বনগাঁ, 11 জুন : মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের দিনই বনগাঁয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে গরহাজির থাকলেন এক সাংসদ ও তিন বিধায়ক ৷ বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ৷ বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ও গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর ও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এদিন বৈঠকে আসেননি। অনুপস্থিত ছিলেন বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষের দাবি, সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ বিভিন্ন কাজে ফেঁসে গিয়েছেন হয়তো তাঁরা ৷ তাই আসতে পারেননি ৷ বনগাঁর কোনও কোনও বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে অভিযোগ উঠছে ৷ এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবুর জবাব , ‘‘সে রাখতেই পারেন ৷ উন্নয়নের খাতিরে , জনসেবার জন্য বিধায়করা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই পারেন ৷ এতে অসুবিধার তো কিছু নেই ৷’’
বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এসে রাজ্যের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ রাজ্যের টিকাকরণ নীতি নিয়ে যেমন তিনি সরব হন, তেমনই বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগও তোলেন ৷ বনগাঁয় বিজেপি মতুয়া ভোটও পেয়েছে ৷ করোনা পরিস্থিতি কাটলে সিএএ কী লাগু হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেননি তিনি ৷
রাজ্যের টিকাকরণ নীতি নিয়ে তিনি বলেন , " প্রতিদিন এক-দু‘লাখ ভ্যাকসিন আসছে কেন্দ্র থেকে ৷ কিন্তু সরকার 70 হাজারের বেশি টিকা দিতে পারছে না ৷ করোনার প্রকোপ যেভাবে বেড়েছে, তাতে প্রতিদিন 70 হাজারের বেশি টেস্টই হয়নি রাজ্যে ৷ নিজের লোকেদের টিকা দিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধানরা, পৌরসভার কাউন্সিলাররা ৷ আর সাধারণ মানুষ দৌড়ে বেড়াচ্ছেন ৷ টিকাকরণ সেন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে ৷ না হলে দিনের পর দিন টিকা নষ্ট হবে ৷ "
বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে অত্যাচারিত হয়ে আমাদের বহু কর্মী এখনও ঘরছাড়া ৷ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি ৷ "
সিএএ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য , ‘‘রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না ৷ যেদিন থেকে করবে , সেদিন থেকেই সিএএ নিয়ে কথাবার্তা এগোবে ৷ করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না ৷ "
বনগাঁয় সাংগঠনিক বৈঠক করতে বেলা 12 টা নাগাদ বনগাঁ-চাকদা রোড সংলগ্ন বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কার্যালয়ে আসেন দিলীপ ঘোষ ৷