বিধাননগর, 20 নভেম্বর: প্রতিদিনের মতো রবিবার প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ আর এখান থেকে এদিন তিনি একহাত নিলেন শাসকদলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) ৷ তাঁর নিশানা থেকে বাদ যায়নি রাজ্য সরকারও ৷
"পুলিশের জন্যই রাস্তায় হকার বসছে ৷ আর যার ফলে শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ৷" এমন মন্তব্যই দিন কয়েক আগে করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ । এ প্রসঙ্গেই রবিবার সাংবাদিকদের তরফে দিলীপকে প্রশ্ন করা হয় ৷ তিনি বলেন, "পুলিশের জন্য হকার বসছে ৷ পার্টির লোকের জন্য কাটমানি হচ্ছে ৷ সরকার কী করছে । পুলিশ কার হাতে? আপনারা পুলিশকে দিয়ে তোলা তোলাবেন, গরুর গাড়ির থেকে, বালির গাড়ির থেকে, কয়লার গাড়ি থেকে পুলিশ টাকা তুলে দেবে । পুলিশ আপনাদের কথা শুনবে কেন । পুলিশকে কে কন্ট্রোল করে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুলিশ আছে । পুলিশকে আপনারা কিছু করতে দেবেন না, হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন শুধু নিজের পার্টির কাজ করাবেন । পুলিশ তার নিজের কাজ ভুলে গিয়েছে ৷ পার্টির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হচ্ছে পুলিশ সেটা গিয়ে ঠেকাচ্ছে ৷ এটা পুলিশের কাজ না কি । পুলিশ তার কাজ করবে, কেন তারাও পয়সা কামাচ্ছে ।"
শনিবার সোনারপুরে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "শ্যুট আউট বাংলায় কোনও নতুন ঘটনা নয়, এটা প্রতিদিন হয় ৷ গত এক-দেড় মাসে এমন একটাও দিন নেই যে শ্যুট আউট আর বোম ব্লাস্ট হয়নি ৷ একদিন দুই- তিন জায়গা থেকে খবর আসছে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র-বোমা বারুদে সারা পশ্চিমবঙ্গ ভরে গিয়েছে । পুলিশ চুপ করে দেখছে ৷ তারা কেন ঝুঁকি নিতে যাবে ? তারাও পয়সা কামাচ্ছে ।"
দলীয় সভা থেকে মদন মিত্র জানান, বিজেপি রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে । সেই অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলকর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ওদের একজন সাংসদ কীভাবে বোমা তৈরি করতে হবে, কী কী সামগ্রী দিতে হবে, সেটা বলে দিচ্ছে টিভিতে । একজন বিধায়ক মদনবাবু বলে দিচ্ছেন ট্রেনিং কীভাবে হবে ৷ কাঁধে কোথায় বন্দুক রাখবে, ট্রিগারে কী করে হাত দেবে-এসবই বলে দিচ্ছেন তিনি । এই তো ওদের বড় বড় নেতা ৷ তারা যদি এরকম হয়, গ্যাংস্টার তাহলে বাকি যারা আছেন, তারা প্রেরণা পাবেই ।"
আরও পড়ুন: পুলিশি মদতেই যথেচ্ছভাবে হকার বসছে, বিস্ফোরক ফিরহাদ
অস্ত্র উদ্ধার ও বোমা উদ্ধারে পুলিশ প্রশংসার কাজ করছে । বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য বোমা মজুত করেছে । তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয় । ফিরহাদের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, "পুলিশ যদি বোমা উদ্ধার করত তাহলে এতো ফাটছে কী করে? হয়তো অন্য জায়গাতে উদ্ধার করছে ৷ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যে অবৈধ বোমা বন্দুক আছে, সেটা উদ্ধার করছে না । গণ্ডগোল সেখানেই হচ্ছে । যেখানে বোমা ব্লাস্ট হচ্ছে, লোক মারা যাচ্ছে । পুলিশ সব জানে ৷ পুলিশের মাধ্যমেই অস্ত্রশস্ত্র আসছে ৷ পুলিশকে জানিয়ে আসছে ৷ তাই সব জায়গায় ভরে গিয়েছে ।"