ETV Bharat / state

21 জুলাইয়ের সত্য জানলে শহিদ পরিবার মমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে : অনুপম

1993 সালের 21 জুলাই মহাকরণ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে উঠেছিল কলকাতা । রক্তাক্ত শহরে প্রাণ গেছিল 13 জনের । এই ঘটনায় এবার মমতা ব্যানার্জিকেই কাঠগড়ায় তুললেন BJP নেতা অনুপম হাজরা । অনুপমের অভিযোগ, 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও এলাকায় ঢুকতে বাধ্য করেছিলেন মমতা । এর জেরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল 13 যুব কংগ্রেস কর্মীর । গতকাল দুপুরে বারাসতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই অভিযোগ আনেন অনুপম ।

অনুপম
author img

By

Published : Jul 21, 2019, 7:49 AM IST

বারাসত, 21 জুলাই : 1993 সালের 21 জুলাই মহাকরণ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে উঠেছিল কলকাতা । রক্তাক্ত শহরে প্রাণ গেছিল 13 জনের । এই ঘটনায় এবার মমতা ব্যানার্জিকেই কাঠগড়ায় তুললেন BJP নেতা অনুপম হাজরা । অনুপমের অভিযোগ, 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও এলাকায় ঢুকতে বাধ্য করেছিলেন মমতা । এর জেরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল 13 যুব কংগ্রেস কর্মীর । গতকাল দুপুরে বারাসতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই অভিযোগ আনেন অনুপম ।

অনুপম বলেন, "শহিদ দিবসের স্বত্ব প্রকৃত অর্থে কংগ্রেসের পাওয়ার কথা, তৃণমূলের নয় । একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে শহিদ পরিবার কোনও গুরুত্বই পায় না । সামনের সারিতে বসে থাকেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা । তারপর থাকেন MLA , MP-রা । একদম শেষের সারিতে থাকে শহিদ পরিবার । যাদের দেখাই যায় না ।" তিনি আরও বলেন, "আমি এখন অপেক্ষায় আছি কবে সেই শহিদ পরিবার, সত্য জেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবে ।" মমতাকে নিশানা করে অনুপম বলেন, "উনি জানতেন ওই এলাকায় 144 ধারা জারি আছে । সব ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়া, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শিক্ষনীয় । উনি তো জানতেন । জেনেশুনেই পাঠিয়েছেন । শহিদ পরিবার সেটা খুব তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবে ।"

তৃণমূল কর্মীদের কটাক্ষ করে বলেন, "ওরা জানে 21 জুলাই মানে ফ্রিতে কলকাতা ঘোরার সুযোগ । ধর্মতলায় এলে ট্রেনের টিকিট লাগবে না । আলিপুর চিড়িয়াখানাও দেখা যাবে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখা যাবে, ফলে এটা হল তৃণমূলের একটা ফ্রি ট্রিপ । যেখানে ডিম-ভাত খাওয়ানো হয় ।"

বারাসত, 21 জুলাই : 1993 সালের 21 জুলাই মহাকরণ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে উঠেছিল কলকাতা । রক্তাক্ত শহরে প্রাণ গেছিল 13 জনের । এই ঘটনায় এবার মমতা ব্যানার্জিকেই কাঠগড়ায় তুললেন BJP নেতা অনুপম হাজরা । অনুপমের অভিযোগ, 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও এলাকায় ঢুকতে বাধ্য করেছিলেন মমতা । এর জেরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল 13 যুব কংগ্রেস কর্মীর । গতকাল দুপুরে বারাসতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই অভিযোগ আনেন অনুপম ।

অনুপম বলেন, "শহিদ দিবসের স্বত্ব প্রকৃত অর্থে কংগ্রেসের পাওয়ার কথা, তৃণমূলের নয় । একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে শহিদ পরিবার কোনও গুরুত্বই পায় না । সামনের সারিতে বসে থাকেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা । তারপর থাকেন MLA , MP-রা । একদম শেষের সারিতে থাকে শহিদ পরিবার । যাদের দেখাই যায় না ।" তিনি আরও বলেন, "আমি এখন অপেক্ষায় আছি কবে সেই শহিদ পরিবার, সত্য জেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবে ।" মমতাকে নিশানা করে অনুপম বলেন, "উনি জানতেন ওই এলাকায় 144 ধারা জারি আছে । সব ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়া, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শিক্ষনীয় । উনি তো জানতেন । জেনেশুনেই পাঠিয়েছেন । শহিদ পরিবার সেটা খুব তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবে ।"

