দেগঙ্গা, 12 অগাস্ট : দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রাস্তার পাশেই PPE কিটসহ আবর্জনা প্লাস্টিকের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ ঘটনাকে ঘিরে গতকাল ব্যাপক শোরগোল পড়ে হাসপাতাল চত্বরে ৷ কোরোনা আবহে খোলা আকাশের নীচে এইভাবে PPE কিট সমেত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবর্জনা ফেলে রাখার ঘটনায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছেন এলাকাবাসীরা ৷ যদিও ঘটনাটি জানার পরই এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে সতর্ক করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ৷
কোরোনা পরীক্ষার লালারসের নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা একটি সেন্টার করা হয়েছে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৷ লালারসের নমুনার জন্য রোগীদের আসতে হয় এখানে ৷ আবার আশপাশের বাসিন্দারা যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরের রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন ৷ সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এদিন দুপুরে বাসিন্দাদের কয়েকজন লক্ষ্য করেন, রাস্তার পাশেই একটি নীল রঙের বড় প্যাকেট পড়ে রয়েছে ৷ কাছে এগোতেই দেখেন, প্যাকেটর মুখ আলগা হয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছে কোরোনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত দ্রব্যসহ PPE কিট ৷ ঘটনাটি চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে ৷
বাসিন্দাদের অভিযোগ,"এর আগেও এইভাবে খোলা আকাশের নিচে কোরোনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত জিনিসসহ PPE কিট পড়ে ছিল হাসপাতাল চত্বরে ৷ সেই সময় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বলার পর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় ৷ আবারও সেই একই ঘটনা ৷" এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা ৷
বাসিন্দাদের কথায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকেরাই যদি এতটা কাণ্ডজ্ঞানহীন ও অসতর্ক হন তাহলে তো সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়বে ৷ এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ৷ তাহলেই সাধারণ মানুষ আরও সুরক্ষিত থাকবে ৷
এই বিষয়ে উত্তর 24 জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"বিষয়টি নিয়ে দেগঙ্গার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ তাঁকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে ৷"কিন্তু খোলা আকাশের নিচে এইভাবে কোরোনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত জিনিস ফেলে রাখা যায় কি?এই প্রশ্নের উত্তরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "প্রতিদিনের বজ্র পদার্থ পুড়িয়ে ফেলা হয় জানতে পেরেছি এদিনও বর্জ্যপদার্থ পুড়িয়ে ফেলার জন্য জড়ো করা হয়েছিল সেখানে ৷ এইভাবে না রাখতে পারলেই ভালো হত ৷"