দেগঙ্গা, 2 এপ্রিল: এমব্রয়ডারি কারখানার কম্প্রেসার সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু হল মালিকের । মৃতের নাম বরুণ ঘোষ (37)। । রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েত এলাকায় । সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারখানার ভিতরের অংশ । রীতিমতো দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে এমব্রয়ডারি কারখানার মেশিনপত্রও । সেখান থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কারখানার মালিককে । যদিও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁকে । অস্ত্রোপচার শুরুর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
নূরনগর পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে কম্পিউটার চালিত এমব্রয়ডারির কারখানা রয়েছে বরুণের । তাঁর বাড়ি নূরনগর এলাকার ঘোষপাড়ায় । ঘটনার আগে শনিবার সারারাত ওই কারখানায় কাজ করেছেন এক কর্মচারী । কাজ সেরে রবিবার ভোরের দিকে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান তিনি । এরপর সকালে কারখানায় আসেন বরুণ । কারখানা খুলে নিজেই এমব্রয়ডারির মেশিন চালাতে যান তিনি । তখনই ঘটে বিস্ফোরণ । বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা । আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা । গিয়ে দেখেন, কম্প্রেসার সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটেছে । রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন কারখানার মালিক ।
এই দৃশ্য দেখে গুরুতর জখম বরুণকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা । সেই মতো ওই হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করে তাঁকে ভরতি করা হয় আরজিকরে । দুপুরে সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচারের তোড়জোড় শুরু করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় কারখানার মালিকের । এই দুঃসংবাদ দেগঙ্গায় পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায় । মুষড়ে পড়েছে নিহতের পরিবারের লোকজনও ।
এই বিষয়ে নিহতের দাদা অরুণ ঘোষ বলেন, "বিস্ফোরণের জেরে কারখানার ভিতরেই প্রায় দশ মিনিট রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ভাই । পরে এলাকার লোকজনই সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বরুণকে । এমব্রয়ডারির মেশিন চালাতে গিয়েই ঘটনাটি ঘটেছে । তাঁর এভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না ৷" এদিকে ঘটনার পিছনে শুধুই কী কম্প্রেসার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: হাওড়ার স্ক্র্যাপ কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম 6 শ্রমিক