ETV Bharat / state

হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার আস্থা ভোট নৈহাটি পৌরসভায়

25 সেপ্টেম্বর রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ বলেছিলেন, 21 দিনের মধ্যে নৈহাটি পৌরসভায় আস্থা ভোট করতে হবে । সেই মতোই বুধবার আস্থা ভোট নৈহাটি পৌরসভায় ।

দেখুন ভিডিয়ো
author img

By

Published : Oct 14, 2019, 8:25 PM IST

Updated : Oct 20, 2019, 2:08 PM IST

নৈহাটি, 14 অক্টোবর : হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বুধবার আস্থা ভোট হতে চলেছে নৈহাটি পৌরসভায় । আদালতের নির্দেশে বারাসতে জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই হবে সেই আস্থা ভোট । সংখ্যার বিচারে তৃণমূল স্বস্তিতে রয়েছে । আর পিছিয়ে থাকা BJP আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবে কি না তা নিয়ে এখনও দ্বিধা রয়েছে ।

25 সেপ্টেম্বর রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ বলেছিলেন, 21 দিনের মধ্যে নৈহাটি পৌরসভায় আস্থা ভোট করতে হবে । বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই করতে হবে সেই ভোট । কিন্তু পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় 1 অক্টোবর নৈহাটি পৌরভবনেই আস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠান । হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না, এই বলে BJP অভিযোগ তোলে । তাতে সেদিন ভোট বাতিল হয়ে যায় । অবশেষে 16 অক্টোবর বারাসতে আস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ।

লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ ও ব্যারাকপুর কেন্দ্রে BJP জয়লাভ করার পর উত্তর 24 পরগনা জেলায় তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায় । সেই জোয়ারে প্রাথমিকভাবে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, হালিশহর, ভাটপাড়া ও কাঁচরাপাড়া পৌরসভা BJP-র দখলে চলে যায় । কিন্তু পরে একে একে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল ।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল শুধু নৈহাটি পৌরসভা । নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সব ক'টিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন । লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগদান করেন । ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় BJP । BJP-র ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন । কিন্তু আস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয় । ফলে BJP পৌরসভার দখল নিতে পারেনি । BJP প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় । কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরে যান । ফলে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23-এ দাঁড়ায় । এই অবস্থায় এখন BJP-র সংখ্যা মোটে 8 ।

নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় BJP । সেই মামলার রায়ে 25 সেপ্টেম্বর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, 21 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড গঠন করতে হবে । তারপরই 1 অক্টোবরের ওই বিভ্রান্তির পর জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী পৌরসভার সব কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে বুধবার অর্থাৎ 16 অক্টোবর সকাল 11টায় আস্থা ভোট হবে । যার জেরে এখন থেকেই বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা । বনগাঁ পৌরসভা ভোটের দিন সংঘর্ষ ও বোমাবাজির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই ভোটের দিন এলাকায় থাকবেন পুলিশ সুপার সি সুধাকর ।

জেতার ব্যাপারে আশাবাদী পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "লোকসভা ভোটের পর সন্ত্রাসের কারণে আমাদের দলের অনেক কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন । তাঁরা অনেকে আবার ফিরেও এসেছেন । আপাতত আমাদের 23 জন কাউন্সিলর রয়েছেন । আশা করছি, ভোটে আমরাই জয়লাভ করব ।" অন্যদিকে, BJP নেতা গণেশ দাস বলেন, "পৌরপ্রধান অনৈতিকভাবে ভাবে আস্থা ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন । আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাব । আর বুধবার আমরা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করব কি না, সেটা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব ।"

নৈহাটি, 14 অক্টোবর : হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বুধবার আস্থা ভোট হতে চলেছে নৈহাটি পৌরসভায় । আদালতের নির্দেশে বারাসতে জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই হবে সেই আস্থা ভোট । সংখ্যার বিচারে তৃণমূল স্বস্তিতে রয়েছে । আর পিছিয়ে থাকা BJP আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবে কি না তা নিয়ে এখনও দ্বিধা রয়েছে ।

25 সেপ্টেম্বর রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ বলেছিলেন, 21 দিনের মধ্যে নৈহাটি পৌরসভায় আস্থা ভোট করতে হবে । বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই করতে হবে সেই ভোট । কিন্তু পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় 1 অক্টোবর নৈহাটি পৌরভবনেই আস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠান । হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না, এই বলে BJP অভিযোগ তোলে । তাতে সেদিন ভোট বাতিল হয়ে যায় । অবশেষে 16 অক্টোবর বারাসতে আস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ।

লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ ও ব্যারাকপুর কেন্দ্রে BJP জয়লাভ করার পর উত্তর 24 পরগনা জেলায় তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায় । সেই জোয়ারে প্রাথমিকভাবে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, হালিশহর, ভাটপাড়া ও কাঁচরাপাড়া পৌরসভা BJP-র দখলে চলে যায় । কিন্তু পরে একে একে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল ।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল শুধু নৈহাটি পৌরসভা । নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সব ক'টিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন । লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগদান করেন । ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় BJP । BJP-র ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন । কিন্তু আস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয় । ফলে BJP পৌরসভার দখল নিতে পারেনি । BJP প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় । কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরে যান । ফলে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23-এ দাঁড়ায় । এই অবস্থায় এখন BJP-র সংখ্যা মোটে 8 ।

নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় BJP । সেই মামলার রায়ে 25 সেপ্টেম্বর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, 21 দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড গঠন করতে হবে । তারপরই 1 অক্টোবরের ওই বিভ্রান্তির পর জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী পৌরসভার সব কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে বুধবার অর্থাৎ 16 অক্টোবর সকাল 11টায় আস্থা ভোট হবে । যার জেরে এখন থেকেই বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা । বনগাঁ পৌরসভা ভোটের দিন সংঘর্ষ ও বোমাবাজির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই ভোটের দিন এলাকায় থাকবেন পুলিশ সুপার সি সুধাকর ।

জেতার ব্যাপারে আশাবাদী পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "লোকসভা ভোটের পর সন্ত্রাসের কারণে আমাদের দলের অনেক কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন । তাঁরা অনেকে আবার ফিরেও এসেছেন । আপাতত আমাদের 23 জন কাউন্সিলর রয়েছেন । আশা করছি, ভোটে আমরাই জয়লাভ করব ।" অন্যদিকে, BJP নেতা গণেশ দাস বলেন, "পৌরপ্রধান অনৈতিকভাবে ভাবে আস্থা ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন । আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাব । আর বুধবার আমরা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করব কি না, সেটা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব ।"

Intro:হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট, বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই হবে সেই অনাস্থা ভোট

নৈহাটিঃ হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বুধবার নৈহাটি পুরসভার অনাস্থা ভোট হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা সদর বারাসতে জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই হবে সেই অনাস্থা ভোট। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল স্বস্তিতে রয়েছে। পিছিয়ে থাকা বিজেপি অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বিধায়।



গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, ২১ দিনের মধ্যে নৈহাটি পুরসভার অনাস্থা ভোট করতে হবে। বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই করতে হবে সেই অনাস্থা ভোট। কিন্তু পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় তড়িঘড়ি পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরভবনেই অনাস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠান। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে বিজেপি অভিযোগ তোলে। তাতে সেদিন অনাস্থা ভোট ভেস্তে যায়। অবশেষে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ১৬ অক্টোবর বারাসতে অনাস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠিয়েছেন।


লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ ও ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই জোয়ারে প্রাথমিকভাবে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, হালিশহর, ভাটপাড়া ও কাঁচরাপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়। কিন্তু পরে একে একে তৃণমূল হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল কেবল নৈহাটি পৌরসভা। নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সব ক'টিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় বিজেপি। বিজেপির ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব আনেন। কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। ফলে বিজেপি পুরসভা দখল নিতে পারেনি। বিজেপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। ফলে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23। বিজেপির এখন রয়েছেন মাত্র আট জন। নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, ২১ দিনের মধ্যে অনাস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী পুরসভার সব কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে বুধবার সকাল ১১টায় অনাস্থা বৈঠকে থাকতে হবে। বনগাঁ পুরসভা ভোটের দিন সংঘর্ষ ও বোমাবাজির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বারাসতেও নৈহাটি পুরসভা ভোটের দিন নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। খোদ পুলিশ সুপার সি সুধাকর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান, অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পর সন্ত্রাসের কারণে আমাদের দলের অনেক কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা অনেকে আবার ফিরেও এসেছেন। আপাতত আমাদের ২৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আশা করছি, অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব।'

বিজেপি নেতা গণেশ দাস বলেন, 'পুরপ্রধান অনৈতিকভাবে ভাবে অনাস্থা ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আর বুধবার আমরা অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করব কিনা, সেটা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।' সংখ্যার বিচারে এগিয়ে থাকা তৃণমূল অনাস্থায় স্বস্তিতেই রয়েছি। কিন্তু বিজেপি অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়েই আপাতত দ্বিধায় রয়েছে।



Body:হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট, বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই হবে সেই অনাস্থা ভোট

নৈহাটিঃ হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বুধবার নৈহাটি পুরসভার অনাস্থা ভোট হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা সদর বারাসতে জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই হবে সেই অনাস্থা ভোট। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল স্বস্তিতে রয়েছে। পিছিয়ে থাকা বিজেপি অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বিধায়।



গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, ২১ দিনের মধ্যে নৈহাটি পুরসভার অনাস্থা ভোট করতে হবে। বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই করতে হবে সেই অনাস্থা ভোট। কিন্তু পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় তড়িঘড়ি পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরভবনেই অনাস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠান। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে বিজেপি অভিযোগ তোলে। তাতে সেদিন অনাস্থা ভোট ভেস্তে যায়। অবশেষে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ১৬ অক্টোবর বারাসতে অনাস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠিয়েছেন।


লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ ও ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই জোয়ারে প্রাথমিকভাবে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, হালিশহর, ভাটপাড়া ও কাঁচরাপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়। কিন্তু পরে একে একে তৃণমূল হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল কেবল নৈহাটি পৌরসভা। নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সব ক'টিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় বিজেপি। বিজেপির ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব আনেন। কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। ফলে বিজেপি পুরসভা দখল নিতে পারেনি। বিজেপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। ফলে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23। বিজেপির এখন রয়েছেন মাত্র আট জন। নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, ২১ দিনের মধ্যে অনাস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী পুরসভার সব কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে বুধবার সকাল ১১টায় অনাস্থা বৈঠকে থাকতে হবে। বনগাঁ পুরসভা ভোটের দিন সংঘর্ষ ও বোমাবাজির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বারাসতেও নৈহাটি পুরসভা ভোটের দিন নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। খোদ পুলিশ সুপার সি সুধাকর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান, অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পর সন্ত্রাসের কারণে আমাদের দলের অনেক কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা অনেকে আবার ফিরেও এসেছেন। আপাতত আমাদের ২৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আশা করছি, অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব।'

বিজেপি নেতা গণেশ দাস বলেন, 'পুরপ্রধান অনৈতিকভাবে ভাবে অনাস্থা ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আর বুধবার আমরা অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করব কিনা, সেটা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।' সংখ্যার বিচারে এগিয়ে থাকা তৃণমূল অনাস্থায় স্বস্তিতেই রয়েছি। কিন্তু বিজেপি অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়েই আপাতত দ্বিধায় রয়েছে।



Conclusion:হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার নৈহাটি পুরসভায় অনাস্থা ভোট, বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই হবে সেই অনাস্থা ভোট

নৈহাটিঃ হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে বুধবার নৈহাটি পুরসভার অনাস্থা ভোট হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা সদর বারাসতে জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই হবে সেই অনাস্থা ভোট। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল স্বস্তিতে রয়েছে। পিছিয়ে থাকা বিজেপি অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বিধায়।



গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, ২১ দিনের মধ্যে নৈহাটি পুরসভার অনাস্থা ভোট করতে হবে। বারাসতে জেলাশাসকের অফিসেই করতে হবে সেই অনাস্থা ভোট। কিন্তু পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় তড়িঘড়ি পয়লা অক্টোবর নৈহাটি পুরভবনেই অনাস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠান। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে বিজেপি অভিযোগ তোলে। তাতে সেদিন অনাস্থা ভোট ভেস্তে যায়। অবশেষে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ১৬ অক্টোবর বারাসতে অনাস্থা ভোট হবে বলে সব কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠিয়েছেন।


লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ ও ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। সেই জোয়ারে প্রাথমিকভাবে বনগাঁ, নৈহাটি, গারুলিয়া, হালিশহর, ভাটপাড়া ও কাঁচরাপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়। কিন্তু পরে একে একে তৃণমূল হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে।

প্রশাসক থাকায় বাকি ছিল কেবল নৈহাটি পৌরসভা। নৈহাটি পৌরসভার 31টি ওয়ার্ডের সব ক'টিতেই তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর 18 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে যায় বিজেপি। বিজেপির ওই 18 কাউন্সিলর গত 31 মে পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব আনেন। কিন্তু অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। ফলে বিজেপি পুরসভা দখল নিতে পারেনি। বিজেপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা 18 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 10 জন আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। ফলে নৈহাটি পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা 23। বিজেপির এখন রয়েছেন মাত্র আট জন। নৈহাটি পৌরসভায় অনৈতিকভাবে প্রশাসক বসানো নিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির করা মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, ২১ দিনের মধ্যে অনাস্থা ভোট করে নৈহাটি পৌরসভার বোর্ড তৈরি করতে হবে। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী পুরসভার সব কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে বুধবার সকাল ১১টায় অনাস্থা বৈঠকে থাকতে হবে। বনগাঁ পুরসভা ভোটের দিন সংঘর্ষ ও বোমাবাজির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বারাসতেও নৈহাটি পুরসভা ভোটের দিন নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। খোদ পুলিশ সুপার সি সুধাকর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান, অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পর সন্ত্রাসের কারণে আমাদের দলের অনেক কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা অনেকে আবার ফিরেও এসেছেন। আপাতত আমাদের ২৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আশা করছি, অনাস্থা ভোটে আমরাই জয়লাভ করব।'

বিজেপি নেতা গণেশ দাস বলেন, 'পুরপ্রধান অনৈতিকভাবে ভাবে অনাস্থা ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আর বুধবার আমরা অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করব কিনা, সেটা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।' সংখ্যার বিচারে এগিয়ে থাকা তৃণমূল অনাস্থায় স্বস্তিতেই রয়েছি। কিন্তু বিজেপি অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়েই আপাতত দ্বিধায় রয়েছে।



Last Updated : Oct 20, 2019, 2:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.