ঠাকুরনগর, 16 জানুয়ারি : বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur called meeting with Matua Leaders ) ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতুয়া সদস্যদের নিয়ে রবিবার দুপুরে বৈঠক শুরু হয় । তবে আজকের এই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ ৷ মতুয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ডাকা হয়েছে এই বৈঠক ৷
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে গতকালই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে ওই বৈঠক শেষে আলাদা মঞ্চ গড়ার খসড়া তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি না মেনে নিলে শ্যমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পিআর ঠাকুরের নামে আত্মপ্রকাশ করবে ওই মঞ্চ ৷ শনিবারের বৈঠকের পর আজ মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই জরুরি বৈঠক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷
বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি গঠিত হতেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ ৷ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপির জেলা কমিটি ঘোষণা করতেই হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ মতুয়া অধ্যুষিত এলাকার বিধায়ক ৷ তালিকায় রয়েছেন, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী । এরপর নতুন বছরের শুরুর দিকে একই পদ্ধতি অনুসরণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ৷
আরও পড়ুন : Bengal BJP Inner Conflict : আলাদা মঞ্চ গড়ে দাবি আদায়ের লড়াইয়ে নামছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধরা
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের নেতা মন্ত্রীরা এরাজ্যে এসে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখেও সেই আশ্বাস শোনা গিয়েছিল ৷ নির্বাচনে আশাতীত ফল না পাওয়ায় সেই বিষয়ে আর রা কাড়েনি বিজেপি ৷ সিএএ চালু করতে গিয়ে অসমের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছিল তা সবাই জানে ৷ তার উপর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট আসন্ন ৷ এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের দাবি মতো নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে ৷
সিএএ নিয়ে পদক্ষেপ না করায় বিজেপির উপর দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামী বিধায়ক ও মতুয়ারা ৷ শান্তনু ঠাকুরদের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার অন্যতম কারণ ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর করতে না পারলে ভোটে মতুয়াদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে বিজেপিকে ৷