বারাসত, 8 জুন : তোলাবাজকে উদ্ধার করতে জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনি । এলাকার তোলাবাজকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা । তাকে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মুখে কালো কাপড় ঢেকে এলাকায় ঢুকে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায় । তাদের রুখতে স্থানীয়রাও পালটা হামলা চালায় । আপাতত, এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন RAF ।
জানা গেছে, দ্বিজহরিদাস কলোনির তৃণমূল কর্মী স্বপন চক্রবর্তী ওরফে ঠাকুর, সমীর, অর্জুন ও লালু-সহ কয়েকজন ভয় দেখিয়ে এলাকায় তোলাবাজি চালাত । একটি নামী নির্মাণ সংস্থার থেকে 70 লাখ টাকা তোলা আদায় করে ঠাকুর ও তার সঙ্গীরা । কিন্তু লোকসভা ভোটের পর দেখা যায়, বারাসতের 35টি ওয়ার্ডের মধ্যে 27টি ওয়ার্ডে ভালো ফল করেছে BJP । এই কলোনিও গেরুয়া শিবিরের দখলে যায় । এরপরই তোলাবাজরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। গত বৃহস্পতিবার (6 জুন) রাতে তারা গোপনে এলাকায় ঢুকলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলে। নির্মাণ সংস্থার থেকে আদায় করা 70 লাখ টাকার হিসেব চায় । ঠাকুরকে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে আটকে রেখে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । উত্তরে অসঙ্গতি থাকায় মারধরও করা হয় । ঠাকুরকে উদ্ধার করতে আসে বারাসত থানার পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে জনতার ওপর হামলা চালায় । যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করে ।
উল্লেখ্য, বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনিতে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট নতুন কোনও ঘটনা নয় । বাম আমলে এই সিন্ডিকেট, তোলাবাজি শুরু হয় । কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালবদলের পর ঘাসফুলের ছত্রছায়ায় চলে আসে তোলাবাজরা । পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি-বাড়ি বিক্রি, প্রোমোটিং, টোটো ইউনিয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে তোলাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে তৃণমূল । কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর শাসকদলের সাংগঠনিক মাটি কিছুটা আলগা হতেই সাধারণ মানুষ তোলাবাজির হিসেব চাইতে শুরু করে । পিছু হটে তোলাবাজরা ।