আমডাঙা, 26 জানুয়ারি: আবারও বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত (Didir Doot) ৷ এবারের ঘটনাস্থল উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ 'দিদির সুরক্ষা কবচ' (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি চলাকালীন 'দিদির দূত' তথা পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে ঘিরে ধরেন রোগীর পরিজনরা ৷ বিধায়ককে নাগালে পেয়ে অভাব-অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও (Nirmal Ghosh faced Agitation) ৷ সেই দলে ছিলেন তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরাও ৷
সূত্রের দাবি, নির্মল ঘোষ এলাকায় ঢুকলে বিক্ষোভ যে হতে পারে, তেমন অনুমান ছিলই ৷ সেই কারণেই নাকি গ্রামে না ঢুকে স্থানীয় একটি স্কুল এবং গ্রামীণ হাসপাতালে চলে আসেন বিধায়ক ৷ কিন্তু তাতেও নিস্তার পাননি তিনি ৷ এমনকী, তাঁকে ঘিরে অভিযোগ জানাতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদেরও ৷ বিধায়ক অবশ্য ঠান্ডা মাথায় সকলের কথা শুনেছেন, দিয়েছেন সমস্য়া মেটানোর প্রতিশ্রুতিও ৷
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, আমডাঙার বিধায়ক হলেন তৃণমূলেরই রফিকুর রহমান ৷ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঢোকেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ৷ প্রথমেই তিনি যান আমডাঙার করুণাময়ী মন্দিরে পুজো দিতে ৷ সেখান থেকে চলে আসেন রাহানা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৷ স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন ৷ সবশেষে পৌঁছন আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ কথা বলেন হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সঙ্গে ৷
এতদূর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল ৷ কিন্তু, এরপর হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরোতেই ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে হয় নির্মলকে ৷ সেই ঘেরাওয়ে নজর কেড়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের উপস্থিতি ! ছিলেন রোগীর আত্মীয়রাও ৷ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সকলেই একযোগে বহু অভিযোগ জানাতে শুরু করেন ৷ সব শুনে দ্রুত যাবতীয় সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন দিদির দূত ৷ তবে, এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি ৷
অন্যদিকে নির্মল ঘোষকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, "দলীয় কর্মীরা আমাকে গ্রামের কিছু সমস্যার কথা বলেছেন ৷ এর সঙ্গে হাসপাতালের পরিকাঠামোগত সমস্যার কোনও সম্পর্ক নেই ৷ এখানে মূলত তিনটি দাবি উঠে এসেছে ৷ সেগুলি নিয়ে দ্রুত বিএমওএইচের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্য়া মেটাব ৷ জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলব ৷"