বসিরহাট, 4 অগস্ট : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সোনা পাচার নতুন কোনও ঘটনা নয় ৷ এর আগেও বসিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নানা ধরনের জিনিস পাচারের চেষ্টা হয়েছে । কখনও সোনার বাট, রুপোর গয়না। আবার কখনও ফেন্সিডিল কিংবা মাছের চারাপোনা। যদিও বেশিরভাগক্ষেত্রেই সেই পাচার রুখে দিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ।
জানা গিয়েছে, গতকাল বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত এলাকায় এক ব্যক্তিকে পায়চারি করতে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফের 153 নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের । জওয়ানরা এগিয়ে যেতেই সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় । এরপর তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ বিএসএফের ।
ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মেলে 11 টি সোনার বিস্কুট। আটক করা হয় তাকে । আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা জানতে পারেন, তার বাড়ি ঘোজাডাঙা সীমান্তের উত্তরপাড়ায়।
আরও পড়ুন : Nimta Transgender Murder : নিমতায় বৃহন্নলা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার 2, পলাতক মূল অভিযুক্ত
কোথা থেকে সে বিপুল পরিমাণ এই সোনার বিস্কুট পেল তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে,পাচারের উদ্দেশ্যেই যে বিপুল পরিমাণ মজুত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
আটক ব্যক্তিকে পরে, বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল টাকার সোনার বিস্কুট ঘোজাডাঙা শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ (BSF) কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে বিএসএফের (BSF) 153 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার যোহর সিং বলেন, "বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সবসময় সমন্বয় সাধন করে কাজ করছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তার ফলে ঘোজাডাঙা সীমান্তে বারবার অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। যে কোনও অপরাধ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বিএসএফের 153 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। তাদের তৎপরতাতেই এদিন এতবড় সাফল্য এসেছে বিএসএফের ৷"
এদিকে, ঘটনার সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সোনা পাচার চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। ধৃতকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।