ETV Bharat / state

বরানগর পৌরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ CPI(M) বিধায়কের

author img

By

Published : Jul 27, 2020, 11:38 PM IST

বরানগর পৌরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, পৌরসভায় যে 175 জন নিয়োগ করা হয়েছে তাদের কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি ।

Corruption

বারাসত, 27 জুলাই: বরানগর পৌরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । বলেন, "পৌরসভায় যে 175 জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের যোগ্যতার কোনও তালিকা পৌরসভায় টাঙানো হয়নি । সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে এই সব কর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার শাসকদলের কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ।"

তাঁর আরও অভিযোগ, "পৌরসভার কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে । কিন্তু বেশ কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।" পৌরসভার গাড়িচালক থেকে মজুর নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনও নিয়মবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তন্ময়বাবু। বলেন, "পৌরসভা কিংবা যে কোনও সরকারি দপ্তরে গাড়ি চালকের নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে । কিন্তু বরানগর পৌরসভায় এমন কিছু গাড়ি চালককে নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের অভিজ্ঞতা এক থেকে দু'বছর । সবচেয়ে অবাক করার বিষয় খোদ চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের অভিজ্ঞতাও দু'বছরের বেশি নয়। "

পৌরসভায় যে 25 শতাংশ মজুর নিয়োগ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ভিন জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন তিনি । এই বলেন,"পৌরসভায় অনেক অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন যাঁঁরা 15 থেকে 20 বছর ধরে কাজ করছেন । তাঁরাও পরীক্ষায় বসেছিলেন অথচ তাঁদের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। "

কর্মী নিয়োগ নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তন্ময়বাবু বলেন, "জয়েনিংয়ের জন্য তিনমাস সময়সীমা দেওয়া হলেও তার মধ্যেই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চেয়ারম্যান দুটি নির্দেশিকা জারি করেন। প্রথম নির্দেশিকার মাধ্যমে 58 জনকে মজুর পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় । দ্বিতীয় নির্দেশিকার মাধ্যমে মজদুর পদে নিয়োগ করা হয় আরও 11 জনকে। এদের কাজ মূলত রাস্তা সাফাই ও নিকাশি নালা পরিষ্কার করা । তাঁদেরকেই পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ করা হয়েছে। "

কলকাতা হাইকোর্টে এই কর্মী নিয়োগ নিয়ে মামলাও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি । বলেন,"মামলার সম্পূর্ণ রায় এখনও বাকি থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই পৌরসভা অবৈধ কর্মী নিয়োগ করছে। " কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "টাকার বদলে পৌরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে । এমন কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে যার থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে । স্থানীয় প্রশাসনও এই দুর্নীতিকে প্রশয় দিচ্ছে । তদন্ত করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্রকৃত চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে ।"

এই বিষয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ।

বারাসত, 27 জুলাই: বরানগর পৌরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । বলেন, "পৌরসভায় যে 175 জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের যোগ্যতার কোনও তালিকা পৌরসভায় টাঙানো হয়নি । সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে এই সব কর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার শাসকদলের কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ।"

তাঁর আরও অভিযোগ, "পৌরসভার কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে । কিন্তু বেশ কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।" পৌরসভার গাড়িচালক থেকে মজুর নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনও নিয়মবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তন্ময়বাবু। বলেন, "পৌরসভা কিংবা যে কোনও সরকারি দপ্তরে গাড়ি চালকের নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে । কিন্তু বরানগর পৌরসভায় এমন কিছু গাড়ি চালককে নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের অভিজ্ঞতা এক থেকে দু'বছর । সবচেয়ে অবাক করার বিষয় খোদ চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের অভিজ্ঞতাও দু'বছরের বেশি নয়। "

পৌরসভায় যে 25 শতাংশ মজুর নিয়োগ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ভিন জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন তিনি । এই বলেন,"পৌরসভায় অনেক অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন যাঁঁরা 15 থেকে 20 বছর ধরে কাজ করছেন । তাঁরাও পরীক্ষায় বসেছিলেন অথচ তাঁদের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। "

কর্মী নিয়োগ নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তন্ময়বাবু বলেন, "জয়েনিংয়ের জন্য তিনমাস সময়সীমা দেওয়া হলেও তার মধ্যেই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চেয়ারম্যান দুটি নির্দেশিকা জারি করেন। প্রথম নির্দেশিকার মাধ্যমে 58 জনকে মজুর পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় । দ্বিতীয় নির্দেশিকার মাধ্যমে মজদুর পদে নিয়োগ করা হয় আরও 11 জনকে। এদের কাজ মূলত রাস্তা সাফাই ও নিকাশি নালা পরিষ্কার করা । তাঁদেরকেই পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ করা হয়েছে। "

কলকাতা হাইকোর্টে এই কর্মী নিয়োগ নিয়ে মামলাও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি । বলেন,"মামলার সম্পূর্ণ রায় এখনও বাকি থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই পৌরসভা অবৈধ কর্মী নিয়োগ করছে। " কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "টাকার বদলে পৌরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে । এমন কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে যার থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে । স্থানীয় প্রশাসনও এই দুর্নীতিকে প্রশয় দিচ্ছে । তদন্ত করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্রকৃত চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে ।"

এই বিষয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.