দেগঙ্গা, 20 এপ্রিল : রাজ্যে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। কর্মসংস্থান থাকলে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হত না (Migrant workers lost their lives)। ম্যাঙ্গালুরুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত দেগঙ্গার শ্রমিক পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ সিপিএমের উত্তর 24 পরগনার জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর (CPM Leader Mrinal Chakraborty Attack To State Govt)। মঙ্গলবার দুপুরে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল দেগঙ্গায় যায় শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি এদিন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়।
এই বিষয়ে সিপিএম নেতা মৃণাল চক্রবর্তী বলেন,"আর্থিক কারণেই দেগঙ্গার 30-40 জন শ্রমিক কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন কাজ করতে। সেখানেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হল পাঁচ শ্রমিককে। এটা অপূরণীয় ক্ষতি । তাই,দলমত নির্বিশেষে আমরা শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি । আমরা চাই,কেন্দ্রীয় সরকার হোক কিংবা রাজ্য সরকার তাঁরা যেন নিহতের পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক। অন্তত নিহতের পরিবার পিছু 25 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হোক । এছাড়া যে কোম্পানির হয়ে এই শ্রমিকরা কাজ করছিলেন তাঁরাও যেন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাহায্য করুক শোকার্ত পরিবারকে।"
এদিকে,জেলাশাসকের দফতরে চেক নিতে এসে নিহত নিজামুদ্দিন সাহিজির মা মনোয়ারা বিবির গলাতেও শোনা গিয়েছে আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন,"দেগঙ্গায় কোনও কাজ না পেয়েই তাঁর ছেলেকে কাজের জন্য যেতে হয়েছে ভিনরাজ্যে। আগে নিজামুদ্দিন ইটভাটায় কাজ করত। কিন্তু সেই কাজ সারা বছর পেত না । ছেলের একটি কাজ ও পাকা ঘরের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বারবার বলা হয়েছিল। কিন্তু,তাতেও মেলেনি কোনও কাজ। শেষে রোজগারের আশায় পাড়ি দিয়েছিল কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে।"
আরও পড়ুন : ট্রেন মিলতেই ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার হিড়িক মালদায়
অন্যদিকে,বিষয়টি এদিন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়,"এই শোকের দিনে কোনও অভিযোগেরই মন্তব্য করতে চাই না। আগে দেহ রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেটার দিকেই বেশি মনোনিবেশ করছি আমরা। বাম আমলে যে কোনও দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের চেক পেতে অন্তত একবছর সময় লাগত। বিরোধী বিধায়ক থাকাকালীন তা আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি। আর এখন 24 ঘণ্টার মধ্যেই শোকার্ত পরিবার চেক পেয়ে যাচ্ছেন। এটাই পার্থক্য। "