বাগদা, ২৯ জুন : অনাস্থা ভোট হারলেন বাগদার শিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান লতিকা মণ্ডল । পঞ্চায়েতের প্রধান একনায়কতন্ত্র ভাবে কাজ করছেন, ঠিক মতো সাধারণ মানুষকে পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিধানসভা ভোটের আগে তিনজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন । পরবর্তীতে 14 জন সদস্য মিলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন । চলতি মাসের 25 তারিখ অবৈধভাবে অনাস্থা আনার অভিযোগ তুলে ও তিনজন পঞ্চায়েত সদস্যের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি । তারপরও আজ অনাস্থার ভোটাভুটি হয় ।
তবে, মঙ্গলবারের এই অনাস্থা ভোটে অংশ নেননি বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান স্বয়ং। আসেননি বিজেপির বাকি সদস্যরাও ৷ অনাস্থায় 14-0 ভোটে হারেন প্রধান । এদিনেই অনাস্থা ভোটে শিন্দ্রানী পঞ্চায়েত এলাকায় কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মুড়ে ফেলা হয়েছিল । পঞ্চায়েতের 100 মিটারের মধ্যে জারি করা হয় 144 ধারা ।
উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা ব্লকের বিজেপি পরিচালিত শিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতে 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট 26টি আসনের মধ্যে 13টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি, 2 টি নির্দল ও তৃণমূল কংগ্রেস পায় 11টি আসন । নিজেদের 13 জন ও 2 জন নির্দল নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে বিজেপি । পঞ্চায়েত প্রধান হন লতিকা মণ্ডল ।
আরও পড়ুন...অনাস্থায় হার গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্যের কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশ নারায়ণের
2019 সালের প্রধানের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র ভাবে কাজ করার অভিযোগ তুলে তিনজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন । ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বিজেপি । মে মাসের 10 তারিখ 14 জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন । অবৈধভাবে অনাস্থা আনা হয়েছে, অভিযোগ তুলে 25 তারিখ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি । দলবিরোধী আইন অনুযায়ী বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া তিন সদস্যের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানায় তারা ।
সূত্রের খবর, সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি । ফলে আজ অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে তৃণমূলের 14 জন সদস্য ছাড়া বিজেপির কোনও সদস্য হাজির হননি । ফলে 14-0 ভোটে হারতে হয় লতিকাকে ।
আরও পড়ুন...কনটেনমেন্ট জোনে টিকাকরণে বাড়তি জোর উত্তর 24 পরগনা প্রশাসনের
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘'আজকের অনাস্থা ভোটে পঞ্চায়েতের 26 জন সদস্যের মধ্যে 14 জন এসেছিলেন । 14 জনই অনাস্থার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ।'’
বিজেপি প্রধান লতিকা মণ্ডল বলেন, ‘‘অনাস্থা নিয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি ,তার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি । তাই দলের সিদ্ধান্তে আমাদের যে সমস্ত সদস্য আছেন তাঁরা কেউ উপস্থিত হননি । আগামীতে কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো আমাদের কাজ হবে।'’