ETV Bharat / state

বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়েতে নিম্নমানের কাজ, ক্ষুব্ধ DRM

যাত্রীসুরক্ষার হালহকিকত জানতে DRM-এর সারপ্রাইজ় ভিজিট । আর তাতেই উঠে এল নানা অনিয়ম । বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজ নিয়ে DRM প্রভাস দানসেনা অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ৷

বারাসত
author img

By

Published : Sep 14, 2019, 6:03 PM IST

বারাসত, 14 সেপ্টেম্বর : যাত্রীসুরক্ষার হালহকিকত জানতে DRM-এর সারপ্রাইজ় ভিজিট । আর তাতেই উঠে এল নানা অনিয়ম । বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজ নিয়ে DRM প্রভাস দানসেনা অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ৷ হাবরা স্টেশনে হকারদের জবরদখল নিয়েও তিনি অসন্তুষ্ট । বনগাঁ স্টেশনের যাত্রীসুরক্ষার বেশ কিছু অনিয়মও তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি ।

আজ সকালে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যাত্রী পরিষেবার মান খতিয়ে দেখেন প্রভাস দানসেনা । সকালে প্রথমে তিনি বারাসত স্টেশনের বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখেন । বারাসতের 12 নম্বর রেলগেটে নবনির্মিত সাবওয়ে পরিদর্শন করেন । বারাসত রেলওয়ে স্টেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, RPF অফিস, GRP থানা ও স্টেশনে বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ও খতিয়ে দেখেন । তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাসতের নবনির্মিত সাব‌ওয়ের নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, "সাবওয়ে নির্মাণে ত্রুটি ছিল । সাবওয়ে নিয়ে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে । আমরা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি । তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

প্রসঙ্গত গত 16 জুলাই বারাসত 12 নম্বর রেলগেটের পাশে সাব‌ওয়েটি চালু হয় । কিন্তু, চালু হওয়ার সাত দিন পর থেকেই ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়তে শুরু করে । সাব‌ওয়ের ভিতরে জমে থাকা জল ভেঙেই পথচলতি মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হন । বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই রেলের পক্ষ থেকে কোনওরকমে সাব‌ওয়ের ভিতরে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয় । ঘটনার বিরুদ্ধে CPI(M)-এর যুব ও ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নামে । এই বিষয়ে কাটমানির পোস্টার‌ও পড়ে । আজ সাব‌ওয়ে পরিদর্শন করে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নেন পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের DRM ৷

বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট শাখার বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের জন্য রেলওয়ের পানীয় জল, শৌচালয় ও যাত্রীশেড নেই । সেই বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে DRM বলেন, "সব বিষয়ে একটি নিয়ম রয়েছে, টিকিট বিক্রির উপর নির্ভর করে সেখানে কী ধরনের পরিষেবা থাকবে । যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ চলছে । আরও কিছু প্রয়োজন হলে তা দেওয়া হবে ।"

বারাসত সাবওয়ে পরিদর্শনের পর DRM হাবরা স্টেশন পরিদর্শন করেন । হাবরা স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্ম হকারদের জবরদখলে চলে গেছে । যাত্রীদের দাঁড়ানোর জায়গাও নেই । DRM তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ সেখানে তিনি বলেন, "শিয়ালদা-বনগাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা । যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যই আমাদের লক্ষ্য । যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি । পরিষেবা উন্নত করার জন্য আগামীদিনে পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা পরিদর্শনে আসবেন । ইতিমধ্যে যাত্রীরা মোবাইলে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন ।"

বারাসত, 14 সেপ্টেম্বর : যাত্রীসুরক্ষার হালহকিকত জানতে DRM-এর সারপ্রাইজ় ভিজিট । আর তাতেই উঠে এল নানা অনিয়ম । বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজ নিয়ে DRM প্রভাস দানসেনা অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ৷ হাবরা স্টেশনে হকারদের জবরদখল নিয়েও তিনি অসন্তুষ্ট । বনগাঁ স্টেশনের যাত্রীসুরক্ষার বেশ কিছু অনিয়মও তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি ।

