বিধাননগর, 7 জুন : সকাল 10:45 থেকে বেলা 3টে 20 । CBI-য়ের তদন্তকারী দল ফের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে । দফায় দফায় প্রায় চার ঘণ্টা রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সারদা কাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার তথাগত বর্ধন, DSP পদমর্যাদার এক CBI আধিকারিক-সহ SP মর্যাদার বেশ কয়েকজন আধিকারিক । বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ও SIT-এর প্রধান হিসেবে তাঁর ভূমিকা কী ছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। CBI সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অর্ণব ঘোষের সঙ্গে তাঁর বক্তব্যে অমিল থাকায় ফের তাকে ডাকা হতে পারে ।
সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী প্রায় মাস খানেক পলাতক থাকার পর কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে যখন ধরা পড়েন তখন বাজেয়াপ্ত হয় অনেক কিছুই । কিন্তু ল্যাপটপ বাদে কোনও কিছুই CBI-এর হাতে আসেনি । সেই সব জিনিস কোথায় এবং কেনই বা ল্যাপটপের তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করা হয়েছিল আজ তা জানতে চাওয়া হয় রাজীবের কাছে । পাশাপাশি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার এবং SIT-এর প্রধান হিসেবে তিনি কীভাবে সারদা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । তিনি যে সিদ্ধান্তগুলি নিতেন তা উঁচুতলার নির্দেশে করতেন কী না, সেটিও রাজীবের কাছে জানতে চাওয়া হয় । একইসঙ্গে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে যে সমস্ত নথিপত্র এবং অকাট্য প্রমাণ এখনও অবধি CBI-কে দেওয়া হয়নি সেগুলির কোথায় তাও জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে । সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন রাজীব ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : CBI দপ্তরে রাজীব কুমার
সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের সল্টলেকে একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে লকার ছিল । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সেই লকারে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগী হলে আগেই সেই খবর জানতে পেরে রাজীব কুমার একটি দল পাঠিয়ে লকার ভেঙে সেই সমস্ত জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসেন । এমনকী বহুক্ষেত্রে ED এবং CBI-র হানার আগেই বেশ কয়েকবার তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে । CBI এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত চালাচ্ছিল, তা সত্ত্বেও কেন রাজীব তদন্ত চালাচ্ছিলেন এবং সেই তদন্ত চালাবার সিদ্ধান্ত তাঁর ছিল না এক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক প্রভাবশালীর নির্দেশ ছিল সেই সব বিষয় উঠে এসেছে আজকের জিজ্ঞাসাবাদে ।
আজ টানা জেরায় বেশ বিধ্বস্ত দেখায় রাজীবকে। CBI দপ্তর থেকে বেরনোর সময় তাঁর চোখে মুখে ছিল অস্বস্তির ছাপ ।