বারাসত, 3 এপ্রিল : বারাসতে মিলল বৃদ্ধের দেহ ৷ পাশে একটি সুইসাইড নোট ৷ তাতে লেখা, কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতের নাম নিতাই ঘোষ চৌধুরী (87) । ঘটনাটি বারাসতের নবপল্লির বলাকা অ্যাভিনিউয়ের ।
পুলিশ সূত্রের খবর, দেহের পাশে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, কোরোনার জন্য আত্মঘাতী তিনি । এলাকার এক সবজি ব্যবসায়ীকে 500 টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে সুইসাইড নোটে ।
এমনকী,পরিবারের লোককে কোরোনা থেকে সাবধান করে পরীক্ষা করার কথাও লেখা রয়েছে । নিচে সই রয়েছে ওই বৃদ্ধের । তবে ওই সুইসাইড নোটটি বৃদ্ধের লেখা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
পরিবার সূত্রের খবর, নিতাই বাবু বেশ কয়েকমাস ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন । এজন্য নিয়মিত ওষুধও খেতেন তিনি । কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন । কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এই সন্দেহে পরিবারের লোককে তাঁর ধারে কাছে আসতে দিচ্ছিলেন না । একপ্রকার পরিবারের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন । আজ ভোররাতে ওই বৃদ্ধের গোঙানির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন । কী হয়েছে জানতে চাওয়ায়, তখন বিষ খাওয়ায় কথা বলেন তিনি । এরপরই, তড়িঘড়ি বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ।
এবিষয়ে মৃতের ছেলে তিলক ঘোষ চৌধুরী বলেন," বাবা এমনিতেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন । তার ওপর কোরোনা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন । ভাবেন যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । তার জেরেই সম্ভবত বাড়িতে রাখা উইপোকা মারার বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন । লাল কালিতে লেখা একটি প্যাডের কাগজে সেই কথাই লিখে গিয়েছেন ।"
বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে বার্ধক্যজনিত অসুখেই আত্মঘাতী হয়েছেন।তবে,অন্য কোনও কারণ আছে কি না,তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । প্রয়োজনে এবিষয়ে কথা বলা হবে পরিবারের সঙ্গে ।