তৃণমূল কর্মীদের কটাক্ষ করে বলেন, "ওরা জানে 21 জুলাই মানে ফ্রিতে কলকাতা ঘোরার সুযোগ । ধর্মতলায় এলে ট্রেনের টিকিট লাগবে না । আলিপুর চিড়িয়াখানাও দেখা যাবে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখা যাবে, ফলে এটা হল তৃণমূলের একটা ফ্রি ট্রিপ । যেখানে ডিম-ভাত খাওয়ানো হয় ।"

Intro:
শহীদ দিবস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার । কার্যত সেদিনের ঘটনায় কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আসামীর কাঠগড়ায় তুললেন অনুপম হাজরা । পাশাপাশি একুশে জুলাই দিবস পালনের মঞ্চ কে সার্কাসের মঞ্চ আখ্যা দিলেন তিনি।Body:
শহীদ দিবস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার । কার্যত সেদিনের ঘটনায় কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আসামীর কাঠগড়ায় তুললেন অনুপম হাজরা । পাশাপাশি একুশে জুলাই দিবস পালনের মঞ্চ কে সার্কাসের মঞ্চ আখ্যা দিলেন তিনি।

রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য কংগ্রেস কর্মীদের ১৪৪ ধারা জারী হওয়া এলাকায় ঢুকতে বাধ্য করেছিলেন‌ যার ফলে, পুলিশের গুলিতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়।আজ দুপুরে বারাসতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর কথায়,সেদিন জেনেশুনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যা করেছিলেন তার উদ্দেশ্যই ছিল রাজনৈতিক সুবিধা চরিতার্থ করা ।তিনি আরো জানান, শহীদ দিবসের স্বত্ব প্রকৃত অর্থে কংগ্রেসের পাওয়ার কথা , তৃণমূলের নয় । একই সঙ্গে তিনি জানান, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে শহীদ পরিবার কোনো গুরুত্বই পায় না । সামনের সারি আলোকিত করেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা ।

বনগাঁ পৌরসভার দখল নিতে গিয়ে তৃণমূল যা করেছে তার সমালোচনা করে অনুপম হাজরা বলেন,বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোটে কার্যত জয় হয়েছে বিজেপির।

তৃনমূলের শহীদ দিবসে যোগদানের গাড়িকে আটকানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে! এরফলে রাজ‍্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে কিনা, এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, আটকানো হলে তাঁর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।কারন ধর্ম তলায় কালকে যেটা হবে,সেটা সার্কাস, ডিম-ভাত উৎসব। আমাদের কর্মীদের ও সাধারন মানুষের অসুবিধে করে,এই উৎসব হবে,এটা মেনে নেওয়া যায়না। তাঁর মতে, তৃনমূলের শহীদ দিবস জাতীয় ছুটি হিসাবে ক্যালেন্ডারে লিপিবদ্ধ নয়।আর দেখুন কালকে কত লোক হয়!যাদেরকে আনা হচ্ছে, তাদের ডিম-ভাতের টোপ দিয়ে,কলকাতায় ফ্রী ট্রিপের লোভ দেখিয়ে আনছে তৃনমূল। কিন্তু তৃনমূলে থাকাকালীন আপনি তো এই শহীদ সমাবেশের মঞ্চে উঠতেন!এখন এনিয়ে আপনি কেন প্রশ্ন তুলছেন!এর উত্তরে "ইটিভি ভারত"-এর প্রতিনিধিকে অনুপম হাজরা বলেন,আমি একবার‌ই শহীদ সমাবেশে গিয়েছি।সেখানে দেখেছি মঞ্চের প্রথম সারিতে বসার সুযোগ পেতেন অভিনেতা, অভিনেত্রীরা।এম পি,এম এল এ-রা বসতেন মঞ্চের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ সারিতে। শুধু তাই নয়,কালীঘাটের কাছের কাউন্সিলরা মঞ্চের দ্বিতীয় সারিতে বসার সুযোগ পেলেও এম পি-দের বঞ্চিত করে একেবারে শেষের সারিতে বসতে দেওয়া হত।২০১৫ সালের পর থেকেই তৃনমূলের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়। প্রতিবাদ স্বরূপ ফেসবুকে তুলে ধরতাম।সেটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করে দিয়েছেন।আবার বলছি, কালকে যেটা হবে,সেটা ডিম-ভাতের উৎসব। ধর্ম তলায় তৃনমূল শহীদ মঞ্চে রাজ‍্যের যত চোর,চামার যাবে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।Conclusion:বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার মন্তব্যে বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.