নিমতা, 12 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছে ৷ সেই পরিস্থিতিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই নতুন করে জল্পনা ছড়ায় ৷ প্রশ্ন ওঠে, শুভ্রজ্যোতি দাস নামে বছর তেইশের ওই যুবকের সঙ্গেও ব়্যাগিংয়ের মতো কোনও ঘটনা ঘটেছিল কি ? তবে পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শুভ্রজ্য়োতি ৷
উত্তর 24 পরগনার নিমতার দক্ষিণ গোলবাগানের বাসিন্দাল ছিলেন আরজি করের ওই জুনিয়র চিকিৎসক ৷ শনিবার তাঁর দুই কাকা স্বপন ও তপন দাস জানালেন, মঙ্গলবার শেষবারের মতো তাঁরা শুভ্রজ্যোতি দেখতে পান । এরপর বুধবার তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঘরে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় ৷ তখনই তাঁরা তড়িঘড়ি শুভ্রজ্যোতিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান । শুরু হয় চিকিৎসা ৷ পরে তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয় ।
পরিবারের আরও দাবি, মেধাবী ছাত্র শুভ্রজ্যোতি ডাক্তারি পড়া শুরু করার পর থেকেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলেন । করোনার পর থেকেই তা বাড়তে থাকে ও তিনি মানসিক অবসাদে চলে যান । তার পর থেকে তিনি বাড়িতে কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলতেন না । নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন । তাই পরিবারের কেউ তাঁকে বিরক্ত করতেন না ।
এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা শোকস্তব্ধ৷ মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁরাও সন্দিহান ৷ অত্যধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার জেরে এই মৃত্যু কি না, তা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ৷ তবে শুভ্রজ্য়োতির দুই কাকার দাবি, অবসাদ কাটানোর উপায় ও ডাক্তারি ক্ষেত্রে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, তা নিয়ে তিনি ইন্টারনেটে সার্চ করতেন । বেশ কয়েকবার পরিবারের লোক শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে এমনই তথ্য পেয়েছে । অনেক সময় নিজেই অবসাদ কাটানোর ওষুধ খেতেন ৷ সেই কারণে মৃত্যু কি না, তা ভাবাচ্ছে পরিবার-পরিজনদের ৷
আরও পড়ুন: যাদবপুরের পর আরজিকর! রহস্যমৃত্যু জুনিয়র চিকিৎসকের