ETV Bharat / state

ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্বে রক্তদান শিবির, ধৃতদের জেল হেপাজত

প্রশাসনিক কোনও অনুমতিই ছিল না ৷ অথচ শুরু হয়েছিল রক্তদান শিবির ৷ রক্ত নিতে আসা কর্মীদের কাজ দেখে স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হলে খবর যায় পুলিশের কাছে ৷ এক ব্য়ক্তি ভুয়ো চিকিৎসক সেজে রক্তদান শিবির পরিচালনা করছিল ৷ স্থানীয়রা ও তারপর পুলিশ ওই ব্য়ক্তির কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন দেখতে চাইলে সঠিক তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেনি ৷ পুলিশ এই শিবির থেকে ভুয়ো চিকিৎসক-সহ মোট সাত জনকে আটক করে আদালতে তুললে বিচারপতি তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷

Fake doctor
ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্বে রক্তদান শিবির
author img

By

Published : Jul 25, 2020, 2:09 AM IST



অশোকনগর,24 জুলাই : রক্তদান শিবির থেকে ধৃত ভুয়ো চিকিৎসক-সহ পাঁচ জনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত। পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া উত্তর 24 পরগনার অশোকনগরে ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্ব পরিচালিত হয় রক্তদান শিবির ৷ এই শিবির থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সাত জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে ভুয়ো চিকিৎসক-সহ বাকি ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ প্রধান, মানসকুমার সাউ, শান্তনু মণ্ডল ওরফে স্বপন, শোভন দে, ত্রিদীপ মণ্ডল ওরফে ছোট্টু। পাঁচ জনই সংস্থার কর্মী। বাকি দুই জন গাড়ির চালক। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের বাড়ি বিষ্ণুপুর, মগরাহাট, পাটুলি, গড়ফা ও বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়। বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রশাসনের অনুমতি ও চিকিৎসক ছাড়াই ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প করার অভিযোগে মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্বে রক্তদান শিবির
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার লকডাউনের মধ্যেই অশোকনগর পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাকপুল এলাকার মাঠে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রক্তদান শুরুও হয়েছিল। দুপুর একটা নাগাদ রক্ত নিতে আসা কর্মীদের কাজ দেখে স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হয়। তারপরই স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মী বিষয়টি জেনে পুলিশকে জানান। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্যাম্প শুরু থেকেই ধৃত শান্তনু মণ্ডল নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। স্থানীয়রা তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেনি। তারমধ্যেই অশোকনগর থানার পুলিশ রক্তদানের ক্যাম্প করার প্রশাসনিক অনুমতি দেখতে চায়। কিন্তু তারা কোনও অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি। তারপরই পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে ষায়। পুলিশই সংগৃহীত 28 পাউচ রক্ত বরফে রেখে দ্রুত বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে। রাতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্বে রক্তদান শিবির হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য কর্তারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে ওই বেসরকারি সংস্থা কোথায় কোথায় রক্তদানের ক্যাম্প করেছে, সংগৃহীত রক্ত কী করা হত, সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



অশোকনগর,24 জুলাই : রক্তদান শিবির থেকে ধৃত ভুয়ো চিকিৎসক-সহ পাঁচ জনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত। পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া উত্তর 24 পরগনার অশোকনগরে ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্ব পরিচালিত হয় রক্তদান শিবির ৷ এই শিবির থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সাত জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে ভুয়ো চিকিৎসক-সহ বাকি ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ প্রধান, মানসকুমার সাউ, শান্তনু মণ্ডল ওরফে স্বপন, শোভন দে, ত্রিদীপ মণ্ডল ওরফে ছোট্টু। পাঁচ জনই সংস্থার কর্মী। বাকি দুই জন গাড়ির চালক। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের বাড়ি বিষ্ণুপুর, মগরাহাট, পাটুলি, গড়ফা ও বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়। বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রশাসনের অনুমতি ও চিকিৎসক ছাড়াই ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প করার অভিযোগে মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্বে রক্তদান শিবির
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার লকডাউনের মধ্যেই অশোকনগর পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাকপুল এলাকার মাঠে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রক্তদান শুরুও হয়েছিল। দুপুর একটা নাগাদ রক্ত নিতে আসা কর্মীদের কাজ দেখে স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হয়। তারপরই স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মী বিষয়টি জেনে পুলিশকে জানান। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্যাম্প শুরু থেকেই ধৃত শান্তনু মণ্ডল নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। স্থানীয়রা তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেনি। তারমধ্যেই অশোকনগর থানার পুলিশ রক্তদানের ক্যাম্প করার প্রশাসনিক অনুমতি দেখতে চায়। কিন্তু তারা কোনও অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি। তারপরই পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে ষায়। পুলিশই সংগৃহীত 28 পাউচ রক্ত বরফে রেখে দ্রুত বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে। রাতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভুয়ো চিকিৎসকের নেতৃত্বে রক্তদান শিবির হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য কর্তারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে ওই বেসরকারি সংস্থা কোথায় কোথায় রক্তদানের ক্যাম্প করেছে, সংগৃহীত রক্ত কী করা হত, সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.