ETV Bharat / state

কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন রাজ্যপাল

কালীপুজোয় সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় যাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ ইচ্ছে ছিল ভাইফোঁটায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাবেন ৷ কিন্তু কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি তিনি ৷

জগদীপ ধনকড়
author img

By

Published : Oct 26, 2019, 12:18 PM IST

Updated : Oct 26, 2019, 3:59 PM IST

বারাসত, 26 অক্টোবর : তাঁর আসার খবরে পদ ছেড়েছেন পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ৷ বারাসতের সেই তরুচ্ছায়া ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে এসে সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় যাবেন তিনি ৷ যাবেন তাঁর স্ত্রীও ৷

বারাসত তরুচ্ছায়া ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের কালীপুজোয় উদ্বোধক হিসেবে রাজ্যপালের আসার খবর জানার পরই প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় । রাজ্যপাল আসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয় । আজ সকালে তরুচ্ছায়া ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল ।

উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল বলেন, "আমি পুজোর উদ্বোধনে এসেছি । মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন আমি 29 তারিখ ভাইফোঁটার দিন তাঁর বাড়িতে যাব বলে চিঠি লিখেছিলাম । ভাইফোঁটা হল ভাইবোনের মিলনের দিন । তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আমাকে চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন । তিনি বলেছেন, তাঁর বাড়িতে কালীপুজো হয় । 27 তারিখ তিনি সেই পুজোয় যেতে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । আমি নতমস্তক । আমি ও আমার স্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাব । আজকের দিনে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে জবাব দেওয়ার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই ।"

বারাসতের তরুচ্ছায়া ক্লাবের উদ্বোধনে রাজ্যপাল । দেখুন ভিডিয়ো...

পুজো মণ্ডপের ফিতে কেটে তিনি চলে যান বারাসতেরই বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে । সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কর্মসূচিকে কুর্নিশ জানান । নিজে এই কর্মসূচিতে সামিল হবেন বলেও জানান রাজ্যপাল ।

22 অক্টোবর সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠক বয়কট করেছিলেন উত্তর 24 পরগনার বহু জনপ্রতিনিধি । জেলাশাসকও তাঁর বৈঠকে গরহাজির ছিলেন । ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন ধনকড় । তার পরপরই রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধনে আসবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন বারাসতের পৌরপ্রধান । পুজোর উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল সে ব্যাপারে কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই । কিন্তু সংঘাতের পথে না গিয়ে সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন তিনি ।

বারাসত, 26 অক্টোবর : তাঁর আসার খবরে পদ ছেড়েছেন পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ৷ বারাসতের সেই তরুচ্ছায়া ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে এসে সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় যাবেন তিনি ৷ যাবেন তাঁর স্ত্রীও ৷

বারাসত তরুচ্ছায়া ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের কালীপুজোয় উদ্বোধক হিসেবে রাজ্যপালের আসার খবর জানার পরই প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় । রাজ্যপাল আসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয় । আজ সকালে তরুচ্ছায়া ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল ।

উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল বলেন, "আমি পুজোর উদ্বোধনে এসেছি । মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন আমি 29 তারিখ ভাইফোঁটার দিন তাঁর বাড়িতে যাব বলে চিঠি লিখেছিলাম । ভাইফোঁটা হল ভাইবোনের মিলনের দিন । তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আমাকে চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন । তিনি বলেছেন, তাঁর বাড়িতে কালীপুজো হয় । 27 তারিখ তিনি সেই পুজোয় যেতে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । আমি নতমস্তক । আমি ও আমার স্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাব । আজকের দিনে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে জবাব দেওয়ার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই ।"

বারাসতের তরুচ্ছায়া ক্লাবের উদ্বোধনে রাজ্যপাল । দেখুন ভিডিয়ো...

পুজো মণ্ডপের ফিতে কেটে তিনি চলে যান বারাসতেরই বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে । সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কর্মসূচিকে কুর্নিশ জানান । নিজে এই কর্মসূচিতে সামিল হবেন বলেও জানান রাজ্যপাল ।

22 অক্টোবর সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠক বয়কট করেছিলেন উত্তর 24 পরগনার বহু জনপ্রতিনিধি । জেলাশাসকও তাঁর বৈঠকে গরহাজির ছিলেন । ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন ধনকড় । তার পরপরই রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধনে আসবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন বারাসতের পৌরপ্রধান । পুজোর উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল সে ব্যাপারে কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই । কিন্তু সংঘাতের পথে না গিয়ে সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন তিনি ।

Intro:সংঘাত এড়ালেন। বারাসতে পুজোর উদ্বোধনে সৌহার্দ্যের বার্তা রাজ্যপালের, যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোতে।

বারাসতঃ তাঁর আগমনের খবরে পদ ছেড়েছেন পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বারাসতে সেই তরুচ্ছায়া ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে সংঘাত এড়িয়ে সৌহার্দ্যেরই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বললেন, তিনি সস্ত্রীক যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় যাবেন। এড়ালেন সাংবাদিকদের বিতর্কিত প্রশ্নও।

