বাগদা, 10 জুন : প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের শিক্ষক দুর্নীতির গল্পের 'রঞ্জন সৎ'-এর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর সামনে এসেছে তাঁর পরিচয় । রঞ্জনের সঙ্গে বাগদার মামাভাগ্নে চন্দন মণ্ডলের নাম জড়াতেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর (Political Debate with Chandan Mondal)। বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দুলাল বর বলছেন, চন্দন সিপিএম ঘরানার হলেও তিনি তৃণমূলের সদস্য । যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ শাসক দল । চন্দনের বিষয়টি ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সিপিআইএম-ও । এখন প্রশ্ন হচ্ছে যার নাম এত বড় শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে জড়িয়েছে সেই চন্দন তা হলে কাদের ?
বৃহস্পতিবার দুলালবাবু সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "চন্দন সিপিআইএম ঘরনার ছেলে । কিন্তু চার-পাঁচ বছর আগে 50 হাজার টাকা দিয়ে তৃণমূলের সদস্য হয়েছিল ।" দুলালবাবুর দাবি, এই কথা চন্দন নিজেই তাঁকে একসময় বলেছিল । তিনি আরও বলেন, "তৃণমূলের সদস্য হলেও তিনি সক্রিয় রাজনীতি করতেন না । তবে তৃণমূল নেতারা তার কাছে যেতেন । " তাঁর আরও দাবি, বিধানসভায় বাগদার তৃণমূলের টিকিট বন্টনেও চন্দনের ভূমিকা ছিল । চন্দনের হাত ছিল উপর তলা পর্যন্ত ।
যদিও এবিষয়ে দুলাল বরকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ । তিনি বলেন, "তৃণমূল পরিবারের সঙ্গে চন্দনের কোনও যোগ নেই । বিজেপির যিনি বলেছেন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে । না হলে তিনি এত কথা বলছেন কি করে ।" পাশাপাশি গোপালবাবু জানান, চন্দন সিপিআইএম ঘরানার। সিপিআইএম-এর লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন । তাঁর কথায়, তবে তিনি দোষী হলে শাস্তি হবে ।
সিপিআইএমের উত্তর 24 পরগনার জেলা কমিটির সদস্য মতিয়ার মণ্ডল বলে, "2011 সালের আগে সিপিআইএম করত । কিন্তু 11 সালের পর আমাদের সঙ্গে যুক্ত নেই ।"
অন্যদিকে আবার চন্দন প্রসঙ্গে কিছুই বলতে চাইছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা । বৃহস্পতিবার চন্দনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে কেউ নেই । বাড়ির প্রধান গেটে বাইরের দিক থেকে তালা বন্ধ ।