আমডাঙা, 18 মে : জমি বিবাদের জেরে শুরু হয়েছিল বচসা । সেই সময় নিজের সার্ভিস রিভলভার বের করে আচমকা প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে । তাতেই মৃত্যু হয় প্রতিপক্ষ দু'জনের । ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল । কিন্তু পরের দিন আত্মসমর্পণ করে । তাকে গ্রেপ্তার করে আমডাঙা থানার পুলিশ । গতকাল ধৃতকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পাঁচদিন পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।
আমডাঙার তেঁতুলিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অরূপ মণ্ডল(30) ও সুমন্ত মণ্ডল(28) । সম্পর্কে তাঁরা দুই ভাই । তাঁদের সঙ্গে এলাকার সন্তোষ পাত্রর জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল । এই সন্তোষ পেশায় কন্সটেবল । বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক অফিসারের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত। শুক্রবার রাতে অরূপ ও সুমন্তর সঙ্গে সন্তোষের জমি নিয়ে ফের বচসা শুরু হয় । বচসা চলাকালীন দুইপক্ষই উত্তেজিত হয়ে ওঠে । অভিযোগ, তখনই নিজের সার্ভিস রিভলভার বের করে অরূপ ও সুমন্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্তোষ । গুলি লাগে অরূপ ও সুমন্তর বুকে । গুলিবিদ্ধ হন ঘটনাস্থানে উপস্থিত আরও এক যুবক । তিনজনকেই বারাসতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে অরূপ ও সুমন্তকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । কিন্তু আর একজনের পাঁজরে গুলি লাগায় তিনি বেঁচে যান । বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
ঘটনার দিন গা ঢাকা দেয় সন্তোষ । তবে, শনিবার কর্মস্থানে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে । তখন তাকে আমডাঙা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে । ওইদিনই বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ধৃত কন্সটেবল সন্তোষ মিত্র জেরায় জানিয়েছে, স্ত্রীর শ্লীলতাহানির বদলা নিতেই দুই ভাই অরূপ ও সুমন্তকে গুলি করেছে সে । যদিও স্থানীয়দের দাবি আলাদা । তাঁদের মতে, অরূপের স্ত্রীকে প্রায় উত্ত্যক্ত করত সন্তোষ । তাই অরূপ ও সন্তোষের মধ্যে বিবাদ চলছিল । তাছাড়া, জমি নিয়েও দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল ।
সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, "তদন্তে খুনের প্রকৃত কারণ উঠে আসবে বলে আশা করছি । ইতিমধ্যে খুনে ব্যবহৃত রিভলভার ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে । পারিপার্শ্বিক তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"