ভাটপাড়া, 24 ফেব্রুয়ারি: বোমা ও গুলির শব্দে মাঝেমাঝেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে ভাটপাড়ার নাম। বিভিন্ন এলাকা থেকে মাঝেমধ্যেই বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আজ ফের একবার বড়সড় সাফল্য পেল ভাটপাড়া থানার পুলিশ। শুক্রবার ভাটপাড়া পৌরসভার 32 নম্বর ওয়ার্ডে 5A বিজয়নগর দীঘিরপাড় এলাকা থেকে 30টি বোমা উদ্ধার করা হয় (Bomb Recovered in Bhatpara) ৷ যেগুলি পরে নিষ্ক্রিয় করেন বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়ার্ডের সদস্যরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই দীঘিরপাড় এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এদিন ওই এলাকায় গিয়ে 3টি ড্রামভরতি বোমা দেখতে পায় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়ার্ডে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভাটপাড়া থানার আইসি (IC) অনুপম মণ্ডল ও এসিপি (ACP) জগদ্দল সুব্রত মণ্ডল। তারপর ভাটপাড়া থানার পুলিশ, বম্ব স্কোয়ার্ডের সহযোগিতায় সবরকম সুরক্ষার মধ্যে দিয়েই দিঘীরপাড় এলাকাতে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয় ৷
আরও পড়ুন: রাতভর বোমাবাজি ! সামশেরগঞ্জে বোমা উদ্ধার, গ্রেফতার 3
উল্লেখ্য, বগটুইকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যের সমস্ত এলাকা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা, গুলি উদ্ধার করার। তারপরে বেশ কিছুদিন ধরে তা উদ্ধারও হচ্ছিল। কিন্তু এই বোমা উদ্ধার থামার কোনও নাম নেই। বিভিন্ন জেলার কিছু জায়গা থেকে প্রায়ই দিনই বোমা উদ্ধার হয়। কোন পথে যে এর সমাধান হতে পারে তা কারও জানা নেই। কথায় আছে, পুলিশ যদি চায় তো মন্দিরের সামনে থেকে চটি চুরি হয় না ৷ সেখানে দিনের পর দিন রাজ্যে এবং ভাটপাড়া, জগদ্দল এলাকায় এভাবে বোমা মজুত করা হচ্ছে। বোমার মশলা বা বোমা এলাকায় ঢুকছে কী করে ? এত পরিমাণে বোমা যে লোকালয়ে মজুত রাখা হচ্ছে তা যদি কোনও দুর্ঘটনার আকার নিয়ে বড়সড় প্রাণহানির আশঙ্কা হয়, তাহলে এর দায় কে নেবে ? এর উত্তর কে দেবে ? এমনই প্রশ্ন তুলছে এলাকাবাসী ৷