দেগঙ্গা, 28 এপ্রিল: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ধূলিসাৎ টিনের ছাউনি দেওয়া তিনটি পাকা বাড়ি(Gas Cylinder Explosion)। এই ঘটনায় কারও প্রাণহানি না হলেও আহত হয়েছেন একই পরিবারের ছ'জন। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা 1নং পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ আহতদের উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দেগঙ্গার ঝিকরা বাসাবাটি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ফুচকা বিক্রেতা মহম্মদ হাফিজুল ইসলাম। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে হাফিজুল গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে ফুচকা তৈরি করছিলেন বাড়ির মধ্যে। আচমকাই কোনওভাবে আগুন লেগে যায় গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে পাইপ। ভয়ে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন ওই ফুচকা বিক্রেতা। এরপরই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। বিস্ফোরণের জেরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে হাফিজুলের আরও দুই ভাইয়ের বাড়িতে। সেখানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায়। তবে,সঠিক সময়ে পরিবারের লোকেরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে না আসলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারত। বিস্ফোরণে হাফিজুল এবং তাঁর পরিবারের তিনটি পাকা বাড়ি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : কলেজের রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পড়ুয়া-সহ ঝলসে গেলেন 13 জন
পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে আসেন দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বিদেশ । তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। এই বিষয়ে আহত ফুচকা বিক্রেতা মহম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, "আমি ও আমার স্ত্রী এদিন ফুচকা তৈরি করছিলাম। তখনই গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে আগুন ধরে যায়। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগেই কোনওমতে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচেছি। স্থানীয়রা জল ঢেলে আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু,তা সম্ভব হয়নি। ঘরের সমস্ত জিনিসের ক্ষতি হয়েছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে"।
আনিসুর রহমান বিদেশ বলেন, "ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, এটাই সৌভাগ্য। যতদিন না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে,ততদিন তাঁদের পাশে থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করব আমরা ।"