মধ্যমগ্রাম, 21 মার্চ : কোরোনা আতঙ্কে দেশবাসি মুখ ঢেকেছে মাস্কের আড়ালে ৷ তখন মাস্ককে হাতিয়ার করেই ডাকাতি মধ্যমগ্রামের এক সোনার দোকানে ৷ রীতিমতো ফিল্মের কায়দায় মুখে মাস্ক পড়ে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে ডাকাতি করে ওই দুস্কৃতীরা ৷ সমস্ত ঘটনাটিই সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷
কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে মাস্ক ব্যবহার করছে ৷ ক্রেতা হিসাবে দোকানে ডাকাতি করতে আসা ওই দুস্কৃতীর দলও তাই মাস্ক পড়ে থাকায় দেকান মালিক বা কর্মচারীদের কোনও সন্দেহ হয়নি ৷
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,কোরোনা আতঙ্কে এমনিতেই রাস্তাঘাটে লোকজন কম । সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই কাল বিকেলে পাঁচ জনের একটি দুষ্কৃতী দল মধ্যমগ্রাম-সোদপুর রোডের ওই সোনার দোকানে হানা দেয় । প্রথমে একজন ক্রেতা সেজে প্রবেশ করে দোকানের ভিতরে । এরপর সোনার গয়না দেখানোর অছলায় বাকি চারজনও ঢুকে পড়ে । তারপরই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে স্বমূর্তি ধারণ করে দুষ্কৃতীরা ।শুরু হয় লুঠপাট । বাধা দিতে গেলে দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে দুস্কৃতীদের ধস্তাধস্তিও হয় । সেই সময় দুষ্কৃতীদের একজনকে আঘাতও করা হয় । বেশ কিছুক্ষণ লুঠপাট চালানোর পর দুষ্কৃতী দলটি চম্পট দেয়, লোকজন চলে আসায় ধরা পড়ার ভয়ে তাদের একটি বাইক ও রিভলভার ফেলে দিয়ে পালায় দুস্কৃতীরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ ।
ঘটনাস্থলে আসেন উত্তর 24 পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি । ডাকাতি নিয়ে দোকানের কর্মচারী সুমন ধর বলেন,‘‘ডাকাতির সময় দোকানে মোট তিনজন কর্মচারী ছিল । প্রথমে একজন ভিতরে প্রবেশ করে । তারপর ঢোকে বাকি চারজন । সোনার দুল, চেন ও নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা । সবমিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার জিনিস লুঠ হয়েছে । দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল । তাঁদের বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে । হিন্দি ও বাংলাতে কথা বলছিল তারা ।’’
মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে,‘‘দুস্কৃতীদের ফেলে যাওয়া ওই বাইক ও রিভলভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । রাস্তার ও দোকানের CCTV ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতী দলটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।’’
কোরোনা আতঙ্ককে হাতিয়ার করে দুষ্কৃতীরা ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে,তা মধ্যমগ্রামের ঘটনাতেই স্পষ্ট হল ।