ETV Bharat / state

তোলাবাজির ৭০ লাখ কোথায় ? তৃণমূল কর্মীদের কাছে হিসেব চাইতেই অগ্নিগর্ভ বারাসত - barasat

গত বৃহস্পতিবার (6 জুন) রাতে তারা গোপনে এলাকায় ঢুকলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলেন। নির্মাণ সংস্থার থেকে আদায় করা 70 লাখ টাকার হিসেব চান। ঠাকুরকে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে আটকে রেখে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন । ঠাকুরকে উদ্ধার করতে আসে বারাসত থানার পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে জনতার ওপর হামলা চালায় ।

এলাকায় মোতায়েন RAF
author img

By

Published : Jun 8, 2019, 5:29 PM IST

বারাসত, 8 জুন : তোলাবাজকে উদ্ধার করতে জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনি । এলাকার তোলাবাজকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা । তাকে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মুখে কালো কাপড় ঢেকে এলাকায় ঢুকে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায় । তাদের রুখতে স্থানীয়রাও পালটা হামলা চালায় । আপাতত, এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন RAF ।

জানা গেছে, দ্বিজহরিদাস কলোনির তৃণমূল কর্মী স্বপন চক্রবর্তী ওরফে ঠাকুর, সমীর, অর্জুন ও লালু-সহ কয়েকজন ভয় দেখিয়ে এলাকায় তোলাবাজি চালাত । একটি নামী নির্মাণ সংস্থার থেকে 70 লাখ টাকা তোলা আদায় করে ঠাকুর ও তার সঙ্গীরা । কিন্তু লোকসভা ভোটের পর দেখা যায়, বারাসতের 35টি ওয়ার্ডের মধ্যে 27টি ওয়ার্ডে ভালো ফল করেছে BJP । এই কলোনিও গেরুয়া শিবিরের দখলে যায় । এরপরই তোলাবাজরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। গত বৃহস্পতিবার (6 জুন) রাতে তারা গোপনে এলাকায় ঢুকলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলে। নির্মাণ সংস্থার থেকে আদায় করা 70 লাখ টাকার হিসেব চায় । ঠাকুরকে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে আটকে রেখে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । উত্তরে অসঙ্গতি থাকায় মারধরও করা হয় । ঠাকুরকে উদ্ধার করতে আসে বারাসত থানার পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে জনতার ওপর হামলা চালায় । যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করে ।

উল্লেখ্য, বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনিতে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট নতুন কোনও ঘটনা নয় । বাম আমলে এই সিন্ডিকেট, তোলাবাজি শুরু হয় । কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালবদলের পর ঘাসফুলের ছত্রছায়ায় চলে আসে তোলাবাজরা । পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি-বাড়ি বিক্রি, প্রোমোটিং, টোটো ইউনিয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে তোলাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে তৃণমূল । কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর শাসকদলের সাংগঠনিক মাটি কিছুটা আলগা হতেই সাধারণ মানুষ তোলাবাজির হিসেব চাইতে শুরু করে । পিছু হটে তোলাবাজরা ।

বারাসত, 8 জুন : তোলাবাজকে উদ্ধার করতে জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনি । এলাকার তোলাবাজকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা । তাকে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মুখে কালো কাপড় ঢেকে এলাকায় ঢুকে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায় । তাদের রুখতে স্থানীয়রাও পালটা হামলা চালায় । আপাতত, এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন RAF ।

জানা গেছে, দ্বিজহরিদাস কলোনির তৃণমূল কর্মী স্বপন চক্রবর্তী ওরফে ঠাকুর, সমীর, অর্জুন ও লালু-সহ কয়েকজন ভয় দেখিয়ে এলাকায় তোলাবাজি চালাত । একটি নামী নির্মাণ সংস্থার থেকে 70 লাখ টাকা তোলা আদায় করে ঠাকুর ও তার সঙ্গীরা । কিন্তু লোকসভা ভোটের পর দেখা যায়, বারাসতের 35টি ওয়ার্ডের মধ্যে 27টি ওয়ার্ডে ভালো ফল করেছে BJP । এই কলোনিও গেরুয়া শিবিরের দখলে যায় । এরপরই তোলাবাজরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। গত বৃহস্পতিবার (6 জুন) রাতে তারা গোপনে এলাকায় ঢুকলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলে। নির্মাণ সংস্থার থেকে আদায় করা 70 লাখ টাকার হিসেব চায় । ঠাকুরকে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে আটকে রেখে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । উত্তরে অসঙ্গতি থাকায় মারধরও করা হয় । ঠাকুরকে উদ্ধার করতে আসে বারাসত থানার পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে জনতার ওপর হামলা চালায় । যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করে ।

উল্লেখ্য, বারাসতের দ্বিজহরিদাস কলোনিতে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট নতুন কোনও ঘটনা নয় । বাম আমলে এই সিন্ডিকেট, তোলাবাজি শুরু হয় । কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালবদলের পর ঘাসফুলের ছত্রছায়ায় চলে আসে তোলাবাজরা । পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি-বাড়ি বিক্রি, প্রোমোটিং, টোটো ইউনিয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে তোলাবাজির একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে তৃণমূল । কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর শাসকদলের সাংগঠনিক মাটি কিছুটা আলগা হতেই সাধারণ মানুষ তোলাবাজির হিসেব চাইতে শুরু করে । পিছু হটে তোলাবাজরা ।

অনলাইন পরিকাঠামোর অভাবে ঘোজাডাঙা সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ, কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্তে দাঁড়িয়ে, ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা বসিরহাট ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে সীমান্ত বাণিজ্য আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ চলতি মাসের ১৩ই মে হঠাৎই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অনলাইন পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ব্যবসায়ীদের। এধরনের বাণিজ‍্যের প্রতিবাদে সকাল থেকে সীমান্ত ট্রাক বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলতে থাকে। অবশেষে বাণিজ্য বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শতাধিক ব্যবসায়ী। এর ফলে সীমান্ত বাণিজ্য আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়েছে। দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ হাজারেরও পণ্যবাহী ট্রাক। একদিকে তাপপ্রবাহ অন্যদিকে কাঁচামাল, ফল, কমলালেবু, পেঁয়াজ, সবজি ও মাছ যত সময় যাচ্ছে পচন শুরু হবে। ক্ষতির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস আধিকারিক পি.টি. ভুটিয়া জানিয়েছেন যে ভাবে তাদের আছে কেন্দ্র সরকার থেকে নির্দেশিকা এসেছে তারা সেই ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাদের এ ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই। সমস্যায় পড়েছে আমদানি-রপ্তানি সংস্থার ব্যবসায়ীরা। ঘোজাডাঙ্গা আমদানি ও রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, যেভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাতে সময় লাগবে, যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়া থমকে যাবে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের। এমনকি এর সঙ্গে যুক্ত যেসব ছোট-বড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.