হাসনাবাদ, 24 মার্চ: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা (Attack on TMC Worker in Hasnabad)। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে রক্ষা পেলেন মারুফ বৈদ্য নামে ওই কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি ওই তৃণমূল কর্মীর বাইকের হেডলাইটে লাগে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি হাসনাবাদের আশারিয়া গ্রামে। এলাকার যে কোনও বিপদ আপদে সবার আগে এগিয়ে আসেন তিনি। সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। ফলে, সমাজসেবক হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও ছিল তাঁর। কয়েকদিন আগে পাশের তালপুকুর এলাকার কয়েকজন দলীয় নেতার অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন মারুফ। ফলে তাঁদের রোষানলের মুখে পড়তে হয়েছিল ওই তৃণমূল কর্মীকে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বাইকে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন মারুফ বৈদ্য। তকিপুরের কাছে আসতেই আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর মুখে টর্চ মারতে শুরু করে। ফলে বাইকের গতি কমাতে হয় তাঁকে ৷ তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইকের হেডলাইটে গিয়ে লাগে। চুরমার হয়ে যায় হেডলাইট। বরাত জোরে প্রাণে রক্ষা পেতেই বাইক ফেলে সেখান থেকে ছুটতে থাকেন মারুফ। তাঁকে নাগালে না পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় আততায়ীরা। যদিও, ঘটনায় কিছুতেই আতঙ্ক কাটছে তাঁর।
আরও পড়ুন : Nadia TMC Leader Shot at : হাঁসখালির তৃণমূল নেতাকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
এদিকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মারুফের বাড়িতে যায় হাসনাবাদ থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কথা বলেন ওই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে। পাশাপাশি খুনের চেষ্টার অভিযোগও দায়ের হয় হাসনাবাদ থানায়।
তৃণমূল কর্মী মারুফ বৈদ্য বলেন, "এলাকায় কোনও মানুষ অসুবিধায় পড়লেই সবসময় তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেটা হয়ত কারও পছন্দ হয়নি। তাছাড়া আমি দলের কয়েকজন নেতার বিভিন্ন অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই কারণে এই ঘটনা কিনা তা বলতে পারব না। তবে, সন্দেহ তো রয়েইছে দলের একাংশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি পুলিশ ও দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরাই খতিয়ে দেখবেন। এর বাইরে আমি কিছুই জানিনা ৷"
অন্যদিকে, এর পিছনে পুরনো আক্রোশ নাকি ব্যক্তিগত কোনও ঘটনা লুকিয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কাউকে চিহ্নিত কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।