ঠাকুরনগর,15 মার্চ : কোরোনার গ্রাস থেকে বাঁচতে ঠাকুরনগরের বারুণি মেলা বন্ধের দাবি উঠল। রবিবার ঠাকুরনগর রেলস্টেশনে মাইক বেঁধে চলে প্রচার ও সই সংগ্রহ। এদিন সকাল থেকে স্টেশনের উপরে মাইক বেঁধে কোরোনা নিয়ে পথচলতি মানুষের সচেতন করেন একদল নাগরিক। সেই সঙ্গে ঠাকুরনগরের বারুণি মেলা বন্ধের জন্য গণসাক্ষর সংগ্রহ করেন তাঁরা। উদ্যোক্তারা ঠাকুরবাড়ির দুই পক্ষ শান্তনু ঠাকুর, মমতা ঠাকুরের কাছে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের কাছে মেলার অনুমতি না দেওয়ার আবেদন করবেন।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের মানুষের জমায়েত হয়। দলবদ্ধভাবে তাঁরা কামনা সাগরে স্নান করেন। সেখান থেকে একজনের কোরোনা ভাইরাস থাকলে তা অন্যের শরীরে সংক্রামিত হতে পারে। তাই দেশের এই বিপদের দিনে চলতি বছর বারুণি মেলা বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন তারা। সই সংগ্রহ অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা আইনজীবী লিটন মৈত্র বলেন, 'গোটা দেশ আজ কোরোনার আতঙ্কে ভুগছে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, সভা সমিতি বা জমায়েত করা যাবে না। বারুণি মেলায় প্রায় 20 লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। কোনও একজন ভক্ত যদি কোরোনা ভাইরাস নিয়ে ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে ডুব দেন, তা হলে বহু ভক্তের মধ্যে তা সংক্রামিত হবে। তাই আমরা চলতি বছর বারুণি মেলা বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।'
মেলা বন্ধের দাবি প্রসঙ্গে ঠাকুরবাড়ির সদস্য সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'মতুয়া মেলা করার আমরা কেউ নই। ভক্তরা এই মেলা করেন। আমরা কাউকে ঠাকুরবাড়িতে আসতে বারণ করতে পারি না।" অন্য দিকে প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, 'সারা দেশে কোরোনা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তাতে সরকারি কোনও নির্দেশিকা জারি হলে সেটা আমরা মানব। আমরা মেলা করব কি না, সেটা নিয়ে দ্রুত মিটিং করে ঠিক করব। কারণ সবথেকে আগে ভক্তদের জীবন।"