গাইঘাটা , 7 জুন : রাতভর থানার সামনে ধরনা দেওয়ার পর রণকৌশল বদলাল BJP । দলের ধৃত দুই কর্মীকে ছাড়ানোর দাবিতে BJP কর্মী-সমর্থকরা থানার গেটের সামনে থেকে সরে পাশে তাঁবু খাটিয়ে বিছানা পেতে ধরনা শুরু করলেন । সেই ধরনা মঞ্চ থেকে সাংসদ তথা যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন । ETV ভারতকে বললেন, "আমাদের দলের দুই কর্মীকে না ছাড়লে শুধু ধরনা নয়, গোটা জেলায় আগুন জ্বলবে ।"
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , গাইঘাটার ফুলসরা পঞ্চায়েতের বকচরা গ্রামে শনিবার রাতে তৃণমূল ও BJP দুই দলের সমর্থকের মধ্যে মারামারি হয় । সেই ঘটনায় পুলিশ BJP-র এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে । তৃণমূলেরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । কিন্তু রাতে তৃণমূলের ধৃত কর্মীকে পুলিশ ছেড়ে দেয় । BJP-র মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য ও আরও এক কর্মীকেও ছেড়ে দেওয়া হয় । কিন্তু বাকি দুই BJP কর্মীকে এখনও থানায় আটকে রাখা হয়েছে । তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : রাতভর গাইঘাটা থানার সামনে অবস্থানে 2 BJP সাংসদ
তারই প্রতিবাদে রাত থেকে BJP-র বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর প্রায় 50 জন কর্মী-সমর্থক নিয়ে গাইঘাটা থানার সামনে ধরনায় বসেছেন । তাঁদের অভিযোগ , দলীয় কর্মীদের মিথ্যে অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ । এরপর সকালে থানার গেট থেকে সরে পাশে তাঁবু খাটিয়ে তাঁরা ধরনা শুরু করেছেন । সেই ধরনা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে । সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পুলিশের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন , "আমাদের দুই কর্মীকে না ছাড়লে আমরা অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব । উত্তর 24 পরগনার সব রাস্তা বন্ধ করে দেব । গোটা জেলায় আগুন জ্বলবে । "
এরপর 10 টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন বাগদা-র MP দুলাল বর । সেইসময় গাইঘাটার OC লিটন রক্ষিত , সুঁটিয়ার OC বলাই ঘোষ সেখানে যান । তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে গেলে সেই মুহূর্তে দুলালবাবু তাঁকে রীতিমতো অপমান করে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন ।
জানা গেছে , এরপরই বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর , বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ সাত প্রতিনিধি গাইঘাটার থানার OC -র ঘরে গিয়েছেন । তাঁরা বের হলেই বাকিটা জানা যাবে ।