বারাসত তরুচ্ছায়া ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের কালীপুজোয় উদ্বোধক হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আগমনের খবর জানার পরই প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল আসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। শনিবার সকালে তরুচ্ছায়া ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে পৌরপ্রধানের পদত্যাগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, 'আমি এসেছি পুজোর উদ্বোধনে। মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন আমি ২৯ তারিখ ভাইফোঁটার দিন তাঁর বাড়িতে যাব বলে চিঠি লিখেছিলাম। ভাইফোঁটা হল ভাই-বোনের মিলনের দিন। তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আমাকে চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বাড়িতে কালীপুজো হয়। ২৭ তারিখ তিনি সেই পুজোয় যেতে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি নতমস্তক। আমি ও আমার স্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাব। আজকের দিনে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে জবাব দেওয়ার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।' তারপর অবশ্য রাজ্যপাল আর কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। পুজোমণ্ডপের ফিতে কেটে তিনি চলে যান বারাসতেরই বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কর্মসূচিকে কুর্নিশ করেছেন। তিনিও তাতে সামিল হবেন বলে এদিন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত ২২ অক্টোবর সন্দেশখালির ঢামাখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠক বয়কট করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সব জনপ্রতিনিধিরা। প্রোটোকল উপেক্ষা করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারও রাজ্যপালের বৈঠকে গডরহাজির ছিলেন। রাজ্যপালও সেদিন কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে গোটা সরকারটাই ছুটিতে চলে গিয়েছেন। তার পরপরই রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধনে আসবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন বারাসতের পৌরপ্রধান। পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপাল সে ব্যাপারে কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা বারাসতের মানুষ। কিন্তু রাজ্যপাল সংঘাতের পথে না গিয়ে বরং সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন।Body:সংঘাত এড়ালেন। বারাসতে পুজোর উদ্বোধনে সৌহার্দ্যের বার্তা রাজ্যপালের, যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোতে।

বারাসতঃ তাঁর আগমনের খবরে পদ ছেড়েছেন পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বারাসতে সেই তরুচ্ছায়া ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে সংঘাত এড়িয়ে সৌহার্দ্যেরই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বললেন, তিনি সস্ত্রীক যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় যাবেন। এড়ালেন সাংবাদিকদের বিতর্কিত প্রশ্নও।

বারাসত তরুচ্ছায়া ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের কালীপুজোয় উদ্বোধক হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আগমনের খবর জানার পরই প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল আসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। শনিবার সকালে তরুচ্ছায়া ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে পৌরপ্রধানের পদত্যাগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, 'আমি এসেছি পুজোর উদ্বোধনে। মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন আমি ২৯ তারিখ ভাইফোঁটার দিন তাঁর বাড়িতে যাব বলে চিঠি লিখেছিলাম। ভাইফোঁটা হল ভাই-বোনের মিলনের দিন। তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আমাকে চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বাড়িতে কালীপুজো হয়। ২৭ তারিখ তিনি সেই পুজোয় যেতে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি নতমস্তক। আমি ও আমার স্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাব। আজকের দিনে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে জবাব দেওয়ার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।' তারপর অবশ্য রাজ্যপাল আর কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। পুজোমণ্ডপের ফিতে কেটে তিনি চলে যান বারাসতেরই বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কর্মসূচিকে কুর্নিশ করেছেন। তিনিও তাতে সামিল হবেন বলে এদিন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত ২২ অক্টোবর সন্দেশখালির ঢামাখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠক বয়কট করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সব জনপ্রতিনিধিরা। প্রোটোকল উপেক্ষা করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারও রাজ্যপালের বৈঠকে গডরহাজির ছিলেন। রাজ্যপালও সেদিন কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে গোটা সরকারটাই ছুটিতে চলে গিয়েছেন। তার পরপরই রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধনে আসবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন বারাসতের পৌরপ্রধান। পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপাল সে ব্যাপারে কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা বারাসতের মানুষ। কিন্তু রাজ্যপাল সংঘাতের পথে না গিয়ে বরং সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন।Conclusion:সংঘাত এড়ালেন। বারাসতে পুজোর উদ্বোধনে সৌহার্দ্যের বার্তা রাজ্যপালের, যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোতে।

বারাসতঃ তাঁর আগমনের খবরে পদ ছেড়েছেন পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বারাসতে সেই তরুচ্ছায়া ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে সংঘাত এড়িয়ে সৌহার্দ্যেরই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বললেন, তিনি সস্ত্রীক যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় যাবেন। এড়ালেন সাংবাদিকদের বিতর্কিত প্রশ্নও।

বারাসত তরুচ্ছায়া ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের কালীপুজোয় উদ্বোধক হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আগমনের খবর জানার পরই প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল আসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। শনিবার সকালে তরুচ্ছায়া ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে পৌরপ্রধানের পদত্যাগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, 'আমি এসেছি পুজোর উদ্বোধনে। মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন আমি ২৯ তারিখ ভাইফোঁটার দিন তাঁর বাড়িতে যাব বলে চিঠি লিখেছিলাম। ভাইফোঁটা হল ভাই-বোনের মিলনের দিন। তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আমাকে চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বাড়িতে কালীপুজো হয়। ২৭ তারিখ তিনি সেই পুজোয় যেতে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি নতমস্তক। আমি ও আমার স্ত্রী তাঁর বাড়িতে যাব। আজকের দিনে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে জবাব দেওয়ার আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।' তারপর অবশ্য রাজ্যপাল আর কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। পুজোমণ্ডপের ফিতে কেটে তিনি চলে যান বারাসতেরই বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কর্মসূচিকে কুর্নিশ করেছেন। তিনিও তাতে সামিল হবেন বলে এদিন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত ২২ অক্টোবর সন্দেশখালির ঢামাখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠক বয়কট করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সব জনপ্রতিনিধিরা। প্রোটোকল উপেক্ষা করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারও রাজ্যপালের বৈঠকে গডরহাজির ছিলেন। রাজ্যপালও সেদিন কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে গোটা সরকারটাই ছুটিতে চলে গিয়েছেন। তার পরপরই রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধনে আসবেন বলে প্রধান উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন বারাসতের পৌরপ্রধান। পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপাল সে ব্যাপারে কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা বারাসতের মানুষ। কিন্তু রাজ্যপাল সংঘাতের পথে না গিয়ে বরং সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন।
Last Updated : Oct 26, 2019, 3:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.