আজ সকালে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যাত্রী পরিষেবার মান খতিয়ে দেখেন প্রভাস দানসেনা । সকালে প্রথমে তিনি বারাসত স্টেশনের বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখেন । বারাসতের 12 নম্বর রেলগেটে নবনির্মিত সাবওয়ে পরিদর্শন করেন । বারাসত রেলওয়ে স্টেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, RPF অফিস, GRP থানা ও স্টেশনে বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ও খতিয়ে দেখেন । তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাসতের নবনির্মিত সাব‌ওয়ের নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, "সাবওয়ে নির্মাণে ত্রুটি ছিল । সাবওয়ে নিয়ে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে । আমরা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি । তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

প্রসঙ্গত গত 16 জুলাই বারাসত 12 নম্বর রেলগেটের পাশে সাব‌ওয়েটি চালু হয় । কিন্তু, চালু হওয়ার সাত দিন পর থেকেই ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়তে শুরু করে । সাব‌ওয়ের ভিতরে জমে থাকা জল ভেঙেই পথচলতি মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হন । বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই রেলের পক্ষ থেকে কোনওরকমে সাব‌ওয়ের ভিতরে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয় । ঘটনার বিরুদ্ধে CPI(M)-এর যুব ও ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নামে । এই বিষয়ে কাটমানির পোস্টার‌ও পড়ে । আজ সাব‌ওয়ে পরিদর্শন করে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নেন পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের DRM ৷

বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট শাখার বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের জন্য রেলওয়ের পানীয় জল, শৌচালয় ও যাত্রীশেড নেই । সেই বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে DRM বলেন, "সব বিষয়ে একটি নিয়ম রয়েছে, টিকিট বিক্রির উপর নির্ভর করে সেখানে কী ধরনের পরিষেবা থাকবে । যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ চলছে । আরও কিছু প্রয়োজন হলে তা দেওয়া হবে ।"

বারাসত সাবওয়ে পরিদর্শনের পর DRM হাবরা স্টেশন পরিদর্শন করেন । হাবরা স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্ম হকারদের জবরদখলে চলে গেছে । যাত্রীদের দাঁড়ানোর জায়গাও নেই । DRM তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ সেখানে তিনি বলেন, "শিয়ালদা-বনগাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা । যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যই আমাদের লক্ষ্য । যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি । পরিষেবা উন্নত করার জন্য আগামীদিনে পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা পরিদর্শনে আসবেন । ইতিমধ্যে যাত্রীরা মোবাইলে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন ।"

Intro:বারাসতের নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজে ক্ষুব্ধ DRM

বাবাসতঃ যাত্রীসুরক্ষার হালহকিকত জানতে ডিআরএমের সারপ্রাইজ ভিজিট। আর তাতেই উঠে এল নানা অনিয়ম। বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজ নিয়ে ডিআরএম প্রভাস দানসেনা যেমন অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, তেমনই হাবড়া স্টেশনে হকারদের জবরদখল নিয়েও তিনি অসন্তুষ্ট। বনগাঁ স্টেশনের যাত্রীসুরক্ষার বেশ কিছু অনিয়মও তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি।

