুর এলাকায় । সেখানে একটি বাড়ি ও দু'টি গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পেটি ভরতি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। তবে, বেআইনি এই বাজি কারবারের সঙ্গে যুক্ত কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশি অভিযানের আগেই কারবারিরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চুদেবী মাহাতো বলেন, "দু'বছর ধরেই এই কারবার চলছে এখানে। আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করে না ৷ একা বলে কী হবে ৷ তবে প্রভাবশালী কেউ এর নেপথ্যে রয়েছেন কি না, বলতে পারব না ৷" স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, "অনেক দিন ধরেই দেখছি এখানে বাজি রাখা হয় ৷ কারা এই কাজ করেন বলতে পারব না ৷ তবে এখানে বিপুল পরিমাণে বাজি মজুত করে রাখা হয়েছে ৷ বিস্ফোরণ হলে আশেপাশের এলাকার সব শেষ হয়ে যাবে ৷"

সূত্রের খবর, বাইরে তৈরি করা বাজি এনে মজুত করা হত বারাসতের আরিফবাড়ি আক্রামপুর এলাকার গোডাউনে। পরবর্তীতে সেই বাজি প্যাকেটিং করে ঘুরপথে চলে যেত বিভিন্ন বাজারে। এই তিনটি গোডাউনে থরে থরে সাজানো ছিল পেটি ভর্তি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও। অন্যদিকে, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলের অদূরে বাজি তৈরির বেস ক‍্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকী, বাজি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও মোতায়েন করা হত বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পেশ করল এনআইএ

কিছুদিন আগেই দত্তপুকুররে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে 9 জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে ৷ ঘটনার পর বিস্ফোরণস্থল এবং তার আশপাশের গোডাউনে হানা দিয়ে দু'দিনে কয়েক হাজার কেজি বাজি ও বাজি তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এখনও বিভিন্ন জায়গায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। ফলে বাজি উদ্ধারের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

বারাসতে বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজি

বারাসত, 29 অগস্ট: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের পর টনক নড়েছে পুলিশের। এবার তল্লাশি অভিযানে বেআইনি বাজির গোডাউনের হদিশ মিলল বারাসতে। উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে একটি টিম হানা দেয় বারাসতের আরিফবাড়ি আক্রামপুর এলাকায় । সেখানে একটি বাড়ি ও দু'টি গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পেটি ভরতি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। তবে, বেআইনি এই বাজি কারবারের সঙ্গে যুক্ত কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশি অভিযানের আগেই কারবারিরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চুদেবী মাহাতো বলেন, "দু'বছর ধরেই এই কারবার চলছে এখানে। আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করে না ৷ একা বলে কী হবে ৷ তবে প্রভাবশালী কেউ এর নেপথ্যে রয়েছেন কি না, বলতে পারব না ৷" স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, "অনেক দিন ধরেই দেখছি এখানে বাজি রাখা হয় ৷ কারা এই কাজ করেন বলতে পারব না ৷ তবে এখানে বিপুল পরিমাণে বাজি মজুত করে রাখা হয়েছে ৷ বিস্ফোরণ হলে আশেপাশের এলাকার সব শেষ হয়ে যাবে ৷"

সূত্রের খবর, বাইরে তৈরি করা বাজি এনে মজুত করা হত বারাসতের আরিফবাড়ি আক্রামপুর এলাকার গোডাউনে। পরবর্তীতে সেই বাজি প্যাকেটিং করে ঘুরপথে চলে যেত বিভিন্ন বাজারে। এই তিনটি গোডাউনে থরে থরে সাজানো ছিল পেটি ভর্তি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও। অন্যদিকে, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলের অদূরে বাজি তৈরির বেস ক‍্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকী, বাজি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও মোতায়েন করা হত বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পেশ করল এনআইএ

কিছুদিন আগেই দত্তপুকুররে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে 9 জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে ৷ ঘটনার পর বিস্ফোরণস্থল এবং তার আশপাশের গোডাউনে হানা দিয়ে দু'দিনে কয়েক হাজার কেজি বাজি ও বাজি তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এখনও বিভিন্ন জায়গায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। ফলে বাজি উদ্ধারের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.