বারাসত, 21অক্টোবর: সাধ থাকলেও সাধ্য নেই ৷ ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক ক্ষমতা নেই । অথচ,পুজো মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে ।সেই রকমই 52জন 'দুর্গা'কে নিয়ে প্রতিমা দর্শন করালেন তৃণমূল কাউন্সিলর । সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে সপ্তমীর সকালে প্রবীণ মহিলাদের বাসে করে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করলেন বারাসত পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত সাহা । ঠাকুর দেখার পাশাপাশি তাঁদের জন্য ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল । কাউন্সিলরের এই অভিনব উদ্যোগে খুশি অসহায় প্রবীণরা ।
পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য । রাত জেগে ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল হপিংয়ে মেতে উঠেছে বঙ্গবাসী ৷ তার মধ্যেও এমন কিছু মানুষজন আছেন যাদের এসবও জোটেনা । বস্তুতপক্ষে এদের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই । সেখানে দাঁড়িয়ে পুজোয় আনন্দ, হই হুল্লোড় করে সকলের সঙ্গে ঠাকুর দেখা।তাঁদের কাছে বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়! তাই,পুজোর সময় যাতে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তার জন্যই এই উদ্যোগ কাউন্সিলর সুমিত সাহার ।
এদিকে, পুজো পরিক্রমা শুরুর আগে প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে মিষ্টি ও ফুলের স্তবক দিয়ে সংবর্ধিত করা হয় কাউন্সিলরের তরফে । এই বিষয়ে তৃণমূলের চিকিৎসক কাউন্সিলর সুমিত সাহা বলেন, "গতবছর প্রবীণ মহিলাদের নিয়ে বারাসতে পুজো পরিক্রমার বন্দোবস্ত করেছিলাম । তখন থেকেই আমার পরিকল্পনা ছিল সামনের বছর নিজের ওয়ার্ডের প্রবীণদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করব । এই কাজে সাহায্য করেছেন পরিবহন দফতর এবং খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তাই সকলের সঙ্গে পুজোর আনন্দে সামিল হবেন এরাও ৷"
আরও পড়ুন: ক্রমশ বিলুপ্তির পথে মহারাষ্ট্রের ইলোরার শিব মন্দিরই এবার খড়্গপুর তালবাগিচার পুজোর থিম
অন্যদিকে,কাউন্সিলরের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "টিভি,বিজ্ঞাপন দেখে আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা জাগে কলকাতার নামীদামী পুজো মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখার । কিন্তু,সেই সাধ্য থাকেনা অনেকের । সুযোগও হয়না । সুমিত সাহা সেই সুযোগ করে দিয়ে প্রবীণ দুর্গাদের মনে জায়গা করে নিলেন । ওঁর এই অভিনব উদ্যোগ এককথায় অনবদ্য"।