শনিবার সকালে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যাত্রীপরিষেবার মান খতিয়ে দেখেন ডিআরএম প্রভাস দানসেনা। সকালে প্রথমে তিনি বারাসাত স্টেশনের বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখেন। বারাসতের ১২ নম্বর রেলগেটে নবনির্মিত ভূগর্ভপথ পরিদর্শন করেন। বারাসাত রেলওয়ে স্টেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আরপিএফ অফিস, জিআরপি থানা ও স্টেশনে বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ও খতিয়ে দেখেন।
তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাসতের নবনির্মিত সাব‌ওয়ের নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'সাবওয়ে নির্মাণে ত্রুটি ছিল।সাবওয়ে নিয়ে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই বারাসত ১২ নম্বর রেলগেটের পাশে নবনির্মিত ওই সাব‌ওয়ে চালু হয়। কিন্তু, চালু হওয়ার সাত দিন পর থেকেই ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে সাব‌ওয়ের ভিতরে জমে থাকা জল ভেঙেই পথচলতি মানুষ চলাচল করতে বাধ‍্য হন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই রেলের পক্ষ থেকে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে সাব‌ওয়ের ভিতরে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ইটিভি ভারতে সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নামে। সাব‌ওয়ে নির্মাকাজে কাটমানির পোস্টার‌ও পড়ে। শনিবার সেই নবনির্মিত সাব‌ওয়ে পরিদর্শন করে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিলেন পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম। বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট শাখার বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের জন্য রেলওয়ে পানীয় জল, শৌচালয় ও যাত্রীশেড নেই। সেই বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিআরএম বলেন, 'সে সব বিষয় একটি নিয়ম রয়েছে। টিকিট বিক্রির উপর নির্ভর করে সেখানে কী ধরনের পরিষেবা থাকবে তা। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ চলছে। আরও কিছু প্রযোজন হলে তা দেওয়া হবে।'

বারাসতে পরিদর্শনের পর ডিআরএম হাবড়া স্টেশন পরিদর্শন করেন। হাবড়া স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্ম হকারদের জবরদখলে চলে গিয়েছে। যাত্রীদের সামান্য দাঁড়ানোর জায়গাও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ডিআরএম তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও হাবড়ায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

হাবড়ার পর বনগাঁ স্টেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'শিয়ালদা-বনগাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যই আমাদের লক্ষ্য। যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে আগামী দিনে পুর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তাও পরিদর্শনে আসবেন। ইতিমধ্যই যাত্রীরা মোবাইলে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন।'

Body:বারাসতের নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজে ক্ষুব্ধ DRM

বাবাসতঃ যাত্রীসুরক্ষার হালহকিকত জানতে ডিআরএমের সারপ্রাইজ ভিজিট। আর তাতেই উঠে এল নানা অনিয়ম। বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজ নিয়ে ডিআরএম প্রভাস দানসেনা যেমন অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, তেমনই হাবড়া স্টেশনে হকারদের জবরদখল নিয়েও তিনি অসন্তুষ্ট। বনগাঁ স্টেশনের যাত্রীসুরক্ষার বেশ কিছু অনিয়মও তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি।

শনিবার সকালে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যাত্রীপরিষেবার মান খতিয়ে দেখেন ডিআরএম প্রভাস দানসেনা। সকালে প্রথমে তিনি বারাসাত স্টেশনের বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখেন। বারাসতের ১২ নম্বর রেলগেটে নবনির্মিত ভূগর্ভপথ পরিদর্শন করেন। বারাসাত রেলওয়ে স্টেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আরপিএফ অফিস, জিআরপি থানা ও স্টেশনে বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ও খতিয়ে দেখেন।
তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাসতের নবনির্মিত সাব‌ওয়ের নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'সাবওয়ে নির্মাণে ত্রুটি ছিল।সাবওয়ে নিয়ে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই বারাসত ১২ নম্বর রেলগেটের পাশে নবনির্মিত ওই সাব‌ওয়ে চালু হয়। কিন্তু, চালু হওয়ার সাত দিন পর থেকেই ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে সাব‌ওয়ের ভিতরে জমে থাকা জল ভেঙেই পথচলতি মানুষ চলাচল করতে বাধ‍্য হন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই রেলের পক্ষ থেকে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে সাব‌ওয়ের ভিতরে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ইটিভি ভারতে সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নামে। সাব‌ওয়ে নির্মাকাজে কাটমানির পোস্টার‌ও পড়ে। শনিবার সেই নবনির্মিত সাব‌ওয়ে পরিদর্শন করে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিলেন পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম। বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট শাখার বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের জন্য রেলওয়ে পানীয় জল, শৌচালয় ও যাত্রীশেড নেই। সেই বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিআরএম বলেন, 'সে সব বিষয় একটি নিয়ম রয়েছে। টিকিট বিক্রির উপর নির্ভর করে সেখানে কী ধরনের পরিষেবা থাকবে তা। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ চলছে। আরও কিছু প্রযোজন হলে তা দেওয়া হবে।'

