গোবরডাঙা, 7 ফেব্রুয়ারি: টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন গোবরডাঙা পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান সুভাষ দত্ত। 6 নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হয়ে পৌরভোটে লড়বেন তিনি (Municipal Election 2022)। রবিবার বিকেলে গোবরডাঙ্গার চ্যাটার্জীপাড়ার একটি ক্লাবের মাঠে বাসিন্দাদের নিয়ে সভা করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবিতেই এই সিদ্ধান্তে বলে দাবি করেন সুভাষ দত্ত।
শুক্রবার গোবরডাঙা পৌরসভার 17টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। 6 নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ও দু'বারের পৌরপ্রধান হওয়া সত্ত্বেও সেই তালিকায় নাম নেই সুভাষ দত্তের। যদিও তাঁর পরিবার থেকে ভাই শঙ্কর দত্তকে 5 নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে দল। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় সুভাষ দত্তের নাম না থাকায় তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। শনিবার তাঁকে প্রার্থী করার দাবিতে 6 নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা অবরোধও করেন কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার বিকেলে দলীয় কর্মীদের নিয়ে খোলা মাঠে বৈঠক করে তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ার কথা জানান। পাশাপাশি দল ছেড়ে দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। সুভাষবাবু বলেন, "তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে আমি দলটা করি। আমি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইনি। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা প্রার্থী তালিকায় নাম না দেখে আমার বাড়িতে আসেন এবং আমাকে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। তাদের দাবিমতো সমস্ত কর্মীদের এক জায়গায় ডাকতে বলি। সেইমতো ওয়ার্ডের দু'হাজার ভোটারদের মধ্যে পাঁচশোর বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে আমাকে নির্দল হয়ে ভোটে লড়তে বলেন।"
আরও পড়ুন: নাম না-করে কামারহাটিতে দলীয় সাংসদকে কটাক্ষ মদনের
তিনি আরও বলেন, "যাঁরা লড়াই করে আমাকে ভোটে জিতিয়েছেন, পৌরপ্রধান করেছেন, তাঁদের দাবি ফেলতে পারলাম না। তাই দীর্ঘদিনের বাঁধন কাটিয়ে বেরিয়ে এলাম। দল বহিষ্কার করার আগে আমিই দল ছেড়ে দিলাম।" আগামী মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার বলেন, "প্রার্থী না করায় সুভাষদা হয়ত মনে একটু কষ্ট পেয়ে এই কথা বলছেন। তবে দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুভাষদা সেই কথাই বলবেন। উনি নির্দলে দাঁড়ানোর কথা বলতে পারেন, কিন্তু এটা করবেন না। এই বিশ্বাস ওঁর উপর আছে। সুভাষদার সঙ্গে কথা বলব। কথা বললে সব ঠিক হয়ে যাবে।"