ETV Bharat / state

ফণীর ঝাপটায় সুন্দরবনের একাধিক বাঁধে ফাটল, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা

সুন্দরবনের একাধিক নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে । গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত । প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ।

author img

By

Published : May 4, 2019, 7:57 PM IST

নদীর বাঁধে ফাটল

4 মে, বসিরহাট : ফণীর জেরে ফাটল ধরেছে সুন্দরবনের কালিন্দী ও ডাঁসা নদীর বাঁধে । একাধিক গ্রামে হু হু করে ঢুকছে নোনা জল। 2009 সালের মে মাসের আয়লার পর কেটে গেছে দশ দশটি বছর। প্রায় অধিকাংশ বাঁধেরই অবস্থা খুব খারাপ। সামনে বর্ষা আসছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের।

ফণীর প্রভাবে গতরাতে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার ভোরে কালিন্দী ও ডাঁসা নদীর প্রায় ১৮ ফুট বাঁধে ফাটল ধরে । সেই ফাটল দিয়ে জল ঢুকেছে সুন্দরবনের হিংগলগঞ্জ ব্লকে । প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম।


এদিকে ধরমবেরিয়া, ঘুমটি, সাহেবখালি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীবাঁধে ৯-১০ ফুট ফাটল ধরেছে। নোনা জল ঢুকেছে বিস্তীর্ণ এলাকায় । নদী বাঁধে ফাটল ধরার খবর পেয়ে সেচ দপ্তর ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে । তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে মেরামতির কাজ।

হিঙ্গলগঞ্জ সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, বাঁধের মধ্যে একটি চোরা গর্তে কিছুটা জল ঢুকেছিল । সেই গর্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । সময় মতো গর্ত না বোজানো হলে এই অঞ্চলে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল । স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেছেন, “ধরমবেরিয়া, ঘুমটি, সাহেবখালি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে । স্থানীয় পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় কোনও সমস্যা হয়নি । ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"

4 মে, বসিরহাট : ফণীর জেরে ফাটল ধরেছে সুন্দরবনের কালিন্দী ও ডাঁসা নদীর বাঁধে । একাধিক গ্রামে হু হু করে ঢুকছে নোনা জল। 2009 সালের মে মাসের আয়লার পর কেটে গেছে দশ দশটি বছর। প্রায় অধিকাংশ বাঁধেরই অবস্থা খুব খারাপ। সামনে বর্ষা আসছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের।

ফণীর প্রভাবে গতরাতে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার ভোরে কালিন্দী ও ডাঁসা নদীর প্রায় ১৮ ফুট বাঁধে ফাটল ধরে । সেই ফাটল দিয়ে জল ঢুকেছে সুন্দরবনের হিংগলগঞ্জ ব্লকে । প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম।


এদিকে ধরমবেরিয়া, ঘুমটি, সাহেবখালি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীবাঁধে ৯-১০ ফুট ফাটল ধরেছে। নোনা জল ঢুকেছে বিস্তীর্ণ এলাকায় । নদী বাঁধে ফাটল ধরার খবর পেয়ে সেচ দপ্তর ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে । তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে মেরামতির কাজ।

হিঙ্গলগঞ্জ সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, বাঁধের মধ্যে একটি চোরা গর্তে কিছুটা জল ঢুকেছিল । সেই গর্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । সময় মতো গর্ত না বোজানো হলে এই অঞ্চলে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল । স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেছেন, “ধরমবেরিয়া, ঘুমটি, সাহেবখালি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে । স্থানীয় পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় কোনও সমস্যা হয়নি । ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"

ট্রেন বাতিল, বারাসতে রেল অবরোধ বারাসতঃ ফণীর শঙ্কায় শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল। তাতে বারাসত স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীরা রেল অবরোধ শুরু করেন। বিকেল চারটে থেকে চলছে অবরোধ। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ, কোনও কারণ না জানিয়েই বিকেল চারটের পর থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কী কারণে ট্রেন বাতিল সে ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ কোনও ঘোষণা করেনি। রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফণীর আশঙ্কায় ছ'টি ট্রেনগুলো বাতিল করা হয়েছে। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ রেলের তরফে মাইকে ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা হতেই লাইনের উপর নেমে পড়ে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। (প্রাথমিক কপি)

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.