দেগঙ্গা , 22 এপ্রিল : লকডাউনে মিড ডে মিলে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন অভিভাবক ও গ্রামের বাসিন্দারা । বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । দেগঙ্গার গাম্ভীরগাছি বাস্তুতলা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ঘটনা ।
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আজ দুপুরে সরকার বরাদ্দ মিড ডে মিলের চাল ও আলু দেওয়া হয় । অভিভাবকদের হাতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা তুলে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা । চাল ও আলু নিয়ে অনেকে ফিরেও যান । এরই মাঝে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে সেখানে ভিড় করেন কয়েকজন অভিভাবক । তাঁরা দাবি করেন , আলু পরিমাণে কম দেওয়া হয়েছে । এরপরই অভিভাবকরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ আটকে রাখা হয় সহায়িকা ও কর্মীদের । দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি । তিনি অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
এবিষয়ে আজ়গর আলি, এমদাদুল ইসলাম নামে দুই অভিভাবক বলেন ,"সরকার বরাদ্দ মিড ডে মিলের এক কেজি চাল ও তিন কেজি আলু দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল । সেই মতো তা আনতে গিয়েছিলাম । বাড়ি ফিরে আলুর পরিমাণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা মাপা হয় । দেখা যায় , প্রায় 500 গ্রামের মতো আলু কম রয়েছে । আলুর পরিমাণ কম কেন , জিজ্ঞাসা করতেই সহায়িকা বলেন , পচা আলু বেরিয়েছে তাই কম দেওয়া হয়েছে । কিন্তু , উনি সেই পচা আলু দেখাতে পারেননি । সেই জন্যই ওনাকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে । সরকার গরিব পড়ুয়াদের যখন খাদ্যের ব্যবস্থা করছে , তখন কিছু লোক তাতেও ভাগ বসাতে চাইছে ৷ "
এদিকে , এই বিষয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলেন , "সরকারের বরাদ্দ মিড ডে মিলের জিনিস কম দেওয়া হলে তা কখনও বরদাস্ত করা হবে না । ওনাকে বলা হয়েছে , পচা আলু বের হলে তা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে । লকডাউন পরিস্থিতিতে সামগ্রী কম দেওয়া চলবে না ৷ "
মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ, বিক্ষোভ দেগঙ্গায় - মিড-ডে মিল
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ । বিক্ষোভ দেখানো হয় দেগঙ্গায় ।
দেগঙ্গা , 22 এপ্রিল : লকডাউনে মিড ডে মিলে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন অভিভাবক ও গ্রামের বাসিন্দারা । বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । দেগঙ্গার গাম্ভীরগাছি বাস্তুতলা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ঘটনা ।
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আজ দুপুরে সরকার বরাদ্দ মিড ডে মিলের চাল ও আলু দেওয়া হয় । অভিভাবকদের হাতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা তুলে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা । চাল ও আলু নিয়ে অনেকে ফিরেও যান । এরই মাঝে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে সেখানে ভিড় করেন কয়েকজন অভিভাবক । তাঁরা দাবি করেন , আলু পরিমাণে কম দেওয়া হয়েছে । এরপরই অভিভাবকরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ আটকে রাখা হয় সহায়িকা ও কর্মীদের । দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি । তিনি অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
এবিষয়ে আজ়গর আলি, এমদাদুল ইসলাম নামে দুই অভিভাবক বলেন ,"সরকার বরাদ্দ মিড ডে মিলের এক কেজি চাল ও তিন কেজি আলু দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল । সেই মতো তা আনতে গিয়েছিলাম । বাড়ি ফিরে আলুর পরিমাণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা মাপা হয় । দেখা যায় , প্রায় 500 গ্রামের মতো আলু কম রয়েছে । আলুর পরিমাণ কম কেন , জিজ্ঞাসা করতেই সহায়িকা বলেন , পচা আলু বেরিয়েছে তাই কম দেওয়া হয়েছে । কিন্তু , উনি সেই পচা আলু দেখাতে পারেননি । সেই জন্যই ওনাকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে । সরকার গরিব পড়ুয়াদের যখন খাদ্যের ব্যবস্থা করছে , তখন কিছু লোক তাতেও ভাগ বসাতে চাইছে ৷ "
এদিকে , এই বিষয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলেন , "সরকারের বরাদ্দ মিড ডে মিলের জিনিস কম দেওয়া হলে তা কখনও বরদাস্ত করা হবে না । ওনাকে বলা হয়েছে , পচা আলু বের হলে তা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে । লকডাউন পরিস্থিতিতে সামগ্রী কম দেওয়া চলবে না ৷ "