বারাসতে পরিদর্শনের পর ডিআরএম হাবড়া স্টেশন পরিদর্শন করেন। হাবড়া স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্ম হকারদের জবরদখলে চলে গিয়েছে। যাত্রীদের সামান্য দাঁড়ানোর জায়গাও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ডিআরএম তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও হাবড়ায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

হাবড়ার পর বনগাঁ স্টেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'শিয়ালদা-বনগাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যই আমাদের লক্ষ্য। যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে আগামী দিনে পুর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তাও পরিদর্শনে আসবেন। ইতিমধ্যই যাত্রীরা মোবাইলে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন।'

Conclusion:বারাসতের নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজে ক্ষুব্ধ DRM

বাবাসতঃ যাত্রীসুরক্ষার হালহকিকত জানতে ডিআরএমের সারপ্রাইজ ভিজিট। আর তাতেই উঠে এল নানা অনিয়ম। বারাসতে নবনির্মিত সাবওয়ের নিম্নমানের কাজ নিয়ে ডিআরএম প্রভাস দানসেনা যেমন অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, তেমনই হাবড়া স্টেশনে হকারদের জবরদখল নিয়েও তিনি অসন্তুষ্ট। বনগাঁ স্টেশনের যাত্রীসুরক্ষার বেশ কিছু অনিয়মও তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি।

শনিবার সকালে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার যাত্রীপরিষেবার মান খতিয়ে দেখেন ডিআরএম প্রভাস দানসেনা। সকালে প্রথমে তিনি বারাসাত স্টেশনের বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখেন। বারাসতের ১২ নম্বর রেলগেটে নবনির্মিত ভূগর্ভপথ পরিদর্শন করেন। বারাসাত রেলওয়ে স্টেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আরপিএফ অফিস, জিআরপি থানা ও স্টেশনে বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ও খতিয়ে দেখেন।
তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাসতের নবনির্মিত সাব‌ওয়ের নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'সাবওয়ে নির্মাণে ত্রুটি ছিল।সাবওয়ে নিয়ে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই বারাসত ১২ নম্বর রেলগেটের পাশে নবনির্মিত ওই সাব‌ওয়ে চালু হয়। কিন্তু, চালু হওয়ার সাত দিন পর থেকেই ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে সাব‌ওয়ের ভিতরে জমে থাকা জল ভেঙেই পথচলতি মানুষ চলাচল করতে বাধ‍্য হন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই রেলের পক্ষ থেকে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে সাব‌ওয়ের ভিতরে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ইটিভি ভারতে সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নামে। সাব‌ওয়ে নির্মাকাজে কাটমানির পোস্টার‌ও পড়ে। শনিবার সেই নবনির্মিত সাব‌ওয়ে পরিদর্শন করে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিলেন পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম। বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট শাখার বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের জন্য রেলওয়ে পানীয় জল, শৌচালয় ও যাত্রীশেড নেই। সেই বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিআরএম বলেন, 'সে সব বিষয় একটি নিয়ম রয়েছে। টিকিট বিক্রির উপর নির্ভর করে সেখানে কী ধরনের পরিষেবা থাকবে তা। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ চলছে। আরও কিছু প্রযোজন হলে তা দেওয়া হবে।'

বারাসতে পরিদর্শনের পর ডিআরএম হাবড়া স্টেশন পরিদর্শন করেন। হাবড়া স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্ম হকারদের জবরদখলে চলে গিয়েছে। যাত্রীদের সামান্য দাঁড়ানোর জায়গাও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ডিআরএম তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও হাবড়ায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

হাবড়ার পর বনগাঁ স্টেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'শিয়ালদা-বনগাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যই আমাদের লক্ষ্য। যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে আগামী দিনে পুর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তাও পরিদর্শনে আসবেন। ইতিমধ্যই যাত্রীরা মোবাইলে রেলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন।'

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.