ETV Bharat / state

নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উপর গরম তেল

মইদুল হক বলেন, "প্রথমে চপ বিক্রেতা ভাজার ঝাঝরি দিয়ে গরম তেল ছিটিয়ে দেয় । এরপর কড়াই ধরে গরম তেল ঢেলে দেয় । জখম হয়েছেন ছয় জন । " এই ঘটনার পরেই মিছিলের লোকজন দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ।

Anti-citizenship Act protest at Amadanga
আহতদের ছবি
author img

By

Published : Dec 14, 2019, 11:45 PM IST

আমডাঙা, 14 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 এর প্রতিবাদে হওয়া মিছিলকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হল উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা । মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উপর গরম তেল ছেটানোর অভিযোগ উঠল । এই অভিযোগ উঠেছে এক চপ বিক্রেতার বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় জখম হয়েছেন 6 জন । তাঁদের মধ্যে 2 জনের অবস্থা গুরুতর । আহতদের বারাসত স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ওই চপ বিক্রেতার অস্থায়ী দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় । আশপাশের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়েছে । আজ সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার সন্তোষপুর মোড়ে । ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই চপ বিক্রেতা ।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বারাসত থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে আসে । সেখানে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর । এই ঘটনায় জখম হয়েছেন, তৌফিক মণ্ডল, সরিফুল ইসলাম, হাবিল লস্কর, সিরাজুল মণ্ডল সহ আরও দুই জন । শনিবার বিকেলে এলাকায় নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে মিছিল চলছিল । মিছিলে ছিলেন আমডাঙা, বোদাই, রায়পুর, সাধনপুর, রাহানা, আওয়ালসিদ্ধি, সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দারা ।

Anti-citizenship Act protest at Amadanga
আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

সন্তোষপুর মোড়ে রাস্তার ধারে চপ ভাজছিলেন আমডাঙার কামদেবপুরের ঠাকুরবাড়ির বাসিন্দা ওই বিক্রেতা । মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন চপ বিক্রেতার দোকানে গিয়ে জল চায় । তখন দোকানদারের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের । অভিযোগ, তখন ওই চপ বিক্রেতা গরম তেল ঢেলে দেন কয়েক জনের ওপর ।

দেখুন কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মইদুল হক বলেন, "প্রথমে চপ বিক্রেতা ভাজার ঝাঝরি দিয়ে গরম তেল ছিটিয়ে দেয় । এরপর কড়াই ধরে গরম তেল ঢেলে দেয় । জখম হয়েছেন ছয় জন । " এই ঘটনার পরেই মিছিলের লোকজন দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । এলাকার আরও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে আমডাঙা থানার কয়েকজন পুলিশ । বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের । ফের উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয় । এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও RAF ।

আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান বলেন, "উত্তেজিত মানুষ 6-7টি দোকানে ভাঙচুর করেছে । ঘটনার পিছনে BJP-র চক্রান্ত রয়েছে । আমি জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বলেছি, আহতদের চিকিৎসা যেন ভালোভাবে হয় । আর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছি । আমডাঙায় শান্তি স্থাপনের জন্য দলের তরফে প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ।"

যদিও তৃণমূল বিধায়কের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP-র জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "এই ঘটনায় BJP-র কেউ যুক্ত নেই । তৃণমূলই এই ইশুতে সংখ্যালঘুদের উস্কানি দিয়ে গোটা রাজ্যেই অশান্তি সৃষ্টি করেছে । পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে চুপ করে রয়েছে ।"

আমডাঙা, 14 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 এর প্রতিবাদে হওয়া মিছিলকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হল উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা । মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উপর গরম তেল ছেটানোর অভিযোগ উঠল । এই অভিযোগ উঠেছে এক চপ বিক্রেতার বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় জখম হয়েছেন 6 জন । তাঁদের মধ্যে 2 জনের অবস্থা গুরুতর । আহতদের বারাসত স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ওই চপ বিক্রেতার অস্থায়ী দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় । আশপাশের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়েছে । আজ সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার সন্তোষপুর মোড়ে । ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই চপ বিক্রেতা ।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বারাসত থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে আসে । সেখানে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর । এই ঘটনায় জখম হয়েছেন, তৌফিক মণ্ডল, সরিফুল ইসলাম, হাবিল লস্কর, সিরাজুল মণ্ডল সহ আরও দুই জন । শনিবার বিকেলে এলাকায় নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে মিছিল চলছিল । মিছিলে ছিলেন আমডাঙা, বোদাই, রায়পুর, সাধনপুর, রাহানা, আওয়ালসিদ্ধি, সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দারা ।

Anti-citizenship Act protest at Amadanga
আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

সন্তোষপুর মোড়ে রাস্তার ধারে চপ ভাজছিলেন আমডাঙার কামদেবপুরের ঠাকুরবাড়ির বাসিন্দা ওই বিক্রেতা । মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন চপ বিক্রেতার দোকানে গিয়ে জল চায় । তখন দোকানদারের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের । অভিযোগ, তখন ওই চপ বিক্রেতা গরম তেল ঢেলে দেন কয়েক জনের ওপর ।

দেখুন কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মইদুল হক বলেন, "প্রথমে চপ বিক্রেতা ভাজার ঝাঝরি দিয়ে গরম তেল ছিটিয়ে দেয় । এরপর কড়াই ধরে গরম তেল ঢেলে দেয় । জখম হয়েছেন ছয় জন । " এই ঘটনার পরেই মিছিলের লোকজন দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । এলাকার আরও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে আমডাঙা থানার কয়েকজন পুলিশ । বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের । ফের উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয় । এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও RAF ।

আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান বলেন, "উত্তেজিত মানুষ 6-7টি দোকানে ভাঙচুর করেছে । ঘটনার পিছনে BJP-র চক্রান্ত রয়েছে । আমি জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বলেছি, আহতদের চিকিৎসা যেন ভালোভাবে হয় । আর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছি । আমডাঙায় শান্তি স্থাপনের জন্য দলের তরফে প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ।"

যদিও তৃণমূল বিধায়কের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP-র জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "এই ঘটনায় BJP-র কেউ যুক্ত নেই । তৃণমূলই এই ইশুতে সংখ্যালঘুদের উস্কানি দিয়ে গোটা রাজ্যেই অশান্তি সৃষ্টি করেছে । পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে চুপ করে রয়েছে ।"

Intro:নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মিছিলকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগণা আমডাঙা। মিছিলে গরম তেল ছেটানোর অভিযোগ উঠল এক চপ বিক্রেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৬ জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জনের আঘাত গুরুতর। আহতদের প্রত্যেককে ভর্তি করা হয়েছে বারাসত হাসপাতালে। ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ওই চপ বিক্রেতার গুমটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার সন্তোষপুর মোড়ে।Body:রাজু বিশ্বাস,অামডাঙাঃ-নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী মিছিলকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগনার অামডাঙা।মিছিলে গরম তেল ছেটানোর অভিযোগ উঠল এক চপ বিক্রেতার বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় ৬ জন জখম হয়েছেন।এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।জখমদের ভর্তি করা হয়েছে বারাসত হাসপাতালে।শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার সন্তোষপুর মোড়ে।ঘটনার পরই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ওই চপ বিক্রেতা।তারপরই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা।মিছিলে থাকা ক্ষুব্ধ মানুষ ওই চপ বিক্রেতার চপের ঘুমটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।বারাসত থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়।এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সন্ধ্যাতেই সন্তোষপুরে চলে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাদ ঠাকুর। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জখমরা হলেন তৌফিক মন্ডল(১৮),সরিফুল ইসলাম(২৫),হাবিল লস্কর(৪০),সিরাজুল মন্ডল (৪০) সহ অন্যান্যরা।


শনিবার বিকেলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীতা করে এলাকার মানুষ প্রতিবাদী মিছিল করেন।মিছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ ছিল। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন,আমডাঙা,বোদাই,রায়পুর, সাধনপুর,রাহানা,আওয়ালসিদ্ধি,সোনাডাঙা এলাকার মানুষ।এদিন সন্ধ্যার দিকে মিছিল আসে সন্তোষপুর মোড়ে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মিছিলে বেশ কিছু লোকজন রাস্তার ধারেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।রাস্তার ধারেই চপ ভাজছিলেন আমডাঙার কামদেবপুরের ঠাকুরবাড়ির এক বাসিন্দা।মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন চপ বিক্রেতার দোকানে গিয়ে জল চায়।জল খাওয়া নিয়ে দোকানদারের সাথে বচসা বাধে তাদের।অভিযোগ ঠিক তখনই ওই চপ বিক্রেতা চপ ভাজার গরম তেল ঢেলে দেন মিছিলে আসা কয়েক জনের ওপর। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মইদুল হক বলেন, প্রথমে চপ বিক্রেতা ভাজার ঝাঝরি দিয়ে গরম তেল ছিটিয়ে দেয়।অল্প পরিমান তেল সেভাবে না লাগায়,এরপর কড়াই ধরে গরম তেল ঢেলে দেন।এর ফলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছয় জনের শরীরে লেগে যায়।গরম তেলে জখম হয়েছেন ছয় জন।আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে বারাসত হাসপাতালে। জখম হয়েছেন তৌফিক মন্ডল নামে এক ছাত্রও। জখমদের সকলেরই চোখে,মুখে বুকে লেগেছে।মইদুলের অভিযোগ, চপ বিক্রেতা বিজেপি করে।নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মিছিল করার কারনেই সে গরম তেল ঢেলে হামলা চালিয়েছে।

এই ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ জনতা চপ বিক্রেতার ঘুমটি ঘর ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাতে গোনা আমডাঙা থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মী।কিন্তু পুলিশ দেখেই তাদের সাথে বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের।ফলে,ফের উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়।এরপর,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নামানো হয় বিরাট পুলিশবাহিনী ও RAF।

আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান বলেন, উত্তেজিত মানুষ ৬-৭টি দোকান ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে।আমি জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বলেছি আহতদের চিকিতসা যেন ভালোভাবে হয়।অার ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ক্ষতিপুরনের ব্যাবস্থা করার কথা জানিয়েছি তাকে।আমডাঙায় শান্তি স্থাপনের জন্য দলের তরফে প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।

যদিও তৃণমূল বিধায়কের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জীবলেন,এই ঘটনায় বিজেপির কেউ যুক্ত নয়।তৃণমুলই এই ইস্যুতে সংখ্যালঘুদের উস্কানি দিয়ে গোটা রাজ্যেই অশান্তি সৃষ্টি করেছে।পুলিশ প্রশাসন ব্যাবস্থা নেওয়ার বদলে নিশ্চুপ রয়েছে।Conclusion:এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী ও RAF।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.