নৈহাটি ও বনগাঁ, 3 ফেব্রুয়ারি : নৈহাটিতে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । অন্যদিকে এই খবর সামনে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বনগাঁ সীমান্তে ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, নৈহাটির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ব্যবসার কাজে গতমাসের 3 তারিখ পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে চিনে গেছিলেন ৷ 23 তারিখ দেশে ফেরেন ৷ কেরালার কোচি বিমানবন্দরে নেমেছিলেন তাঁরা ৷ সেখান থেকে নৈহাটি ফিরে আসেন ৷ কিন্তু তাঁর পাঁচ বন্ধুর মধ্যে কেরালার এক বাসিন্দা কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেয়ে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি ৷ তিনিও কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এরকম খবর ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায় ৷ আজ সরকারি নির্দেশে নৈহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে তাঁকে খুঁজে বের করা হয় ৷ এবং কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷
এ বিষয়ে নৈহাটি পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের চেয়ারম্যান পারিষদ সনৎ দে বলেন, "গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে আমাদের কাছে খবর আসে নৈহাটিতে একজন কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ তারপর আমরা তাঁর বাড়ি যাই ৷ জানতে পারি তিনি আক্রান্ত নন ৷ কিন্তু যেহেতু তাঁর পাঁচ বন্ধুর একজন যিনি কেরালায় থাকেন তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত তাই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসাপাতালে ভরতি করা হয় ৷ তাঁকে সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷ " সেই সঙ্গে তিনি অনুরোধ করেন, "কেউ আতঙ্কিত হবে না ৷ গুজব ছড়াবেন না ৷ আমরা এই সংক্রান্ত একটি হেল্পলাইনও চালু করেছি ৷ "
অন্যদিকে এই খবর সামনে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বনগাঁ সীমান্তে ৷ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পেট্রাপোল বন্দরে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনও টিম আসেনি ৷ স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বাপ্পা ঘোষ বলেন, "বাংলাদেশ থেকে আসছেন যে সমস্ত যাত্রীরা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ ফলে এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছেন ৷ " এ বিষয়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক অন্বেষা শিকদার বলেন, "তেমন কোনও চেকিং হয়নি ৷ শুধু মুখে মুখে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে চিন, জাপান বা থাইল্যান্ডে গেছিলাম কি না ৷ কিন্তু যদি ডাক্তার থাকতেন তাহলে ভালো হত ৷ পরীক্ষা করতেন শরীরে কোনও জীবাণু রয়েছে কি না ৷ "
উল্লেখ্য, প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন৷ কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে ৷ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ এলেও কোনও স্বাস্থ্যকর্মীই নেই পেট্রাপোল সীমান্তে । যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে চিঠির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি ৷