বারাসত, 28 জুন: "স্টুডেন্টদের বুঝে চলা উচিত রাজ্যপালের । কারণ ওরা সাধারণত অবুঝ হয় । তাই, কী করলে ওরা কালো পতাকা দেখাবে না তা ভেবে এগোনো উচিত ৷" রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো পতাকা দেখান নিয়ে দলের ছাত্র সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে বুধবার এই মন্তব্যই করেছেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷
বুধবার সন্ধ্যায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বারাসতে দলীয় কার্যালয়ের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আসেন চিরঞ্জিত ৷ বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় এই কার্যালয়ের উদ্ধোধনে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিধায়ক, তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক, পৌরসভার পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ । অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের কালো পতাকা দেখা নিয়ে মুখ খোলেন বারাসতের বিধায়ক ৷
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে এদিন বারাসতের বিধায়ক বলেন, "দেখবেই তো ! এরকম করলে এরকমই হবে । যে যেরকম করবে তার ক্ষেত্রে সেরকমই প্রতিক্রিয়া হবে । পছন্দ, অপছন্দ অনুযায়ী রি-অ্যাকশন হয়ে থাকে ৷" মতের অমিল হলেও কি রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো উচিত? এর জবাবে চিরঞ্জিত বলেন, "তা উচিত নয় ! যদি পতাকা দেখায় কী আর করা যাবে ! সুডেন্টরা কী করছে কে বলবে ! যাতে সুডেন্টরা কালো পতাকা না দেখায় তা বুঝে চলা উচিত রাজ্যপালের ৷"
আরও পড়ুন: সিপিএম নেতার হাত থেকে তুলি নিয়ে দেওয়ালে পদ্মফুল আঁকলেন ভারতী ঘোষ
অন্যদিকে, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক জানান, মতের মিল না হলেই তো সংঘাত বাঁধছে । তাই তো দেখছি । একবার ডেকে পাঠাচ্ছে । তারপর নির্বাচন কমিশনারকে বলছে তাড়াবে । কেন তাড়ানোর কথা বলল আর কেনই বা ওর (নির্বাচন কমিশনার) জয়নিং লেটার ফেরত পাঠাল সেটাও বোঝা গেল না । সেটা এখন কোথায় রয়েছে জানা নেই । কিছু একটা এদিক-ওদিক হচ্ছে । এলোমেলো হচ্ছে । আরও সতর্কভাবে পদক্ষেপ করা উচিত ৷