লেকটাউন (বিধাননগর), 21 নভেম্বর: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল বিধাননগরের (Bidhannagar) লেক টাউন থানার (Lake Town Police Station) পুলিশ ৷ দিল্লি থেকে পাকড়াও করা হল প্রতারণা চক্রের 'পান্ডা'কে ৷ ধৃতের নাম গোবিন্দ ঝা ৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে জেরা করে এই চক্রের আরও এক সদস্যকে গ্রেফতার (Fraud Arrest) করা হয়েছে ৷
চলতি বছরের 23 জুলাই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত লেক টাউন থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি ৷ তিনি লেক টাউনেরই বাসিন্দা ৷ তাঁর দাবি ছিল, এক ব্যক্তি তাঁকে 15 কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ নন-ব্যাংকিং সেক্টর থেকে ওই ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি ৷ এর জন্য আবেদন করা-সহ অন্য়ান্য প্রক্রিয়াও শুরু করে দেন ওই ব্যক্তি ৷ তাঁকে বলা হয়, 15 কোটি টাকা ঋণ পেতে হলে 1 কোটি 50 লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে তাঁকে ৷ ভরসা করে সেই টাকা দিয়েও দেন লেক টাউনের ওই বাসিন্দা ৷ কিন্তু, পরে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে ৷ এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি ৷
আরও পড়ুন: ব্যাংকে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, বিধাননগরে গ্রেফতার 16
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এর পিছনে রয়েছে একটি বিরাট চক্র ৷ যার জাল ছড়িয়ে রয়েছে রাজধানী দিল্লি পর্যন্ত ৷ এরপরই দিল্লিতে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশ ৷ সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় গোবিন্দ ঝাকে ৷ তিনিই এই চক্রের 'মাথা' বলে মনে করছে পুলিশ ৷ গোবিন্দকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে জেরা করে আনন্দ কুমার সিং নামে আরও এক ব্যক্তির হদিশ মিলেছে ৷ আনন্দও এই চক্রের একজন সদস্য বলে মনে করছে পুলিশ ৷ বিধাননগরের চিনার পার্ক এলাকা থেকে আনন্দকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ সোমবার দুই অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয় ৷
এদিকে, এই চক্রের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ৷ ধৃতদের জেরা করে এই সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