দেগঙ্গা (উত্তর 24 পরগনা), 30 জানুয়ারি : 8 মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম রুকসানা বিবি (25) । ঘটনাটি দেগঙ্গার দক্ষিণ চৌরাসিয়া গ্রামের । মৃতের পরিবার শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে । পুলিশ মৃতের শওহর আবু শাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে । বাকিরা পলাতক ।
2018 সালে মাটিয়ার চৈতা গ্রামের রুকসানার সঙ্গে নিকাহ হয় আবু শাহিদের । নিকাহের সময় শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো নগদ টাকা সহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয় । কিন্তু,বিয়ের একমাস পরই আরও 50 হাজার টাকা বাবারবাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য রুকসানার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ । তা আনতে অমান্য করায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত । এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন রুকসানা । অভিযোগ, এরপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায় । রুকসানার আব্বা আব্বাস আলি মণ্ডল বলেন, "প্রায় একমাস আগে রুকসানাকে মারধর করে তার শওহর, শ্বশুর আয়েপ আলি, শাশুড়ি মুন্নি বিবি ও ননদাই খালেকুল মণ্ডল । মারধরের পর ওর মাথা দেওয়ালে পিছনে ঠুকে দেওয়া হয় । রক্ত, বমি শুরু হয় মেয়ের । ঘটনার কথা জানার পর আমরাই ওকে নিয়ে যাই দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে । কিন্ত,অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে । সেখানেই প্রায় একমাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল মেয়ে । মঙ্গলবার ভোররাতে মারা যায় ৷"
তাঁর অভিযোগ, "দাবিমতো 50 হাজার টাকা দিতে না পারার কারণেই ওকে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পিটিয়ে খুন করেছে । আমার মেয়েকে আর ফিরে পাব না । কিন্তু, খুনিদের কঠোর শাস্তি চাই ৷"
বুধবার দুপুরে দেগঙ্গা থানায় রুকসানার শওহর, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতের শওহরকে গ্রেপ্তার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, বাকিরা সকলেই পলাতক । তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।