বারাসত, 29 জুলাই: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন , ‘‘পছন্দ হলেই সাত খুন মাফ ! আর অপছন্দ হলেই শোকজ ৷’’ শোকজ করা নিয়ে হুমায়ুন কবীরের পাশে দাঁড়ালেন সুজন ৷ শনিবার বারাসতে সিপিআইএম-এর বৈঠকের পর একথা বলেন তিনি ৷
দল বিরোধী কার্যকলাপ ও বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ টেনে ভরতপুরের বিধায়ককে শোকজ করেছে তৃণমূল । বিষয়টিকে একহাত নিয়েই সুজন চক্রবর্তীর একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মমতার দিকে । তিনি বলেন, " সবার আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তো ? কংগ্রেস থেকে দল ভাঙিয়ে তৃণমূলে এনে ছিলেন কেন ? তৃণমূলে নিয়ে আসার পর মন্ত্রী করেছিলেন কেন ? মন্ত্রী হয়েও ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তার পরেও কেন তাঁকে মন্ত্রী পদে বহাল রেখেছিলেন ? মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ হলেই সব ঠিক ৷ অপছন্দ হলেই যত রাগ ৷’’
হুমায়ুন কবীরকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়ে শোকজ করে তৃণমূল কংগ্রেস । যদিও, সেই চিঠির পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি কবীর ৷ জানিয়েছেন তাঁর ইমেলে বা হোয়াটঅ্যাপে এমন কোনও চিঠি আসেনি ৷ তবে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে তাঁর শোকজের একটি কপি বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে হুমায়ুন কবীরকে শোকজ তৃণমূলের
তৃণমূলের বিরুদ্ধাচরণের অভিযোগ বার বার উঠেছিল হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একাধিক নির্দল প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিলেন ৷ গোঁজ প্রার্থী দেওয়া নিয়ে মুর্শিদাবাদে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ ছিল ৷ শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে আলাদা দল তৈরি করে রাজনৈতিক ময়দানে লড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর । তৃণমূলের খারাপ ফলের জন্য দলীয় নের্তৃত্বকেই দায়ী করেছিলেন তিনি । সবমিলিয়ে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ ছিলই । সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, "হুমায়ুন কবীরের কার্যকলাপ পছন্দ হচ্ছে না বলে তাঁকে শোকজ করা হল! কিন্তু,যাঁর জন্য তিনি অপছন্দের জায়গায় গেলেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে কি শোকজ করা হবেনা?"