বনগাঁ, 13 জানুয়ারি: মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে এসে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে । ঘটনার পর থেকে পালাতক অভিযুক্ত । মৃতার নাম পূর্ণিমা মণ্ডল । বয়স 42 বছর । শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ কালোপুর খড়ের মাঠ এলাকায় । সাংসারিক অশান্তির কারণে খুন বলে দাবি পরিবারের ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চড়ুইগাছির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে নবদ্বীপের পূর্ণিমার বিয়ে হয়েছিল । অভিযোগ, জুয়া ও মদের নেশায় আসক্ত ছিল বিশ্বজিৎ । ঠিক মতো কাজকর্ম করতেন না তিনি । সংসার চালাতে লোকের বাড়িতে কাজ করতেন পূর্ণিমা । যাঁকে কেন্দ্র করে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত । মদ্যপ অবস্থায় পূর্ণিমাকে মারধর করতেন বিশ্বজিৎ ।
পরিবারের দাবি, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেও দিনরাত পরিশ্রম করে দুই মেয়েকে বড় করেছেন পূর্ণিমা । বড় মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন । সম্প্রতি বিশ্বজিতের সঙ্গে পূর্ণিমার অশান্তি চরমে পৌঁছয় ৷ তাই তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পরিকল্পনাও করেছিলেন ৷ ইতিমধ্যে ওই দম্পতির মধ্যে ফের অশান্তি হয় ৷ তাই বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ণিমা বনগাঁ কালোপুর খড়ের মাঠ এলাকায় তাঁর বড় মেয়ের বাড়িতে চলে আসেন ।
অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে বিশ্বজিৎ তাঁর এক প্রতিবেশীকে নিয়ে আসেন । এবং পূর্ণিমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন । তখন পূর্ণিমা তাঁকে জানান তিনি আর বিশ্বজিতের সঙ্গে সংসার করবেন না । এর পরই ওই দম্পতির মধ্যে ফের অশান্তি শুরু হয় ৷ তখন বিশ্বজিৎ পূর্ণিমাকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যান ।
তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিতের সঙ্গে আসা সদানন্দ মণ্ডল । তাঁর চিৎকারে পূর্ণিমার বড় মেয়ে এসে দেখেন মা বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন । তড়িঘড়ি পূর্ণিমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । বাবার শাস্তির দাবি জানিয়ে শুক্রবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ণিমার মেয়ে মৌ মণ্ডল । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: