ETV Bharat / state

বারাসতে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে ট্যাক্সিচালকের মৃত্যু

author img

By

Published : Jul 14, 2020, 2:30 AM IST

বারাসতে আরও এক কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যু । মোট কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 127 । এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 8 জনের ।

A taxi driver died in corona
A taxi driver died in corona

বারাসত, 13 জুলাই : কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে এবার মৃত্যু হল বারাসতের এক ট্যাক্সিচালকের । সোমবার ভোরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় 54 বছরের ওই চালকের । মৃতের বাড়ি বারাসত পৌরসভার 22 নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনহাটির গিরিশ নগরে । পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃতের স্ত্রী ও ছেলেরও কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে । তবে আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ নেই । ফলে, এখনও পর্যন্ত তাঁরা হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন ।

ওই ট্যাক্সি চালক বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন । বৃহস্পতিবার তাঁর কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরই তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আক্রান্তকে স্থানান্তরিত করা হয় RG কর হাসপাতালে । সেখান থেকে রবিবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । সেখানে সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় ।

বারাসতে মৃত আরও একজনের কোরোনা রিপোর্ট এদিন পজ়িটিভ এসেছে । মৃত 65 বছরের এক ব্যক্তি । ডেকরেটার্সের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । বারাসত পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপল্লি এলাকার বাসিন্দা । শুক্রবার তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । সেই সময় পথেই ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয় ।কিন্তু তখনও সে কোরানায় আক্রান্ত কিনা,তা জানা যায়নি । এরপরই মৃতের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছিল । সোমবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা গেছে ।

এছাড়া নতুন করে বারাসতে এদিন আরও ছ’জনের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে । কনটেইনমেন্ট জো়ন করে লকডাউন জারি করার পরও জেলা সদর বারাসতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ । সংক্রমণ রুখতে আরও কড়াকড়ি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা সেবিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ।

এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃত ও আক্রান্তদের বাড়ির এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী ইতিমধ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে । পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি ।”

জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর 24 পরগনায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি জেলার সদর শহর বারাসত । প্রতদিনই কোরোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে এখানে । স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র বারাসত শহরেই সংক্রমিতের সংখ্যা 127 । এর মধ্যে 47 জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে । এখনও চিকিৎসা চলছে 72 জনের । মৃত্যু হয়েছে 8 জনের ।

বারাসত, 13 জুলাই : কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে এবার মৃত্যু হল বারাসতের এক ট্যাক্সিচালকের । সোমবার ভোরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় 54 বছরের ওই চালকের । মৃতের বাড়ি বারাসত পৌরসভার 22 নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনহাটির গিরিশ নগরে । পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃতের স্ত্রী ও ছেলেরও কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে । তবে আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ নেই । ফলে, এখনও পর্যন্ত তাঁরা হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন ।

ওই ট্যাক্সি চালক বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন । বৃহস্পতিবার তাঁর কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরই তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আক্রান্তকে স্থানান্তরিত করা হয় RG কর হাসপাতালে । সেখান থেকে রবিবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । সেখানে সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় ।

বারাসতে মৃত আরও একজনের কোরোনা রিপোর্ট এদিন পজ়িটিভ এসেছে । মৃত 65 বছরের এক ব্যক্তি । ডেকরেটার্সের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । বারাসত পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপল্লি এলাকার বাসিন্দা । শুক্রবার তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । সেই সময় পথেই ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয় ।কিন্তু তখনও সে কোরানায় আক্রান্ত কিনা,তা জানা যায়নি । এরপরই মৃতের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছিল । সোমবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা গেছে ।

এছাড়া নতুন করে বারাসতে এদিন আরও ছ’জনের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে । কনটেইনমেন্ট জো়ন করে লকডাউন জারি করার পরও জেলা সদর বারাসতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ । সংক্রমণ রুখতে আরও কড়াকড়ি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা সেবিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ।

এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃত ও আক্রান্তদের বাড়ির এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী ইতিমধ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে । পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি ।”

জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর 24 পরগনায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি জেলার সদর শহর বারাসত । প্রতদিনই কোরোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে এখানে । স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র বারাসত শহরেই সংক্রমিতের সংখ্যা 127 । এর মধ্যে 47 জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে । এখনও চিকিৎসা চলছে 72 জনের । মৃত্যু হয়েছে 8 জনের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.